• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

‘নদী দখলমুক্ত উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত থাকবে’

প্রকাশ:  ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০৯:৫১
নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকার চারপাশের নদী অবৈধ দখলমুক্ত করতে উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। রোববার (১৭ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা জানান।

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ঢাকার মতো নদীবেষ্টিত শহর পৃথিবীতে খুব কমই আছে। কিন্তু সেটাকে ধ্বংস করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নেত্বত্বে একটি মাস্টারপ্ল্যান করা হয়েছে। ঢাকার চারপাশের নদী– বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্মা, বালু ও তুরাগ এবং চট্টগ্রামের কর্ণফুলী অবৈধ দখলমুক্ত করার পাশাপাশি নাব্যতা ফিরিয়ে আনা হবে, সেই কার্যক্রম চলছে।

সম্পর্কিত খবর

    তিনি বলেন, নদীগুলোর উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছে। সমগ্র দেশবাসী এই পদক্ষেপকে সাধুবাদ জানিয়েছে। তারা বলছে, কোনোভাবেই এই কার্ক্রম যেন বন্ধ না হয়। আমরা দৃঢ়ভাবে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ আছি, এই অভিযান কখনোই থামবে না।

    নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগামী ৫ বছরের মধ্যে নদী ও সমুদ্রকে কাজে লাগিয়ে অর্থনীতিতে নতুন মাত্রা সৃষ্টির লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।

    তিনি বলেন, বাংলাদেশে ২৪ হাজার কিলোমিটার নৌপথ ছিল, যা কমে ৩ হাজার কিলোমিটারে নেমে গিয়েছিল। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর নদীগুলোকে কেবল হত্যা করা হয়নি, তার জীবন শেষ করে দেওয়া হয়েছিল। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নদীগুলোর জীবন ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। সরকারের টার্গেট ১০ হাজার কিলোমিটার নৌপথ তৈরি করা। ইতোমধ্যে ১২শ’ কিলোমিটারের অধিক নৌপথ নতুন করে চালু হয়েছে।

    জামায়াতের নেতা ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাকের পদত্যাগের প্রসঙ্গ টেনে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন, জামায়াত মধ্যে অনেককে দেখতে পাচ্ছি, যারা তাদের ভুল বুঝতে পারছে। জামায়াতের অনেকে পদত্যাগ করছে, অনেকে একাত্তরের ভূমিকার কারণে ক্ষমা চাওয়ার কথা বলছে।

    তিনি বলেন, জামায়াতের রাজনীতি বাংলাদেশবিরোধী। এই জামায়াতকে জিয়াউর রহমান ও তার স্ত্রী খালেদা জিয়া লালন-পালন করেছেন। আজকে কেবল জামায়াত ক্ষমা চাইলে হবে না, সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ সৃষ্টির জন্য বিএনপিকে বারবার ক্ষমা চাইতে হবে; আগুন সন্ত্রাস করে শত শত মানুষ হত্যার জন্য বিএনপিকে বার বার ক্ষমা চাইতে হবে, না হলে বাংলার মানুষ ক্ষমা করবে না।

    খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, জামায়াতের মধ্যে আত্মোপলব্ধি এসেছে– একাত্তরের ভুলের কারণে তারা জনবিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে, বাংলার মানুষ তাদের গ্রহণ করে না। বিএনপিরও আত্মোপলব্ধির মধ্যে আসতে হবে; সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ-দুর্নীতি আর জামায়াতিদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেওয়ার জন্য বাংলার মানুষের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে, এর কোনও বিকল্প নেই।

    তিনি বলেন, ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে বাংলার মানুষ কেন আওয়ামী লীগকে রায় দিয়েছে তা জামায়াতের নেতাদের বক্তব্যে পরিষ্কার হয়েছে। আমরা পরিষ্কার বলেছিলাম, নতুন প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধকে ধারণ করতে চায়। যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষ বাঙালি জাতি নিতে পারে না। সেটা আজ দিবালোকের মতো প্রমাণিত হয়েছে। তাদের অপরাজনীতির কারণে মানুষ নৌকাকে আঁকড়ে ধরেছে। শেখ হাসিনাকে আঁকড়ে ধরেছে।

    জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের গণশুনানি প্রসঙ্গে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, গণশুনানি করছে। বাংলাদেশের মানুষ ৩০ ডিসেম্বর রায় দিয়েছেন। গণশুনানি করে লাভ হবে না। জনগণের রায় হচ্ছে শিরোধার্য।

    শেখ হাসিনার আর প্রধানমন্ত্রী হতে না চাওয়ার ঘোষণা সম্পর্কে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিদেশে গিয়ে বলেছেন– আমাকে সরে যেতে হবে। তার এই ঘোষণায় অনেকে খুশি হয়েছেন, অনেকে উল্লসিত। কিন্তু আমরা খুব ব্যথিত, খুবই চিন্তিত। আমরা মনে করি, বাংলার মানুষ মনে করে, শেখ হাসিনার বিকল্প বাংলাদেশে নেই। শেখ হাসিনার বিকল্প এখনো বাংলাদেশে তৈরি হয়নি। তিনি নিজেও জানেন, এই মুহূর্তে বাংলাদেশে তার বিকল্প নেই। কিন্তু তারপরও তিনি বলছেন, আগামী প্রজন্মকে হাল ধরতে হবে। এটাই হচ্ছে নেতৃত্ব। এটাই হচ্ছেন শেখ হাসিনা।

    /অ-ভি

    • সর্বশেষ
    • সর্বাধিক পঠিত
    close