নজরদারিতে প্রার্থীরা, ২৪ জনের ফোর্স থাকবে ভোটকেন্দ্রে
আসন্ন ঢাকা সিটির দুই অংশের নির্বাচনে প্রার্থীদের নজদারিতে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
নির্বাচনে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার করণীয় নির্ধারণে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর সঙ্গে সোমবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। কোনো প্রার্থীর বিরুদ্ধে ‘অশুভ কর্মকাণ্ডের’ প্রমাণ মিললে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
সম্পর্কিত খবর
আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকা উত্তর সিটির (ডিএনসিসি) মেয়র পদে উপ-নির্বাচন, ২০টি ওয়ার্ডের নির্বাচন এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ১৮টি ওয়ার্ডের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। বর্তমানে প্রার্থীরা প্রচার কাজ চালাচ্ছেন।
ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ সাংবাদিকদের বলেন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী প্রার্থীদের কড়া নজরদারির মধ্যে রাখবে। বিশেষ করে কাউন্সিলর প্রার্থীদের ওপর এই নজরদারি রাখা হবে। কোনো প্রকার গণ্ডগোল বা অন্য কোনো বিষয়ে চিন্তা যাতে তারা না করতে পারেন, সেজন্যই এটা করা হবে। যদি তারা সেরকম (নাশকতামূলক) কিছু দেখতে পান, আইনগতভাবে ব্যবস্থা নেবে।
সচিব বলেন, ভোটের দিন নিরাপত্তা বজায় রাখতে চুলচেরা বিশ্লেষণ হয়েছে। প্রতি ভোটকেন্দ্রে সর্বোচ্চ ২৪ জনের ফোর্স রাখা হবে। এক্ষেত্রে সাধারণ ভোটকেন্দ্রে ২২ জন করে এবং ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে ২৪ জন করে বিভিন্ন বাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবেন।
তিনি আরও বলেন, ডিএনসিসিতে পুলিশের মোবাইল টিম থাকবে ২৭টি, স্ট্রাইকিং ফোর্স ১৮টি ও র্যাবের মোবাইল টিম থাকবে ২৮টি। আর বিজিবির মোবাইল টিম থাকবে ২৭টি।
হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, ডিএসসিসিতে পুলিশের মোবাইল ফোর্স থাকবে ৯টি, স্ট্রাইকিং ফোর্স থাকবে ৬টি, র্যাবের মোবাইল টিম থাকবে ৯টি ও আর বিজিবির মোবাইল টিম থাকবে ৯টি।
এছাড়াও র্যাব ও বিজিবির কিছু মোবাইল টিম ওয়েটিংয়ে রাখা হবে বলে জানান তিনি। এসব টিম প্রয়োজন হলেই দ্রুত মুভ করবে।
ইসি সচিব বলেন, নির্বাচনে আচরণবিধি প্রতিপালন নিশ্চিতের জন্য ম্যাজিস্ট্রেট আছেন। তারা ভোটারদের নির্বিঘ্নে ভোটদান ওনির্বাচনের পরিবেশ নিয়ন্ত্রণে রাখতেও কাজ করবেন।
প্রথম ধাপে ৮৬ উপজেলায় ১০ মার্চ, দ্বিতীয় ধাপে ১২৯ উপজেলায় ১৮ মার্চ ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। চতুর্থ ধাপ ৩১ মার্চ এবং পঞ্চম ধাপ ১৮ জুন ভোটগ্রহণ করার কথা রয়েছে। শেষ দুই ধাপের তফসিল এখনো ঘোষণা করেনি ইসি।পিবিডি/এসএম
