• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

মানুষের মন হতে পারে জীবনের দর্শন

প্রকাশ:  ১৭ এপ্রিল ২০১৯, ২২:৫০ | আপডেট : ১৭ এপ্রিল ২০১৯, ২৩:১৩
ড. মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান চৌধুরী

ভাবনা তার কাজকে প্রভাবিত করে কিনা তা আজকের দিনে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কারণ, ভাবনার সাথে মনের আর মনের সাথে তার চিন্তাধারার দর্শনের একটা যোগসূত্র কাজ করে। আবার এর সাথে সামাজিক, রাজনৈতিক আর অর্থনৈতিক ধারণার যে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভূমিকা রয়েছে তা কোনোভাবেই অস্বীকার করা সম্ভব নয়।

মানুষের ভাবনা তাকে তার লক্ষ্যের দিকে নিয়ে যাবে কিনা এটি তার বিশ্বাস আর মনের পারস্পরিক বন্ধন কতটা দৃঢ় তার উপর নির্ভর করে। আবার দর্শনের সাথে বিশ্বাসের সম্পর্ক আছে কিনা অথবা একটি অপরটির পরিপূরক কিনা তা বিশ্লেষণ করা দরকার। গ্রিক চিন্তাবিদ পিথাগোরাস ফিলোসফি বা দর্শন বিষয়টি যে মানুষের জীবনের সাথে সম্পৃক্ত হতে পারে তা বাস্তবতার নিরিখে বিবেচনা করেন।

সম্পর্কিত খবর

    পিথাগোরাস নিজেকে জ্ঞানী বা বিদগ্ধ ভাবতেনা বরং জ্ঞানের প্রতি তার আগ্রহ ও অনুরাগকে প্রাধান্য দিতেন। কারণ জ্ঞানের প্রতি অনুরাগের সাথে নীতিবিদ্যা, অধিবিদ্যা ও যুক্তিবিদ্যার একধরণের অদৃশ্য যোগসূত্র রয়েছে। এর সাথে জ্ঞান তত্ত¡ ও রাজনৈতিক দর্শনের বিষয়টি গভীরভাবে সম্পর্কিত। রামচন্দ্র গুহ এক নিবন্ধে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, মহাত্মা গান্ধী, জওহরলাল নেহেরু এবং বি. আর আম্বেদকর এই চারজনকে আধুনিক ভারতের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে মতামত ব্যক্ত করেন। তাদের জাতীয়তাবোধ ও রাষ্ট্র চেতনা ভারতবর্ষের স্বাধীনতার মৌলিক ভিত্তি হিসেবে কাজ করেছে বলে তার গবেষণামুখী প্রবন্ধে বিশ্লেষণ করেছেন।

    প্রবন্ধটি পড়ে এক তরুণ অঙ্কশাস্ত্রবিদ রামচন্দ্র গুহকে প্রশ্ন করেন, এই তালিকায় “রবীন্দ্রনাথ কেন?” এর কারণ ছিল রবীন্দ্রনাথের দর্শন চর্চা। তিনি ইউরোপীয় রেনেসাঁ থেকে মুক্তি, সমতা, স্বাধীনতা সংক্রান্ত জ্ঞানের প্রতি আগ্রহী ছিলেন। এর সাথে দেশজ সংস্কৃতি আর ঐতিহ্যের সংমিশ্রনে যে জ্ঞান সৃষ্টির উপাদান তৈরী হয়েছিল তা তাঁকে ভাববাদী জ্ঞানের প্রতি অনুরাগী করে তুলেছিল। যার মধ্যে স্বদেশ প্রেমের মূল্যবোধ ও দর্শন কাজ করেছিল। যা তাঁকে আধুনিক ভারতের রূপকার হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। তিনি যদিও কবি ছিলেন তবু বিজ্ঞানের জ্ঞানকে জীবনে গ্রহণ করার জন্য তিনি আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায়, জগদীশ জন্দ্র বোস ও আইনস্টাইনের মতো বিখ্যাত বিজ্ঞানীদের সাথে যোগসূত্র গড়ে তুলেছিলেন। যা তাঁকে বিজ্ঞান দর্শনে প্রভাবিত করেছিল। তিনি তাই বিজ্ঞান চর্চার মাধ্যমে দেশ গঠনের যৌক্তিক ধারণা সমাজে তৈরী করেছিলেন। আবার দর্শনগত চিন্তা যখন বিজ্ঞানের জ্ঞান ও ধারণার সাথে যুক্ত হয় সেক্ষেত্রে কোন মতভিন্নতা থাকলেও যৌক্তিকভাবে যা প্রমাণিত হয় তাকে গ্রহণ করার মানসিকতা গড়ে তোলা দরকার। কেননা সময়ের সাথে দর্শনের ও জ্ঞানের ধারণা পরিবর্তিত হতে পারে।

    ফলে বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে চিরসত্য বলে কিছু নেই। আর দর্শনের অনেকক্ষেত্রেও তা প্রযোজ্য হতে পারে। দৃষ্টান্ত স্বরূপ বলা যায়, গ্যালিলিওর আবিষ্কার প্লেটো এবং এরিস্টটলের জ্যোর্তিবিজ্ঞান মডেলের বিপরীত ধারণার উপর গড়ে উঠেছিল। কেননা গ্যালিলিও যদি পুরাতন মতবাদকে ভিত্তি করে তাঁর বৈজ্ঞানিক দর্শন অব্যাহত রাখতেন তবে জ্ঞান আহরণ থেকে নুতন জ্ঞান সৃষ্টি হতোনা। আর বর্তমানের আধুনিক জ্যোর্তিবিজ্ঞানের ক্ষেত্রে তাঁর দর্শন জ্ঞান অর্জনের মূল শক্তি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এ্যারিস্টটলের রচনার ক্ষেত্রে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল মেটাফিজিক্স (অধিবিদ্যা) এবং এথিক্স (নীতিশাস্ত্র)। এই বইগুলির মূল উপজীব্য বিষয় হলো, জীবন গতিশীল এবং ক্রমাগতই তার বিকাশ ঘটছে। এই সমস্ত প্রবন্ধের অনেকাংশ নির্ভুল বলে প্রমাণিত হলেও জ্যোর্তিবিজ্ঞান ও পদার্থ বিদ্যার ক্ষেত্রে যৌক্তিকতার চেয়ে কল্পনার ও ধারণার প্রাধান্যই বেশি।

    এর কারণ কোন পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই তিনি এই সব বিষয়ে সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন। যেমন তাঁর ধারণা ছিল, যদি একই সাথে একটি ভারি ও হালকা বস্তুকে উপর থেকে ফেলা হয় তবে ভারী বস্তুটি আগে পড়বে। কিন্তু পরীক্ষা নিরীক্ষা ও পর্যবেক্ষণ করে গ্যালিলিও প্রমাণ করলেন পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ শক্তির প্রভাবে দুটি বস্তু একই সাথে মাটিতে পড়বে। এ্যরিস্টটল তাঁর দর্শনতত্তে¡ পৃথিবীকে স্থির হিসেবে ধারণা করেছেন আর তাকে বেষ্টন করে সৌরজগতের চাঁদ, তারা, সূর্য জ্যমিতিক পথে আবর্তিত হচ্ছে। গ্যালিলিও প্রথমে এই ধারণাকে ভ্রান্ত বলে প্রমাণ করেন। এ্যরিস্টটল মনে করতেন, চাঁদের নিজস্ব আলো আছে। কিন্তু আজ প্রমাণিত হয়েছে চাঁদের কোনো নিজস্ব আলো নেই। এখানে চিন্তা ও দর্শনের ক্ষেত্রে এরিস্টটলের ধারণা ভ্রান্ত বলে প্রমাণিত হলেও তাঁর সফলতা হচ্ছে তিনি মানুষকে এক্ষেত্রে চিন্তা, দর্শন ও জ্ঞান সৃষ্টি ও তাঁর গ্রহণের মাধ্যমে দর্শন চর্চার সুযোগ তৈরী করে দিয়েছেন। বিশ্ববিজয়ী সম্রাট আলেকজান্ডার দুঃখ করে বলেছিলেন, জয় করাবার জন্য পৃথিবীর আর কোন দেশই বাকি রইল না। এটা হয়তো তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি অনুযায়ী সঠিক আছে কিন্তু প্রকৃত অর্থে ভৌগোলিক জয় আর দর্শনগত জয় সম্পূর্ণ ভিন্ন। কারণ দর্শনগত চিন্তাধারা জ্ঞান থেকে সৃষ্টি আর জ্ঞানের মাধ্যমে যে কোনো অসম্ভবকে সম্ভব করা যায়। সঠিক দর্শনের মাধ্যমে দেশের পরিকল্পনার কাঠামো গড়ে তোলা দরকার। আর উন্নত রাষ্ট্র গঠনের ক্ষেত্রে দর্শনগত পরিকল্পনা সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করে।

    আবার দর্শনের মাধ্যমে প্রযুক্তিগত উন্নয়ন ত্বরান্বিত করা যায়। কারণ, যুক্তিবাদিতা আর নৈতিকতা বোধ তৈরির মাধ্যমে অর্থনৈতিক উন্নয়ন আর প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতা ঘটানো সম্ভব। যেমন একজন কৃষকের মধ্যে যদি কৃষির জ্ঞান গ্রহণ করার মতো প্রণোদনা সৃষ্টি করা যায় তবে তা হবে দর্শনগত ধারণার ফলাফল। তবে কিভাবে সহজ করে দর্শনগত ধারণাকে কৃষি ও কৃষকের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা যায় তাঁর জন্য গবেষণার প্রয়োজন। আবার একটি জনগোষ্ঠীকে গবেষণামূখী করা ও আর তাঁর মধ্যে প্রযুক্তির প্রতি আগ্রহ ও তাঁর চর্চার বিকাশ ঘটানোর জন্য দর্শনগত ধারণাকে প্রয়োগ করা প্রয়োজন।

    লিওনার্দো দা ভিঞ্চির পৃথিবীতে পরিচিত হয়েছেন একজন বিখ্যাত চিত্র শিল্পী হিসেবে। তাঁর চিত্র কর্ম দ্য লাস্ট সাপার, মোনালিসা, ভিত্রুভিয়ানো মানব, লেডি উইথ অ্যান এরমাইন আজ পৃথিবীর বিস্ময়। কিন্তু একজন চিত্র শিল্পী যখন বিজ্ঞানী হয়ে যান তখন দর্শনগত বিষয়টি মূখ্য হয়ে দাঁড়ায়। ছবি আঁকতে আঁকতে তিনি লক্ষ করেন যে তাঁর জল রংগুলি আর্ট কাগজের নিচের চুঁয়ে চুঁয়ে পড়ছে। তখন তাঁর চিন্তা ছবি আঁকার দর্শন থেকে অনুসন্ধানী দর্শনে প্রভাবিত হয়েছে।

    ফলে চিত্র শিল্পের জ্ঞান থেকে আহরিত অভিজ্ঞতা তাঁকে বিজ্ঞানের জ্ঞান গ্রহণের মাধ্যমে এই সমস্যা সমাধানের পথে অগ্রসর করেছে। এই সমস্যার সমাধান করতে গিয়ে তিনি ইঞ্জিনিয়ারিং ট্রাইবোলোজি নামে নতুন একটি ক্ষেত্র আবিষ্কার করেছেন। এই নতুন প্রযুক্তির দর্শনকে কাজে লাগিয়ে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জাপান, রাশিয়ার মতো উন্নত রাষ্ট্রগুলো তাদের এনার্জি সেভ করার মাধ্যমে প্রচুর অর্থ সাশ্রয় করছে। আমাদের দেশও দর্শনকে কার্যক্ষেত্রে প্রয়োগ করে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে বহুমাত্রিক উন্নয়ন ঘটাতে পারে। কাজেই এক প্রকৃতির দর্শন থেকে বিভিন্ন প্রকৃতির দর্শন সৃষ্টি হতে পারে। যা শুধু রাষ্ট্রের ক্ষেত্রেই নয় বরং ব্যক্তির বিকাশের বহুমাত্রিক ধারণার সাথে সম্পৃক্ত হতে পারে। এর দৃষ্টান্তও রয়েছে। যেমন বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর সাথে যেহেতু চিকিৎসা বিজ্ঞানের একটি নিবিড় সম্পর্ক আছে। কাজেই একজন প্রযুক্তিবিদকে কৃত্রিম ফুসফুস, হাড় জোড়া লাগানোর ক্ষেত্রে কোনো ধরণের বায়োমেটেরিয়াল শরীরের ভিতরের অংশ খাপ খাইয়ে নিতে পারবে, টিস্যু ইঞ্জিনিয়ারিং, বায়োসিগনাল প্রসেসিং, মেডিকেল ইমেজিং এই সব বিষয়ে গবেষণা করতে হলে চিকিৎসা বিজ্ঞানের জ্ঞান আহরণ করতে হবে। ফলে এক্ষেত্রে প্রযুক্তির দর্শন প্রযুক্তির উৎকর্ষতার জন্য তাঁকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের দর্শনে অনুপ্রাণিত করবে। দর্শনের ক্ষেত্রে অধিবিদ্যা বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ।

    অধিবিদ্যা বা মেটাফিজিক্স হল দর্শনের একটি শাখা যাতে বিশ্বের অস্তিত্ব, আমাদের অস্তিত্ব, সত্যের ধারণা, বস্তুর গুণাবলী, সময়, স্থান, সম্ভাবনা ইত্যাদির দার্শনিক আলোচনা করা হয়। অধিবিদ্যায় দুটি মূল প্রশ্নের উত্তর খোঁজা হয়- সর্বশেষ পরিণাম কি? কিসের মত? মেটাফিজিক্স এর একটি মূল শাখা হল- সৃষ্টিতত্ত¡ এবং অন্য একটি শাখা হল- তত্ত¡বিদ্যা। বঙ্গবন্ধুর দর্শনে নীতিবিদ্যা, অধিবিদ্যা ও যুক্তিবিদ্যার এক বিস্ময়কর সমন্বয় ঘটেছে। যা প্রথাগত দর্শন থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন। আবুল বারকাত বঙ্গবন্ধুর জীবন দর্শনকে এদেশের গণমানুষের সুখ-সমৃদ্ধি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এক গভীর মানবিক সংগ্রামী দর্শন হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। এর কারণ হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর জীবন দর্শন রাজনৈতিক দর্শনকে অতিক্রম করে গণ মানুষের দর্শনে রূপান্তরিত হয়েছিল। যা উন্নয়ন দর্শনকে প্রত্যক্ষভাবে প্রভাবিত করেছে। এই দর্শনে অনেক সৃজনশীল চেতনা ও আদর্শ কাজ করেছে ও তার সমন্বয়ের মাধ্যমে উন্নত রাষ্ট্র ও উন্নত চিন্তার প্রকাশ ঘটেছে। যা রাজনৈতিক স্বাধীনতা, অর্থনৈতিক সুযোগ, সামাজিক সুবিধাদি, স্বচ্ছতার নিশ্চয়তা এবং ব্যক্তিগত নিরাপত্তা-সুরক্ষার স্বাধীনতাকে অক্ষুণ্ণ রেখেছে।

    এজন্য বলা হয় বঙ্গবন্ধুর উন্নয়ন ধারণা হচ্ছে তাঁর উদ্ভাবিত ও ধারণকৃত ‘দেশের মাটি উত্থিত অথবা স্বদেশজাত উন্নয়ন দর্শন, যে দর্শন অনুসারে প্রকৃত উন্নয়ন হল, এমন এক প্রক্রিয়া যে প্রক্রিয়ায় তৈরী হবে উন্নত চিন্তাধারার মানুষের সংঘবদ্ধ-সংহতিপূর্ণ সমাজ ও অর্থনীতি ব্যবস্থা। যা শ্রেণী বৈষম্যকে প্রাধান্য না দিয়ে যৌক্তিকতার মাধ্যমে ব্যক্তি অধিকারকে প্রাধান্য দিবে।

    তবে এক্ষেত্রে বাঙালি জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা এই চার মূলনীতি উন্নয়নের দর্শনের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে সোনার বাংলার দর্শনে একীভূত হয়েছে। যা বর্তমান সময়ে প্রয়োগ করা খুব বেশি প্রয়োজন। কিন্তু বাস্তবতার এই দর্শন পথচ্যুত হয়ে কল্পিত দর্শনে পরিবর্তিত হওয়ায় তা আর সামগ্রিক দর্শন না থেকে ব্যক্তিস্বার্থ ও সুবিধাবাদিতার দর্শনে পরিণত হয়েছে। ফলে দর্শন রূপান্তরণের ক্ষেত্রে অগ্রসরমূখী না হয়ে অনেকক্ষেত্রে পশ্চাৎমূখী হয়েছে।

    এক্ষেত্রে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটলেও মানবিক বিপর্যয় উন্নয়নের ধারাকে প্রভাবিত করতে পারে। কাজেই উদার ও বহুমুখী দর্শনের ধারণাকে দেশপ্রেমের প্রকৃত দর্শনের ধারণায় রূপান্তর করা প্রয়োজন। আর এর মাধ্যমেই দর্শনকে ইতিবাচক করে উন্নত রাষ্ট্র গঠনের দর্শনকে বাস্তবে রূপায়িত করতে হবে। তবেই অর্থনৈতিক মুক্তির সাথে মানবিক চেতনার উৎকর্ষতার সমন্বয় ঘটানো সম্ভব। তাই আজ নেতিবাচক দর্শন পরিত্যাগ করে বহুমাত্রিক মানুষ, সমাজ ও রাষ্ট্র গঠনের ক্ষেত্রে প্রকৃত ও মৌলিক দর্শনকে কাজে লাগাতে হবে। আর এই প্রচেষ্টা ও দায়িত্ব সকলকেই নিতে হবে।


    লেখক: শিক্ষাবিদ ও কলামিষ্ট।

    ই-মেইল: [email protected]

    • সর্বশেষ
    • সর্বাধিক পঠিত
    close