• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

সুলতান মনসুরের রাজনৈতিক উত্তরণ

প্রকাশ:  ০৬ ডিসেম্বর ২০১৮, ০২:৫১ | আপডেট : ০৬ ডিসেম্বর ২০১৮, ০২:৫৭
পূর্বপশ্চিম ডেস্ক

আগে শুনতাম ছাত্র শিবিরের নেতাকর্মীরা তাদের দলীয় প্রার্থীদের নির্বাচনে পাশ করাতে এক জেলা থেকে অন্য জেলায় কিংবা এক থানা থেকে অন্য থানায় যায় এবং দলীয় প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেয়। এবার যা ঘটেছে কুলাউড়ার বীর জনতার বীর নেতা সুলতান মনসুরের ক্ষেত্রে।

সিলেটের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগের সাবেক বর্তমান নেতাকর্মীগণ দলে দলে কুলাউড়ায় এসে ভীড় করছেন। তারা কুলাউড়ায় তাদের আত্নীয় পরিজনদের কাছে সুলতান মনসুরের জন্য ভোট ভিক্ষা করছেন। দেশে বিদেশে ছড়িয়ে থাকা আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগের সাবেক বর্তমান নেতাকর্মীগণ পরিচ্ছন্ন রাজনীতির পুরোধা সুলতান মনসুরের জন্য নিরবে নিবৃতে ফান্ড গঠন করছেন, নেতার নির্বাচনের জন্য অর্থের সংস্থান করছেন।

সম্পর্কিত খবর

    প্রশ্ন, কেন এসব হচ্ছে? উত্তর: সুলতান মনসুরকে মানুষ রাজনৈতিক নিপীড়নের শিকার মনে করে। দল মত নির্বিশেষে মানুষ বঙ্গবন্ধুর মানসপুত্র, দূর্ণীতিবিরোধী পরিচ্ছন্ন রাজনৈতিক নেতা সুলতান মনসুরকে বাংলাদেশের রাজনীতিতে স্বমহিমায় দেখতে চায়। অভিভাবকহীন কুলাউড়াবাসী পেতে চায় একজন অভিভাবক। যার নামে আজ কুলাউড়াবাসী ধন্য, যার কারণে অাজ কুলাউড়ার নাম জাতীয়ভাবে উচ্চারিত হচ্ছে, যাকে কুলাউড়ার পরিচ্ছন্ন তরুণসমাজ তাদের প্রেরণা মনে করে তাঁকে আবার ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত করে কুলাউড়াবাসী ধন্য হতে চায়। তাই আজ কুলাউড়ার নির্বাচনী প্রচারণায় একটাই প্রতিক ‘সুলতান মনসুর’ সবার মুখে মুখে। আজকের তরুণসমাজ তাঁর সম্পর্কে জানতে চায়, সকল সমালোচনাকে পিছনে ফেলে তারা তাঁকে ভোটের মধ্যমে সম্মান ও শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করতে উন্মূখ। তারা কারা? সকল দলের, সকল মতের মানুষ। নারী, পুরুষ, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে প্রগতিশীল ও উন্নয়নকামী জনগণ। সুলতান মনসুরকে ঘিরে কুলাউড়ায় সত্যিই দলে দলে, ঘরে ঘরে ঐক্য গড়ে উঠেছে। আমরা কুলাউড়ার উন্নয়ন চাই। যোগ্য নেতার সুযোগ্য পরিকল্পনায় পরিকল্পিত উন্নয়নে আধুনিক কুলাউড়ার প্রতিষ্ঠায় আগামী নির্বাচনে দল মত নির্বিশেষে কুলাউড়ার প্রতিক সুলতান মনসুরের বিজয়ের মাধ্যমে জনগণের প্রত্যাশা পূর্ণ হোক।

    এরই আলোকে কুলাউড়ার নির্বাচনী মাঠে আজ জনগণের মুখে সুর উঠেছে- “নিজের খাইয়া ধানের শীষ”। কারণ কুলাউড়ার জনগণ জানে সুলতান মনসুরের টাকা পয়সা নাই। তিনি দূর্ণীতির কালো টাকার মালিক নন। সুর উঠেছে “টাকা হলো শাহিনের, ভোট হলো সুলতানের”, “শাহিন ভাইকে খাও, সুলতান ভাইকে দাও”, “ শাহিন ভাইয়ের টাকা, সুলতান ভাইয়ের ভোট”। সুর উঠেছে “VOTE SULTAN—SAVE SULTAN, VOTE SULTAN— SAVE A PATRIOT POLITICIAN”, “VOTE SULTAN SAVE A HERO”। সিলেটী ভাষায় আরো নান্দনিক শ্লোগানসমূহ মানুষের মুখে মুখে। এভাবেই সুলতান মনসুরকে ঘিরে ঘরে ঘরে নবজাগরণ সৃষ্টি হয়েছে।

    তিনি কে? তিনি বাংলার রাখাল রাজা, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর মানসপুত্র, বাংলার সর্বকালের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ছাত্রনেতা, প্রগতিশীল ছাত্ররাজনীতির অহংকার, পরিচ্ছন্ন রাজনীতির পুজারী, কুলাউড়ার কৃতি সন্তান ও উন্নয়নের বরপুত্র সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদ। বিএনপি ও ডঃ কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন বহুদলীয় জোট ঐক্যফ্রন্টের রাজনৈতিক মঞ্চে মুজিবকোট পরিধান, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে পরিপূর্ণ শ্রদ্ধা-সম্মান জ্ঞাপন করে তাঁকে নিজের রাজনৈতিক আদর্শ চেতনার বাঁতিঘর হিসেবে উপস্থাপন ও বক্তব্যের শুরু ও শেষে ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ উচ্চারণের মধ্য দিয়ে দেশব্যাপী এসময়ের সর্বাধিক আলোচিত রাজনৈতিক নেতা ও ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সুলতান মনসুরের রাজনৈতিক জীবনী সত্যিই চমকপ্রদ। যে কোন রাজনীতি সচেতন মানুষের জন্য ব্যাপক অনুসন্ধিৎসার বিষয় বটে।

    রাজনৈতিক জীবনে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে ১৯৬৮সালে পূর্ব পাকিস্থান ছাত্রলীগের পতাকাতলে সমবেত হওয়া ও পরবর্তী সময়ে ইতিহাসের বিভিন্ন বাঁকে আন্দোলন সংগ্রামে নিজ অবস্থান থেকে যেমন সামনের কাতারে সোচ্চার ছিলেন, সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারেও ছিলেন সদা প্রস্তুত, তেমনি অগ্রন্মূখ আপন প্রজন্মকে বরাবরই নেতৃত্ব দিয়েছেন বলিষ্ঠভাবে। একদিকে ১৯৬৮সালে তৎকালীন মৌলভীবাজার জেলার অন্যতম বৃহৎ মাধ্যমিক বিদ্যালয় মৌলভীবাজার বহুমূখি উচ্চ বিদ্যালয়ে স্কুল ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক থেকে সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক, পরবর্তীতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি পদে উত্তরণ। আরেকদিকে ১৯৭২সালে সিলেট এম সি ইন্টারমেডিয়েট কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি, ১৯৭৫সালে সিলেট মদনমোহন কলেজ ছাত্র সংদের ভিপি থেকে ১৯৮৯সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ ও ছাত্রআন্দোলনের সুতিকাগার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু)’র ভিপি নির্বাচিত হয়ে যেন ছাত্র রাজনীতির রোমাঞ্চকর নেতৃত্বের সর্বোচ্চ শিঁখরে অধিষ্টিত হয়েছিলেন এক অনন্য মুগ্ধকর, অসাধারণ রোমাঞ্চকর। যেন গ্রামের ধুলিমাখা মেঠো পথ পাড়ি দিয়ে স্কুল আঙ্গিনার দুর্বাঘাস ছুঁয়ে শত সংগ্রামমুখর ছাত্ররাজনীতির বাধা বিপত্তিময় আঁকাবাকা কন্টকাকীর্ণ পথ মাড়িয়ে পর্বত চুঁড়ায় উত্তরণ ঘটে এক পরিচ্ছন্ন রাজনীতির পরিব্রাজকের। পরবর্তী সময়কাল যদিও নানান উত্থান পতনে দন্ডায়মান, তথাপি, বিভিন্ন কারণে গত দশ বছর থেকে সুলতান মনসুর বাংলাদেশের সর্বাধিক আলোচিত রাজনীতিকদের একজন। এককভাবে তাঁকে নিয়ে রচিত হয়েছে অসংখ্য সংবাদ ও নিবন্ধ। যা পত্রিকায় প্রকাশিত হলে দেশব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। বরাবরই সামাজিক মিডিয়ায় তাঁকে নিয়ে আলোচনা ছিলো ব্যাপক, এখনো আছে।

    সাম্প্রতিক সময়ে তাঁকে নিয়ে গঠিত ফেসবুক আই ডি ও পেজের সংখ্যা অসংখ্য। ফেইস বুক পেজ 'সুলতান মনসুর সাইবার ফোর্স' তাঁর রাজনৈতিক জীবনীর উপর তৈরী করেছে ‘উত্তরণ’ নামে একটি স্লাইড ভিডিও। যা দেশব্যাপী আলোচিত। (লিংকটি সংযুক্ত হলো: https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1953720701601663&id=1938927676414299)। ভিডিওটির ষ্ট্যাটাসের প্রারম্ভিক বক্তব্যে বলা হয়েছে - "অসাধারণ ভিডিও। যে মানুষটি পঞ্চম শ্রেণীতে থাকতে “জাগো অনশন বন্দি উঠোরে যতো”র মতো রক্তজাগাণীয়া বিপ্লবী গানের প্রেমে পড়ে তাঁকে কি নিশ্চিহ্ন করা সহজ!!যে গান লেখার অপরাধে বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুলকে বৃটিশরা কারাগারে অকথ্য নির্যাতন করে, যে গানের প্রেমে পড়েছিলেন সুবাস চন্দ্র বসু, বিপ্লবী সূর্য সেনসহ বৃটিশবিরোধী বিপ্লবী সূর্য সন্তানগণ। কাজী নজরুলের সেই ঐতিহাসিক বিপ্লবী গান বাংলা গানের প্রথম গণ সঙ্গীত হিসেবে বিবেচ্য। সেই বিপ্লবী গানের প্রেমে পড়ে বিপ্লবী ছাত্রনেতা, জননেতা সুলতান মনসুর বাঙালির হাজার বছরের শ্রেষ্ট সন্তান জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জ্বীবিত হয়ে ছাত্রলীগের রাজনীতি শুরু করেছিলেন। পরবর্তী ইতিহাস শুধুই স্বর্ণখঁচিত দ্বীপ্তিময়তায় ঊজ্জ্বল। হ্যাঁ, শত ষড়যন্ত্রে হয়তো সুলতানদের নিশ্চহ্ন করা সহজ কিন্তু সৃষ্টি করা কঠিন। সৃষ্টি সহজ নয়।

    পুরো ভিডিও দেখুন। দূর্লভ এই স্লাইড ভিডিওর থিম সং সেই ঐতিহাসিক সঙ্গীত “জাগো অনশন বন্দি উঠোরে যত”। শেয়ার করে অন্যকে দেখার সুযোগ দিন।"

    নির্বাচনী কর্মকান্ডে তাঁকে ঘিরে মৌলভীবাজার ২ কুলাউড়া আসনে জনজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। এখানে দল বা জোটের চেয়ে ব্যক্তি সুলতান মনসুরই মুখ্য।

    দল মতের বাইরে অনেকেই তাঁকে সমর্থন ও অর্থায়নে এগিয়ে এসেছেন। দেশে বিদেশে থাকা তাঁর অসংখ্য অনুরাগীর ফেসবুক পেজ ‘সুলতান মনসুর সাপোর্টার গ্রুপ, জনতার কন্ঠ, জনতার কথা, আমাদের সুলতান আমাদের সন্তান, জয় বাংলার ফেরিওয়ালা সুলতানর মনসুর, বঙ্গবন্ধুর মানসপুত্র, সুলতান মোদের অহংকার, প্রতিবাদী আলো’সহ অসংখ্য পেজে তাঁর নির্বাচনী ডিজিটাল প্রচার লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তাঁর বিরুদ্ধে যে কোন অপপ্রচার মোকাবেলায় তারা সদা জাগ্রত।

    এটা অনস্বীকার্য্য যে, রাজনৈতিক জীবনে আদর্শিক ও পরিচ্ছন্ন রাজনীতির বলিষ্ঠ ধারক হিসেবে আপন প্রজন্মে তিনি একজন সফল ও অতুলনীয় জনপ্রিয় নেতা ছিলেন। যিনি ব্যক্তিজীবনে নির্লোভ ও সুদ, ঘুষ, দূর্ণীতিবিহীন একজন অনন্য সাধারণ স্পষ্টবাদী ব্যক্তিত্ব। সাধারণ মানুষের প্রতিবাদের ভাষা যেন তাঁর কন্ঠেই ধারণ করেন। যা দেশব্যাপী তাঁর জনপ্রিয়তার উৎস। আগামী নির্বাচনে সুলতান মনসুরের বিজয়ের মাধ্যমে উন্নয়নকামী কুলাউড়াবাসীর বিজয় ঘটুক। এই প্রত্যাশায় নতুন প্রজন্ম ও তাঁর প্রতি অনুসন্ধিৎসু পাঠকের উদ্দেশ্যে

    তাঁর রাজনৈতিক জীবনীর ক্রম উত্তরণের উপর নির্মিত ‘উত্তরন’ নিম্নে বর্ণিত হলোঃ

    উত্তরণ

    পুরো নামঃ সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদ। জন্মঃ ১৯৫৫, শিক্ষাঃ এম এ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

    ১৯৬৩ তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্র থাকাকালীন পূর্ব পাকিস্থান ছাত্রলীগের মিছিলে যোগদান।

    ১৯৬৮ অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র। পূর্ব পাকিস্থান ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও ৬৯’র গণ অভ্যুত্থানের নায়ক আব্দুর রউফ, সিলেটের খ্যাতিমান ছাত্রলীগনেতা ইনামুল হক চৌধুরী ও মাকসুদ চৌধুরীপ্রমুখের দ্বারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত।

    ১৯৬৯ মৌলভীবাজার জেলার সর্ববৃহৎ হাইস্কুল মৌলভীবাজার বহুমূখি উচ্চ বিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা। সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত।

    ১৯৭০ আইয়ুব খানের ‘পাকিস্থান দেশ ও কৃষ্টি’ বই নবম শ্রেণীর পাঠ্য তালিকায় অন্তর্ভূক্তির প্রতিবাদে ঐতিহাসিক ছাত্র আন্দোলনে স্কুল ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক নির্বাচিত ।

    ১৯৭০ দশম শ্রেণীর ছাত্র থাকাকালীন প্রথমবারের মতো গঠিত মৌলভীবাজার জেলা ছাত্রলীগের সহ সম্পাদক মনোনীত।

    ১৯৭০ ঐতিহাসিক নির্বাচনে প্রচারণায় অংশ গ্রহন। নির্বাচনী প্রচারণার গংসংযোগের স্বাভাবিক কার্যক্রমে অংশগ্রহন ছাড়াও তাঁর দরাজ গলায় সুমধুর কন্ঠে মাইকিং, এনাউন্সমেন্ট ছিলো চমৎকার। এছাড়া তাঁর হাতের লেখা ছিলো অত্যন্ত সুন্দর তাই পোষ্টার, ফেস্টুন লিখনীতে তিনি ছিলেন অনন্য। উল্লেখ্য, তখনকার সময়ে পোষ্টার, ফেস্টুন সাধারণত ব্যাপকাংশে হাতে লেখা হতো।

    ১৯৭১ ছাত্রনেতা হিসেবে ঐতিহাসিক অসহযোগ আন্দোলনকে সংগঠিত করতে ব্যাপক অবদান অনস্বীকার্য ।

    ১৯৭১ মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহন।

    ১৯৭২ সিলেট এম সি ইন্টারমেডিয়েট কলেজে (বর্তমান সিলেট সরকারী কলেজ) ভর্তি। কলেজ ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ছাত্রলীগের প্রার্থী হিসেবে সহ সভাপতি (ভিপি) পদে নির্বাচিত।

    ১৯৭২ সিলেট জেলা ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক নিযুক্ত।

    ১৯৭৪ এম সি কলেজ ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ছাত্রলীগের প্রার্থী হিসেবে সাধারণ সম্পাদক (জি এস) পদে অংশ গ্রহন। নানা কারণে পরবর্তীতে নির্বাচন হয়নি।

    ১৯৭৪ সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নিযুক্ত। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সর্বকনিষ্ঠ সদস্য নির্বাচিত হন (১৯৭৪-৭৫)।

    ১৯৭৫ সিলেট মদন মোহন কলেজ ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ছাত্রলীগের প্রার্থী হিসেবে সহ সভাপতি (ভিপি) পদে বিজয় অর্জন।

    ১৯৭৫ নবগঠিত জাতীয় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সদস্য নির্বাচিত। জাতীয় ছাত্রলীগের সিলেট জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক নিযুক্ত।

    ১৯৭৫ ১৫ই আগষ্ট সেনা অভ্যুত্থানে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে হত্যার পর সিলেটে অনুষ্টিত প্রতিবাদ মিছিলের অন্যতম প্রধান উদ্যোক্তা।

    ১৯৭৫ ৩রা নভেম্বর কারাপ্রকোষ্টে জাতীয় চার নেতাকে হত্যার পর সিলেটে অনুষ্টিত প্রতিবাদ মিছিলের অন্যতম প্রধান উদ্যোক্তা।

    ১৯৭৫ ১৫ই আগষ্ট বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিশোধ গ্রহনের লক্ষে ভারতের মাটিতে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী (বীরোত্তম)'র নেতৃত্বে সংগঠিত প্রতিরোধ আন্দোলনে যোগদান। বিপ্লবী ‘জাতীয় মুক্তিবাহিনী’র তথ্য ও প্রচার সেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত কমান্ডার নিযুক্ত। বাহিনীর ৩৬জন কমান্ডার ছিলেন।

    ১৯৭৯ চার বছর পর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি। দেশব্যাপী বাংলাদেশ ছাত্রলীগের পুনরুজ্জীবনে আত্ননিয়োগ।

    ১৯৮৪-১৯৮৬ বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান নিযুক্ত।

    ১৯৮৬ বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি নির্বাচিত।

    ১৯৮৯ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ঢাকসু) ১৯৮৯-৯০ নির্বাচনে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ মনোনিত প্রার্থী হিসেবে স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো সহ সভাপতি (ভিপি) পদে জয়লাভ।

    ১৯৮৯ তাঁর নেতৃত্বে নানা প্রতিকুলতাকে অগ্রাহ্য করে ১৯৭৫ পরবর্তী ঢাকসু ভবনে প্রথমবারের মতো জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি উত্তোলন।

    ১৯৮৯-৯০ দেশব্যাপী গর্জে উঠা স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী গণ আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির পূনর্জাগরণে ছাত্রসমাজকে নেতৃত্বদান।

    ১৯৯১ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী হিসেবে মৌলভীবাজার ২ (কুলাউড়া) আসন থেকে নির্বাচন করে পরাজয় বরণ করেন। কিন্তু, ১৯৯৬সালের নির্বাচনে একই আসন থেকে এম পি নির্বাচিত হন। ২০০১সালে পুনরায় পরাজয় বরণ করেন।

    ২০০২ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কাউন্সিলে দলের সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত।

    ২০০৮ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মৌলভীবাজার-২ আসনে আওয়ামী লীগের তৃনমূল নেতাকর্মীদের প্রত্যক্ষ ভোটে সুলতান মনসুরের একক প্রার্থীতার সুপারিশ কেন্দ্রীয় অাওয়ামী লীগের কাছে পাঠালেও অদৃশ্য কারণে তিনি দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিত হন। কিন্তু, তিনি দলের সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে স্বতন্ত্র নির্বাচন করা থেকে বিরত থাকেন এবং দল সমর্থিত প্রার্থীর প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করেন।

    ২০১৮ গণতন্ত্র, প্রত্যক্ষ ভোটাধিকার ও অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে নিজস্ব অবস্থান থেকে জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ায় যোগদান ও পরবর্তীতে ঐক্যফ্রন্টের কেন্দ্রীয় ষ্টিয়ারিং কমিটির সদস্য নির্বাচিত

    লেখক: আবুল কাশেম মোহন

    সাবেক ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা, কুলাউড়া, মৌলভীবাজার।

    সুলতান মনসুর আহমেদ
    • সর্বশেষ
    • সর্বাধিক পঠিত
    close