• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

সুলতান মনসুরের শপথ: প্রবাসী সিলেটীদের মধ্যে আনন্দের বন্যা

প্রকাশ:  ০৫ মার্চ ২০১৯, ১৪:৫৪
ছরওয়ার হোসেন, নিউ ইয়র্ক
ফাইল ছবি

ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের স্মৃতিধন্য দিনে মৌলভীবাজার-২ কুলাউড়া আসনের নির্বাচিত সংসদ সদস্য সাবেক ডাকসু ভিপি ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সুলতান মোহাম্মদ মনসুরের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের খবরে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী সিলেটীরা যেন খুশির জোয়ারে প্লাবিত। নির্বাচনকালীন সময়ে নানা কারণে যেমন সকলের দৃষ্টি ছিলো সুলতান মনসুরের আসন মৌলভীবাজার-২ কুলাউড়ায়, তেমনি তুমুল প্রতিদ্বন্দীতা শেষে বিজয়ী হিসেবে সকলেই তাঁর রাজনৈতিক পুনরুজ্জীবন লাভে আনন্দিত। একই সাথে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটের প্রধান শরীক জাতীয় পার্টি যদিও বর্তমান সংসদে প্রধান বিরোধী দলের ভূমিকায় অবতীর্ণ, তথাপি নানা কারণে মানুষ সুলতান মনসুরকেই জাতীয় সংসদে সরকারের প্রধান সমালোচকের ভূমিকায় দেখতে আগ্রহী।

স্বাধীনতাত্তোর ১৯৭৩সালের আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে বিরোধী দলবিহীন সংসদে সরকারের সমালোচক হিসেবে প্রয়াত বিশিষ্ট পার্লামেন্টারিয়ান শ্রী সুরঞ্জিত সেন গুপ্তের নাম এবং তার সংসদের সরব উপস্থিতি এখনও এক ভিন্ন ইতিহাস। আমরা মনে করি, বর্তমান সংসদে সুলতান মনসুরের ভূমিকা স্বাধীনতা পরবর্তী সেই সুরঞ্জিতের মতোই হতে পারে। বিরোধী দলহীন সংসদে ২০১৯ থেকে সাংসদ সুলতান সেই উত্তাপটুকু ছড়াতে পারেন। কারণ সুলতান মনসুরের দেশপ্রেম, দেশ ও জাতির প্রতি দায়বদ্ধতা, দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের লব্ধ অভিজ্ঞতা এবং তাঁর সৎ সাহস ও স্পষ্টবাদীতাই মানুষের নিকট তাঁর গ্রহণযোগ্যতাকে অনন্য উচ্চতায় ইতোমধ্যে অধিষ্টিত করেছে। প্রবাসীগণ সুলতান মনসুরকে দেশের কল্যাণে অবদান রাখতে সরকারের গঠনমূলক সমালোচনার পাশাপাশি উন্নয়নমূলক কাজের সহযোগী হিসেবে দেখতেও আগ্রহী।

আজীবন একজন নির্লোভ, দেশপ্রেমিক ও দুর্নীতিবিরোধী রাজনীতিক হিসেবে প্রবাসীগণ দেশের বিভিন্ন সেক্টরে বিরাজমান সর্বব্যাপী দুর্নীতির বিরুদ্ধে গণজাগরণ সৃষ্টি ও দুর্নীতি নির্মূলে সরকারকে উৎসাহিত করতে তাঁর কার্যকর ভূমিকা দেখতে চান। প্রবাসীগণ সুলতান মনসুরকে দেশের শিক্ষার গুনগত মানোন্নয়ন ও সর্বস্থরে আধুনিক শিক্ষার প্রসারের মাধ্যমে জ্ঞান বিজ্ঞানে সমৃদ্ধ জাতি গঠনে কার্যকর ভূমিকা পালনে অগ্রণী ভূমিকায় দেখতে চায়। দেশে গণতন্ত্রের বিকাশ, অবাধ ও সুষ্টু নির্বাচন ব্যবস্থা বলিষ্ঠকরণের লক্ষ্যে সুলতান মনসুর অনন্য ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবেন বলে প্রবাসীগণ প্রত্যাশা করেন। এছাড়াও যেহেতু সুলতান মনসুর নিজে প্রবাসীদের সঙ্গে পারিবারিকভাবে একাত্ম, তাই পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে থাকা সমগ্র দেশের ব্যাপকসংখ্যক প্রবাসীদের নানাবিধ সুযোগ সুবিধা প্রদানে প্রবাসের বাংলাদেশ কনস্যুলেটগুলোকে পরিপূর্ণ পেশাদারীত্বের পর্যায়ে আনতে কার্যকর ভূমিকায় অবতীর্ণ হবেন বলে প্রবাসীগণ ব্যাপক প্রত্যাশা করছেন।

এ প্রসঙ্গে নিউ ইয়র্কস্থ বাংলাদেশ সোসাইটির সভাপতি, সিলেটের সন্তান কামাল আহমেদ বলেন, ‘সুলতান মনসুর একজন পরিচ্ছন্ন দেশপ্রেমিক। দীর্ঘদিন পর তিনি জাতীয় সংসদে জাতির কল্যাণে ভূমিকা রাখার সুযোগ পাচ্ছেন। তাতেই আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। আমরা তাঁর সফলতা কামনা করি।’

যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বৃহত্তর সিলেটবাসীর প্রধান সামাজিক সংস্থা জালালাবাদ এসোসিয়েশন অব নিউ ইয়র্ক ইনক-এর সভাপতি বদরুল হোসেন খান সুলতান মনসুরকে সিলেটের মাটি ও মানুষের গৌরব আখ্যায়িত করে বলেন, ‘সুলতান মনসুর সিলেটের মাটি ও মানুষের গৌরব, তিনি সিলেটের ভূমিপুত্র। সততা, স্পষ্টবাদীতা, পরিচ্ছন্ন রাজনৈতিক চিন্তা চেতনার আলোকে তিনিই হতে পারেন দেশের প্রধান বিরোধী দলের মুখপাত্র। তাঁর কণ্ঠই হয়ে উঠতে পারে দেশের গণমানুষের কণ্ঠ। দেশের সর্বব্যাপী দুর্নীতি নির্মূলে ও শিক্ষার মানোন্বয়নে সুলতান মনসুর ঐতিহাসিক ভূমিকা রাখতে পারবেন বলে আমি মনে করি। আমি তাঁর সর্বাঙ্গীন মঙ্গল কামনা করি।

জননেতা সুলতান মনসুরের শপথগ্রহণের সংবাদে আনন্দে চিত্ত বিগলিত প্রবাসের অন্যতম ব্যাপক কমিউনিটি বিয়ানীবাজার সামাজিক সাংস্কৃতিক সোসাইটির সভাপতি মোস্তফা কামাল বলেন, ‘সুলতান মনসুর সিলেটবাসীর অহংকার। বর্তমান সরকারের সময়ে সংসদে প্রধান বিরোধীদল হিসেবে দেশবাসী সুলতান মনসুরকেই বেশী প্রধান্য দেবে। দেশের দুর্নীতি, দলীয়করণ ও চুরি ছিনতাইয়ের বিরুদ্ধে সুলতান মনসুরের ভূমিকা হোক ঐতিহাসিক। আমরা তাই চাই।’

সুলতান মনসুরকে ঘিরে প্রবাসের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ভেতর আশার আলো জ্বলছে। অনেকে মনে করেন সুলতান মনসুর ধিগগিরই আওয়ামী লীগে ফিরবেন। তাঁর হারানো বাগানে আবার ফুটবে ঐশ্বর্যের পুষ্পরাজী। সুলতান মনসুরের একসময়ের একনিষ্ঠ অনুরাগী যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক ও যুবলীগের সাবেক সভাপতি মিছবা আহমদ বলেন, ‘যে যাই বলুক, সুলতান মনসুর বঙ্গবন্ধুর একনিষ্ঠ সৈনিক এ কথা নতুন করে প্রমাণের প্রয়োজন নেই। তাঁর জীবন ও কর্মই উজ্জল প্রমাণ। আমরা তাঁকে আওয়ামী লীগের পতাকাতলে দেখতে চাই। সুলতান মনসুর জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন। সমগ্র দেশের কল্যাণে তাঁর নতুন অভিযাত্রা আরও সাফল্যময় হোক।’

উচ্ছসিতকণ্ঠে নিউ ইয়র্ক স্টেট আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ও সাবেক সিলেট জেলা ছাত্রলীগ নেতা শেখ আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘সুলতান মনসুর যখন বলেন, তিনি আওয়ামী লীগের একজন কর্মী, তাই আমরা আশাবাদী হই। আমরা তাঁকে আবার আওয়ামী লীগের পতাকাতলে দেখতে চাই। সুলতান মনসুরকে অন্য কোথাও মানায় না।’

এদিকে সুলতান মনসুরের শপথগ্রহণকে ঘিরে তাঁর নির্বাচনী এলাকা কুলাউড়ার জনগণের মধ্যে প্রত্যাশার আলো প্রজ্জ্বলিত হয়েছে। তারা যোগ্য নেতৃত্বের অভাবে গত উনিশ বছরে কাঙ্ক্ষিত উন্নয়নবঞ্চিত কুলাউড়া আবার উন্নয়নের ছোঁয়ায় আলোকিত হবে বলে ব্যাপক আশাবাদী।

এ বিষয়ে কুলাউড়ার সন্তান, জর্জিয়া যুবলীগের সভাপতি ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা নুরুল তালুকদার বলেন, ‘সুলতান মনসুর কুলাউড়ার উন্নয়নের বরপুত্র। তাঁর সময়ে ১৯৯৬-২০০১ সময় ছিলো কুলাউড়ার ইতিহাসে সবচেয়ে সমৃদ্ধ সময়। যখন তাঁর সুযোগ্য নেতৃত্বে কুলাউড়ার ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হয়। পরবর্তীতে যোগ্য নেতৃত্বের অভাবে কুলাউড়া কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত হয়েছিলো।’ তিনি বলেন, ‘এবার সুলতান মনসুরের বিজয়ের মধ্য দিয়ে স্বাভাবিকভাবেই কুলাউড়াবাসী আবার উন্নয়নের স্বপ্ন ধারণ করছে। আমি সুষম ও পরিকল্পিত উন্নয়নের মাধ্যনে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপূর্ব লীলাভূমি কুলাউড়াকে একটি মডেল জনপদে পরিণত করতে জননেতা সুলতান মনসুরকে আহ্বান জানাচ্ছি। এজন্য তাঁকে যে কোনরকম সহযোগিতা করতে আমরা বদ্ধপরিকর।’ তিনি আরও বলেন, ‘সকল বাধা অতিক্রম করে জনগণের প্রত্যাশাকে প্রাধান্য দিয়ে শপথ গ্রহণ করে কুলাউড়ার উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে এগিয়ে নিতে বদ্ধপরিকর থাকায় কুলাউড়াবাসীর পক্ষ থেকে জননেতা সুলতান মনসুরকে অভিনন্দন জানাচ্ছি।’

প্রসঙ্গত, সাবেক আওয়ামী লীগ নেতা সুলতান মনসুরের সঙ্গে বৃহত্তর সিলেটের মানুষের সম্পর্ক অত্যন্ত নিবিড়। ১৯৬৮ সালে মৌলভীবাজার বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্রাবস্থায় তিনি উক্ত স্কুলের ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। পরবর্তী সময়ে তিনি বাংলাদেশের সর্বাপেক্ষা সফল ছাত্রনেতায় পরিণত হন। একজন ছাত্রনেতার জীবনের কাঙ্ক্ষিত সকল পদই তিনি অর্জন করতে সক্ষম হন। তিনি ছিলেন ১৯৭০ সালে মৌলভীবাজার জেলা ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা কমিটির সহ সম্পাদক। তিনি ১৯৬৯ সালের গণ অভ্যুত্থান ও ৭০’র নির্বাচনে অবদান রাখার পাশাপাশি ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন।

স্বাধীন বাংলাদেশে সুলতান মনসুরের রাজনৈতিক জয়যাত্রা সিলেট থেকেই শুরু হয়। একাধারে তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে বিভিন্ন সময়ে সিলেট এম সি ইন্টারমিডিয়েট কলেজ (বর্তমান সিলেট সরকারী কলেজ) ও মদনমোহন কলেজ ছাত্রসংসদের ভিপি নির্বাচিত হন। তিনি এমসি কলেজ ছাত্র সংসদের ছাত্রলীগ মনোনীত প্যানেলের জি এস মনোনীত হয়েছিলেন। তিনি সিলেট জেলা ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যার প্রতিবাদে সকল ভয় উপেক্ষা করে প্রধানত তারই নেতৃত্বে সিলেটে প্রথম প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছিলো। একই সালের ৩রা নভেম্বর কারাগারের অন্ধকার প্রকোষ্ঠে জাতীয় চার নেতাকে হত্যার প্রতিবাদে সিলেটে অনুষ্ঠিত প্রথম প্রতিবাদ মিছিলের উদ্যোক্তা ও তৎকালীন ছাত্রনেতা সুলতান মনসুর। এছাড়াও সুলতান মনসুর নিজেকে অনন্য উচ্চতায় অধিষ্ঠিত করেন ৭৫’র ১৫ই আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদে দখলদার সরকার তথা খুনীচক্রের উপর প্রতিশোধ গ্রহণের লক্ষ্যে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরোত্তমের নেতৃত্বে গঠিত ভারতে নির্বাসিত ‘জাতীয় মুক্তিবাহিনী’তে অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে। তিনি অনেক বন্ধু-বান্ধবদের নিয়ে জাতীয় মুক্তিবাহিনীতে যোগদান করেন। তিনি ভারতের ইন্দিরা গান্ধী সরকারের সমর্থিত জাতীয় মুক্তিবাহিনীর তথ্য ও প্রচার সেলের কমান্ডার নিযুক্ত হন। যদিও ১৯৭৭ সালে ভারতে ইন্দিরা গান্ধীর সরকারের স্থলে মোরারজী দেশাইয়ের সরকার ক্ষমতায় আরোহণ করলে জাতীয় মুক্তিবাহিনীর লড়াইয়ের পথ সংকুচিত হয়ে পড়ে এবং রণে ভঙ্গ দিতে বাধ্য হন।

বৃহত্তর সিলেটের মানুষের সাথে সুলতান মনসুরের সম্পর্ক নিবিড় হয়ে উঠে ১৯৭৯ সালের নভেম্বরে ভারত থেকে প্রত্যাবর্তনের পর। তখন তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন এবং কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগে পুনরায় অন্তর্ভূক্তি ঘটে। দেশব্যাপী বাংলাদেশ ছাত্রলীগের পুনরুজ্জীবন আন্দোলনে তিনি সম্মূখ থেকে নেতৃত্ব দেন। এসময় তিনি টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া আর সুনামগঞ্জ থেকে সুন্দরবনসহ সমগ্র দেশে ছাত্রলীগকে সংগঠিত করার সংগ্রামে আত্ননিয়োগের পাশাপাশি বৃহত্তর সিলেটে ছাত্রলীগকে সংগঠিত ও পুনরুজ্জীবিত করার দায়িত্বভার নিজ স্কন্ধে তুলে নেন। সে সুযোগে তাঁরই হাত ধরে ছাত্রলীগের পতাকাতলে হাজার হাজার নেতাকর্মীর আগমন ঘটে। বৃহত্তর সিলেটের প্রতিটি উপজেলার প্রতিটি জনপদে সুলতান মনসুরের হাতে গড়া কর্মীদের উপস্থিতি রয়েছে। রাজনীতির ধারাবাহিকতায় পবর্তীতে ডাকসু ভিপি নির্বাচিত হওয়া এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগটনিক সম্পাদক হওয়ার মধ্য দিয়ে যা আরও সুসংহত হয়। একই সূত্রে সমগ্র দেশে সুলতান মনসুরের হাতে গড়া অনুরাগী নেতাকর্মীদের অবস্থান সুদৃঢ়।

প্রবাসের মাঠিতে সুলতান মনসুরের অনুরাগী অজস্র নেতাকর্মী ও সুভানূধ্যায়ী বিগত নির্বাচনে তাঁর পক্ষে জনমত সৃষ্টিতে অবদান রেখেছেন। যদিও তারা অনেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন দলের নানা পর্যায়ে নেতৃত্বে রয়েছেন, তথাপি, প্রবাস থেকে তাঁর প্রতি সমর্থন ও আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করতে বলিষ্ট ভূমিকা রাখেন। যারা তাঁর সংসদ সদস্য পদে শপথ গ্রহণের সংবাদে আনন্দে বিহ্বল।

উল্লেখ্য, গত ৩০শে ডিসেম্বর অনুষ্টিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মৌলভীবাজার-২ কুলাউড়া আসনে সুলতান মনসুর ডঃ কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী হিসেবে গণফোরামের হয়ে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নিয়ে ৭৯,৪৪২ ভোট পেয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তাঁর প্রতিদ্বন্দি ছিলেন নির্বাচনের পূর্বে বিএনপি থেকে বিকল্পধারায় যোগ দেওয়া এম এম শাহিন। যিনি মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতিকে নির্বাচন করে ৭৭,১৭০ ভোট লাভে সক্ষম হন। এ নির্বাচনে সুলতান মনসুরের ব্যাপকসংখ্যক নেতাকর্মী পুলিশী নির্যাতনের শিকার হন, যার মধ্যে কয়েকজন ইউপি চেয়ারম্যানও ছিলেন। এ বিষয়ে নির্বাচনের পূর্বে তিনি সংবাদ সম্মেলন করেন এবং কুলাউড়াবাসীর প্রতি খোলা চিটি লিখে তা বিলি করেন। এ সকল প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে তাঁর পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টি হয় এবং তিনি সকল বাধা অতিক্রম করে কাঙ্ক্ষিত বিজয় ছিনিয়ে আনতে সক্ষম হন। নেতাকর্মীরা স্বাধীনভাবে নির্বাচনী কাজে অংশগ্রহণ করতে পারলে প্রতিদ্বন্দি প্রার্থীর বিপরীতে তাঁর ভোটের ব্যবধান আরও কয়েকগুণ বাড়তো বলে সুলতান মনসুর মনে করেন।

নির্বাচন পরবর্তীতে নির্বাচনে ভোট কাঁরচুপির অভিযোগে ঐক্যফ্রন্টের প্রধান শরীক বিএনপির অনীহার কারণে ঐক্যফ্রন্টের নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের শপথগ্রহণ নিয়ে অনিশ্চয়তার সৃষ্টি হয়। কিন্তু প্রথম থেকেই সুলতান মনসুর শপথগ্রহণ প্রশ্নে ইতিবাচক ছিলেন। যার ফলশ্রুতিতে আগামী ৭ই মার্চ বৃহস্পতিবার সকাল সকাল ১১টায় সংসদ সচিবালয়ে সুলতান মনসুর এবং সিলেট-২ আসন থেকে নির্বাচিত ঐক্যফ্রন্টের অপর সংসদ সদস্য গণফোরামের প্রেসিডিয়াম মেম্বার মোকাব্বির খানের শপথ গ্রহণের সময়সূচি ধার্য করা হয়েছে।


/পিবিডি/একে

সুলতান মনসুর আহমদ
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close