সরকার মানুষের রক্ত শুষে নিচ্ছে: রিজভী

বর্তমান সরকার জনগণের রক্ত শুষে নিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। শুক্রবার (২ জুন) সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় এক দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪২তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে জিয়া পরিষদ। দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের সদস্য সচিব নজরুল ইসলাম তালুকদার।
সম্পর্কিত খবর
রুহুল কবির রিজভী বলেন, গোটা জাতির রক্ত শুষে নিচ্ছে বর্তমান সরকার। প্রধানমন্ত্রী বলেন কিসের গণতন্ত্র? আগে উন্নয়ন। আসলে যারা জনগণকে ভয় পায় সেই সরকার এ ধরনের কথা বলে। অন্যদিকে জিয়াউর রহমান উন্নয়নের দিকে গেছেন, একই সঙ্গে বহুদলীয় গণতন্ত্রের দিকেও গেছেন। এটাই হলো জিয়াউর রহমান।
তিনি বলেন, একটি জাতিকে স্বয়ংসম্পূর্ণ করা, আত্মনির্ভরশীল করা এবং সামনের দিকে এগিয়ে নেওয়ার যে প্রয়াস- তার সবই করেছিলেন জিয়াউর রহমান। তিনি মানুষকে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর জন্য উদ্বুদ্ধ করেছিলেন। যা একজন বড় মাপের রাষ্ট্রনায়ক না হলে কখনোই সম্ভব নয়।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, স্বাধীনতার পর যারা ক্ষমতায় ছিলেন তাদের দুর্নীতি, অনাচার, লুটপাট, টাকা পাচার ও রক্ষীবাহিনীর অত্যাচার উপেক্ষা করে যুদ্ধবিধ্বস্ত জাতিকে একটি আত্মনির্ভরশীল জাতি করতে নিজের পায়ে দাঁড় করিয়েছিলেন। যা বড় মাপের রাষ্ট্রনায়ক না হলে সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের বাজেট নিয়ে বলার কিছু নেই। প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষার্থীরা, স্কুলের শিক্ষার্থীরা স্কুলে যায়, কলম নিয়ে লেখালেখি করে। আড়াই টাকা, তিন টাকার কলমে ১৫ শতাংশ কর আরোপ করা হয়েছে। তাহলে এটা কার সরকার? এই যে লুটপাট করেছে, টাকা পাচার করেছে, মেগা প্রজেক্টে নেতাকর্মীদের টাকা লুটের সুযোগ দিয়েছে। আসলে এই সরকার মানুষের জীবন থেকে রক্ত নিংড়ে নিচ্ছে। যেমন ভ্যাম্পায়ার রক্ত শুষে নেয়। সেরকম এই সরকার মানুষের রক্ত শুষে নিচ্ছে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জিয়া পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুস। আবুল কালাম আজাদের পরিচালনায় এতে উপস্থিত ছিলেন জিয়া পরিষদের মহাসচিব এমতাজ হোসেন, জিয়া পরিষদের সদস্য শফিকুল ইসলাম, লুৎফর রহমান, এম জহির আলী, দেওয়ান মাহফুজুর রহমান ফরহাদ, আবদুল্লাহিল মাসুদ, মজিবুর রহমান হাওলাদার, মো. শামসুল আলম, মো. নূরুল ইসলাম প্রমুখ।
পূর্বপশ্চিমবিডি/এসএম