‘বিএনপি করেছে দুর্নীতি আ.লীগ করেছে উন্নয়ন’
হবিগঞ্জ-৩ (সদর-লাখাই-শায়েস্তাগঞ্জ) আসনে মহাজোটের প্রার্থী, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট মোঃ আবু জাহির এমপি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্নয়নের রাজনীতিতে বিশ্বাসী বলেই আমি হবিগঞ্জ-লাখাই-শায়েস্তাগঞ্জে ব্যাপক উন্নয়ন করতে পেরেছি। অপরদিকে বিএনপি-জামায়াত দুর্নীতিতে বিশ্বাসী। দেশের সেরা ৫০ দুর্নীতিবাজের তালিকায়ও নাম উঠেছিল হবিগঞ্জে বিএনপি নেতার। ভোট আসলে তারা মিথ্যাচার এবং মায়াকান্না করে ভোট প্রার্থনা করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে দেড় কোটি মানুষের কর্মসংস্থান এবং গ্রামকে শহরে রূপান্তরের ঘোষণা দিয়েছেন। ইতোমধ্যে এই কাজ শুরু হয়েছে। গ্রামে গ্রামে বিদ্যুৎ, রাস্তাঘাট হয়ে গেছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠছে। প্রতিটি এলাকায় কমিউনিটি ক্লিনিক গড়ে তোলার কাজ এগিয়ে চলছে। যা বন্ধ করে দিয়েছিলেন খালেদা জিয়া। আমরা চাই; এই বন্ধ করা রাজনীতি থেকে জনগণকে রক্ষা করে উন্নতির দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য। হবিগঞ্জের সকল এলাকায় উন্নয়ন হয়েছে। বিশেষ করে লাখাইয়ের হাওরে বিদ্যুতের আলো জ্বলেছে।
সম্পর্কিত খবর
রোববার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেলে দিনব্যাপী লাখাই উপজেলার বামৈ বড় বাজার ও বুল্লা বাজারসহ বিভিন্ন স্থানে নির্বাচনী প্রচারণা সভা ও গণসংযোগকালে তিনি এসব কথা বলেন।
এমপি আবু জাহির আরো বলেন, প্রতিদিন আমার কাছে লাখাই’র জনগণ ছুটে আসেন। আমার ঘরে যখন জনগণ আসেন; তখন আমি আনন্দিত হই। আমি জনগণের সাথে থাকতেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। সংসদ চলাকালেও সুযোগ পেলেই ছুটে আসি আপনাদের মাঝে। ঢাকাতে থাকলেও আমার এলাকার জনগণ আমার পাশেই থাকেন। আর যারা নির্বাচন আসলে আপনাদের পাশে গিয়ে মিষ্টি কথা বলেন, তারা উদ্দেশ্য ভাল নয়। তাদের ব্যাপারে সতর্ক থাকুন।
তিনি আরো বলেন, বড় কিছু পাওয়ার সময় কিছুটা কষ্ট করতে হয়। হবিগঞ্জ-লাখাই সড়কে দেড়শ’ কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ চলমান থাকায়, চলাচলে কিছুটা কষ্ট হচ্ছে। তবে যখন সবগুলো ব্রীজ এবং রাস্তার কাজ শেষ হবে তখন পাল্টে যাবে লাখাইয়ের চিত্র। সিলেট বিভাগের বিভিন্ন স্থানের লোকজন এই রাস্তা দিয়েই রাজধানীতে যাবেন। কিশোরগঞ্জের মানুষও এদিকে আসবেন। ঢাকায় থাকা লাখাইবাসী স্বাচ্ছন্দ্যে বাড়িতে আসবেন।
এখানকার কৃষকদের ফলানো ফসল সহজেই বিভিন্ন স্থানে বিক্রির জন্য চলে যাবে। এখানকার কৃষক, জেলে, শ্রমিকসহ সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের আর্ত সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন ঘটবে। একটি সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার মাধ্যমেই লাখাইকে এগিয়ে নেয়ার কাজ চলমান রয়েছে। এই চলমান কাজকে সুন্দর পরিণতির দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য আবারো আপনাদের ভোট কামনা করছি। নির্বাচিত হলে লাখাই উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে অন্তত একটি কলেজ প্রতিষ্ঠাসহ প্রয়োজনীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হবে। নির্মাণ করা হবে স্টেডিয়াম, সংস্কৃতি চর্চার জন্য করা হবে অডিটোরিয়াম। চিকিৎসা সেবার উন্নয়নের হাসপাতালের চিকিৎসক সহ সকল সংকট দূর করব ইনশাল্লাহ। কৃষকদেরকে ভর্তুকি অব্যাহত রাখার পাশাপাশি বিভিন্ন যন্ত্রপাতি আরো বেশি করে প্রদান করা হবে। খাল এবং নদী নালা খননের মাধ্যমে সুজলা-সুফলা শষ্য শ্যামলা লাখাই গড়ে তুলতে চাই।
/পি.এস