প্রবীণের কাছে ধরাশায়ী নবীন ডা. সানসিলা
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সর্বকনিষ্ঠ ও নবীন প্রার্থী হিসেবে লড়েছেন ডা. সানসিলা জেবরিন প্রিয়াংকা। তিনি শেরপুর-১ (সদর) আসনে বিএনপির প্রার্থী ছিলেন। তার বিপরিতে আওয়ামী লীগ থেকে লড়েছেন প্রবীণ প্রার্থী আতিউর রহমান আতিক।
প্রচার-প্রচারণার শুরু থেকেই একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ ও পাল্টা-অভিযোগে বেশ জমে উঠেছিল এ আসনের নির্বাচনী আমেজ। ধারণা করা হচ্ছিল দু'জনের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে। কিন্তু হয়েছে তার উল্টো। প্রবীণের কাছে ধরাশায়ী-ই হয়েছেন ডা. সানসিলা জেবরিন প্রিয়াংকা।
সম্পর্কিত খবর
শেরপুর-১ আসনে ফের জয়ী হয়েছেন জাতীয় সংসদের হুইপ আতিউর রহমান আতিক। তিনি পেয়েছেন ২ লাখ ৮৭ হাজার ২৫২ ভোট।
অন্যদিকে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ডা. প্রিয়াংকা পেয়েছেন ২৭ হাজার ৬৪৩ ভোট। ডা. প্রিয়াংকা ভোটে কারচুপি ও কেন্দ্র দখলের অভিযোগ তুলেছেন। বলেছেন, তার আসনে ভোট ডাকাতি হয়েছে।
সর্বকনিষ্ট প্রার্থী প্রিয়াংকা জীবনের প্রথম ভোটটি এবারই দিলেন। নিজেকেই ভোট দিয়েছেন তিনি।
জন্ম তারিখ হিসেবে প্রিয়াংকার বর্তমানে বয়স মাত্র ২৫ বছর ৬ মাস। পেশায় চিকিৎসক সানসিলা শেরপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ডা. হযরত আলীর মেয়ে।
এ আসনে বিএনপির মূল প্রার্থী ছিলেন হযরত আলী। তিনিসহ বিএনপির তিন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়ায় ভাগ্য সুপ্রসন্ন হয়েছে সানসিলার। তিনিই এ আসনে বিএনপির একমাত্র প্রার্থী হন।
সানসিলা স্থানীয়দের কাছে ডা. প্রিয়াংকা নামে পরিচিত। রাজনীতিতে আনকোরা প্রিয়াংকা চিকিৎসক হিসেবে বেশ সুনাম কুড়িয়েছেন। তিনি ধানমণ্ডির আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের প্রভাষক।
পিবিডি/এসএম