• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||

আ.লীগ ধর্মনিরপেক্ষ রাজনৈতিক আদর্শে বিশ্বাস করে: নওফেল

প্রকাশ:  ১২ জানুয়ারি ২০১৯, ২২:৩১
নিজস্ব প্রতিবেদক

শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেছেন, আওয়ামী লীগ ধর্মনিরপেক্ষ রাজনৈতিক আদর্শে বিশ্বাস করে। বাংলাদেশের সংবিধান ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র গঠন করতে আমাদের বাধ্য করেছে।

শনিবার (১২ জানুয়ারি) সকালে চট্টগ্রাম নগরীর চশমাহিলের বাসায় সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

নওফেল বলেন, আওয়ামী লীগ ধর্মনিরপেক্ষ রাজনৈতিক আদর্শে বিশ্বাস করে। বাংলাদেশের সংবিধান ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র গঠন করতে আমাদের বাধ্য করেছে। আমরা অবশ্যই ইসলামের অনুশাসন মেনে চলব, সনাতন ধর্মাবলম্বীরা তাদের অনুশাসন মেনে চলবেন। কিন্তু অসাম্প্রদায়িক, ধর্মনিরপেক্ষ কারিকুলাম অত্যন্ত প্রয়োজন। পাশাপাশি ধর্মীয় শিক্ষার মানোন্নয়নও খুবই প্রয়োজন। এতে সমাজে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি হবে না।

এদিন তিনি হেফাজতের আমীরের নাম উল্লেখ না করে বলেন, যিনি এই মন্তব্যটা করেছেন, তিনি তার ব্যক্তিগত অভিমত দিয়েছেন। বাংলাদেশের শিক্ষানীতি প্রণয়ন, শিক্ষা ব্যবস্থাপনা বা পরিচালনা অথবা শিক্ষা খাতে কোনো নির্বাহী দায়িত্বে তিনি নেই। যেহেতু তিনি কোনো ধরনের সিদ্ধান্ত গ্রহণের অবস্থানে নেই, তিনি অভিমত দিলেই সেটা রাষ্ট্রীয় নীতিতে অন্তর্ভুক্ত বা প্রতিফলিত হবে, এমন চিন্তা করবার অবকাশ নেই। সমাজে এরকম অনেকেই অনেক ধরনের অভিমত দেন।

এ প্রতিক্রিয়ায় শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, ‘দেশের যেকোনো নাগরিকেরই বাকস্বাধীনতা আছে। তার মনের ভাবনা প্রকাশ করার অধিকার আছে। তবে আমি সম্মানের সাথে বলব, আমরা সকলেই যারা বাকস্বাধীনতার চর্চা করছি, আমরা যেন এই বিষয়টা মাথায় রাখি যে- সংবিধান অনুসারে আমাদের সকলের সমান অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে। আমরা যেন বৈষম্যমূলক মন্তব্য না করি।’

পিইসি-জেএসসি পরীক্ষার আদৌ প্রয়োজন আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, পিইসি পরীক্ষা একটা পাবলিক পরীক্ষায় পরিণত হয়ে গেছে। এখন এটা কিভাবে নিরসন করা যায়, সেই চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে প্রাইমারি স্কুল লেভেলের একটা সার্টিফিকেটেরও প্রয়োজন আছে।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় জনপ্রতিনিধিদের অন্তর্ভুক্তিতে রাজনীতিকরণের সুযোগ থাকে মন্তব্য করে নওফেল বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জনপ্রতিনিধিদের সম্পৃক্ততা ভালো কিন্তু আবার রাজনীতিকরণের একটা সমস্যা সৃষ্টি হয়ে যায়। কারণ একজন জনপ্রতিনিধির কাছে ভর্তি সংক্রান্ত, নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে মানুষের তদবির থাকে। একজন জনপ্রতিনিধির এসব তদবির অগ্রাহ্য করাটা খুবই কঠিন। ফিল্ড ওপিনিয়ন বলছে, সেক্ষেত্রে কর্মকর্তা দ্বারা যদি একটা মিশ্রণ করা হয়, তাহলে পাবলিক ডিমান্ড এবং প্রফেশনাল ম্যানেজমেন্টের মধ্যে সামঞ্জস্য আসবে। এই বিষয়ে অবশ্য আমরা একমত।

মতবিনিময় সভায় নওফেলের সঙ্গে চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ সালাম, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সভাপতি কলিম সরওয়ার, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি নাজিমউদ্দিন শ্যামল, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি গিয়াস উদ্দিন এবং শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক বেদারুল আলম চৌধুরী বেদার, স্বাচিপ নেতা ডা. শেখ শফিউল আজমসহ নেতাকর্মীরা ছিলেন।

পিবিডি/রবিউল

মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল,আওয়ামী লীগ,হেফাজতের আমীর
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close