• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||

সংবাদ সম্মেলনে সাবেক ছাত্রলীগ নেতারা

মহিউদ্দিন সোহেল চাঁদাবাজ ছিলেন না, হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি

প্রকাশ:  ১৩ জানুয়ারি ২০১৯, ১৫:৪৭
নিজস্ব প্রতিবেদক

আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সাবেক সহ সম্পাদক মহিউদ্দিন সোহেল চাঁদাবাজ ছিলেন না বলে দাবি করেছেন ছাত্রলীগের সাবেক নেতারা। তারা মহিউদ্দিন সোহেলের হত্যায় জড়িতদের বিচার দাবি করেছেন।

রোববার (১৩ জানুয়ারি) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) এক সংবাদ সম্মেলন করেন ছাত্রলীগের সাবেক নেতারা।

সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাহমুদ হাসান রিপন বলেন, মহিউদ্দিন সোহেল কোনো ছিঁচকে সন্ত্রাসী বা চাঁদাবাজ ছিলেন না। তার পারিবারিক ঐতিহ্য এবং সাংগঠনিক ভিত্তি ছিল। তিনি বাংলাদেশ রেলওয়ের একজন প্রথম শ্রেণির ঠিকাদার এবং আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সাবেক সহ-সম্পাদক ছিলেন। এর আগে তিনি ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির উপ-শিক্ষা ও পাঠ্যক্রম বিষয়ক সম্পাদকও ছিলেন।

তিনি বলেন, সোহেল দীর্ঘদিন ঢাকায় রাজনীতি করার পর গত বছর জন্মস্থান চট্টগ্রামের পাহাড়তলীতে এসে দিশারী ক্লাবকে পুনরায় সংগঠিত করেন। ক্লাবটি ১৯৯৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হলেও দীর্ঘদিন কোনো কার্যক্রম ছিল না। এই ক্লাবটি পুনরায় সংঠিত করে তিনি স্থানীয় কয়েকটি মাদকের আখড়া ভেঙে দেন। শুধু তাই নয়, স্থানীয় কাউন্সিলর সাবের সওদাগরের নেতৃত্বে ও সাবেক জামায়াত নেতা, বর্তমানে স্থানীয় জাতীয় পার্টির নেতা ওসমান গনির পৃষ্ঠপোষকতায় গড়ে ওঠা কয়েকটি অনৈতিক ব্যবসার আখড়া ভেঙে দিয়ে এলাকাবাসীর জন্য জানাজার নামাজের মাঠ নির্মাণ করে দেন। এ ধরণের আরও জনকল্যাণকর উদ্যোগের ফলশ্রুতিতে ভূমিদস্যু, মাদক এবং অসামাজিক কার্যকলাপে যুক্তদের রোষানলে পড়েছিলেন।

মাহমুদ হাসান রিপন বলেন, আমরা আমাদের সহকর্মীকে আর ফিরে পাবো না। আমাদের সহযোদ্ধাকে নির্মমভাবে হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। একজন মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান হিসেবে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সরকার ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় তার জন্য কি আমরা এতটুকু প্রত্যাশা করতে পারি না?

গত সোমবার (৭ জানুয়ারি) সকালে চট্টগ্রামের পাহাড়তলী রেলওয়ে বাজারের ব্যবসায়ীদের ‘পিটুনিতে’ সোহেল নিহত হন। সেদিন পুলিশ জানিয়েছিল, ‘চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ’ হয়ে তাকে গণপিটুনি দেয় স্থানীয়রা। সোহেলের শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের বিষয়টিও জানিয়েছিল পুলিশ।

মহিউদ্দিনের মৃত্যুর ঘটনায় গত মঙ্গলবার (৮জানুয়ারি) তার ভাই ডবলমুরিং থানায় স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও রেলওয়ে বাজার ব্যবসায়ী সমিতির আহ্বায়ক সাবের আহম্মেদ ও জাতীয় পার্টির নেতা ওসমান খানসহ ২৭ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা করেন। ওই মামলায় বৃহস্পতিবার ওসমান খানকে গ্রেফতার করে ৫ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।

পিবিডি/মিশু

চাঁদাবাজ,চট্টগ্রাম,হত্যা,ছাত্রলীগ
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close