• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||

উপজেলা নির্বাচন: গোদাগাড়ীতে সরকালদলীয় প্রার্থীর ছাড়াছড়ি

প্রকাশ:  ২২ জানুয়ারি ২০১৯, ১৬:৫০
রাজশাহী প্রতিনিধি

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আমেজ কাটতে না কাটতেই শুরু হয়েছে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তোড়জোড়। আগামী মার্চ মাসেই উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে নির্বাচন কমিশনের ঘোষণার পর গোদাগাড়ীতে বইছে উপজেলা নির্বাচনের হাওয়া। উপজেলাবাসী দেখার অপেক্ষায় আছেন কারা হচ্ছেন উপজেলা চেয়ারম্যান পদের প্রার্থী। এই নিয়ে চায়ের আড্ডায় আর মাঠে ময়দানে চলছে আলোচনার ঝড়।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মহা বিজয়ের পর সরকার দলীয় নেতাকর্মীদের মাঝে উপজেলা নির্বাচনের প্রাণচাঞ্চল্য লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তবে বিএনপি জামায়াত চুপ রয়েছে পরাজয়ের গ্লানি নিয়ে। তারা উপজেলা নির্বাচনে আদৌ অংশ গ্রহণ করবে কিনা তা এখনো পরিষ্কার নয়। ফলে এক রকম এক তরফা আওয়ামী লীগের মধ্যে রয়েছে উপজেলা নির্বাচনের জন্য তোড়জোড়। বিএনপি-জামায়াত নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করবে না এমন ধারণা থেকেই আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীর ছড়াছড়ি। কেননা বিএনপি-জামায়াত নির্বাচনে না আসলে আওয়ামী লীগ হতে প্রার্থী হতে পারলেই খুব সহজেই চেয়ারম্যান হবার সম্ভাবনা বেশী থেকে মনোনয়ন চাইবেন অনেকইে।

সম্পর্কিত খবর

    খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এবারের নির্বাচনে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে গোদাগাড়ীতে আওয়ামী লীগ অন্তত ১০ জন মনোনয়ন চাইবেন। এছাড়াও ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে একজনের নাম শোনা যাচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত বিএনপি ও জামায়াতের মনোনয়ন প্রত্যাশী কাউকে পাওয়া যায়নি।

    আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান পদে যারা মনোনয়ন চাইবেন তারা হলেন, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য সদস্য এবং রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি একেএম আতাউর রহমান খান, ২০১৪ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ঘোষিত প্রার্থী ও রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম আসাদুজ্জামান আসাদ, বিএনপি হতে সদ্য আওয়ামী লীগে যোগদানকৃত বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ইসহাক আলী, জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ও দেওপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান আকতারুজ্জামান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বদিউজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ, পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান সহ-সভাপতি আব্দুল মালেক, পৌরসভা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ সদস্য রবিউল আলম, উপজেলা যুবলীগ সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম এবং গোগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ সভাপতি মজিবুর রহমান।

    ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন প্রাত্যাশীরা হলেন, গোদাগাড়ী উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি শফিকুল সরকার, গোদাগাড়ী পৌরসভা যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ-আল-মামুন ও রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজশাহী-১ আসনের প্রধান সমন্বয়ক সালমান ফিরোজ ফয়সাল। এছাড়াও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে গোদাগাড়ী উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুফিয়া খাতুন মিলির নাম শোনা যাচ্ছে।

    বর্তমান উপজেলা পারিষদ চেয়ারম্যান ইসহাক আলী বলেন, ‘আমি সবে মাত্র দলে যোগদান করেছি। আওয়ামী লীগ বৃহৎ দল। সেখানে প্রত্যাশা বেশী। তবে রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও স্থানীয় তিনবারের সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরীর সবুজ সংকেত পেলে নিজে ভোট করতে আগ্রহী।

    বর্তমান উপজেলা যুবলীগ সভাপতি ও স্থানীয় এমপির আস্থাভাজন হিসেবে পরিচিতি জাহাঙ্গীর আলম প্রায় বছর খানেক থেকে বড় বড় ফেস্টুন আর ব্যানার টাঙ্গিয়ে প্রচারণা চালিয় যাচ্ছেন। ফাইনাল টিকেট পেতে জোড় তৎপরতা চালাচ্ছেন তিনি।

    ২০১৪ সালের আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী ছিলেন জেলার সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম আসাদুজ্জামান আসাদ। তিনি বর্তমান চেয়ারম্যানের কাছে পরাজিত হন। আর আগেও তিনি ২০০৯ সালে নির্বাচনে অংশ নেন। তবে তিনি ভোটের মাঠে প্রাচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। এছাড়াও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি বদিউজ্জামান নির্বচন করার ঘোষণা দিয়ে মাঠে রয়েছেন।

    উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ বলেন, ‘জনগণ চাইলে এবং এমপি ওমর ফারুক চৌধুরীর আস্থা পেয়ে নির্বাচন করতে চাই। কারো বিরোধীতা করে নয়।’

    ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন প্রত্যাশি উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি শফিকুল সরকার ভোটের মাঠে জোর প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে গণসংযোগ ছাড়াও ভোটারদের দৃষ্টি কাড়তে হাতিতে চড়ে হাত নেড়ে জনগণের মন জয় করার চেষ্টা করছেন। প্রচারে নেমেছেন পৌর যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল-মামুন ও ছাত্রলীগ নেতা সালমান ফিরোজ ফয়সাল। ফেসবুকেও তারা প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছেন।

    মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সুফিয়া খাতুন মিলি নিজেকে প্রার্থী ঘোষণা করলেও নির্বাচনের মাঠে তৎপরতা দেখা যায়নি। তিনি বলেন, ‘আমি ফাইনাল সংকেত পেয়েই মাঠে নামবো।’

    বর্তমান উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও জায়ামাত নেতা কামরুজ্জামান এবং মহিল ভাইস চেয়ারম্যান রওশন আরা ডলির সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা বলেন, ‘এখনো নির্বাচনের বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। দলীয় সিদ্ধান্ত পেলে আমরা নির্বাচনের বিষয়ে মুখ খুলতে পারব।’

    পিবিডি/ওএফ

    • সর্বশেষ
    • সর্বাধিক পঠিত
    close