অগ্নিকাণ্ডে নিহত ডা. ইমতিয়াজ ইমরুল রাসুর মরদেহ দাফন
ঢাকার চকবাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে নিহত তরুণ চিকিৎসক বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজের শেষ বর্ষের ছাত্র ডা. ইমতিয়াজ ইমরুল রাসুর দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
শুক্রবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টায় তার নিজ গ্রাম পাবনার বেড়া উপজেলাপর কাশিনাথপুরের রাকসা সাফুল্লা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। পরে স্থানীয় কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
সম্পর্কিত খবর
রাকসা সাফুল্লা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম ও একই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সহকারি শিক্ষকা মা জান্নাতুল ফেরদৌসের বড় ছেলে ছিলেন তিনি।গ্রামজুড়ে মেধাবী ও বিনয়ী চরিত্রের অধিকারী হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তার মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তিন বোন ও দুই ভায়ের মধ্যে তিনি তৃতীয় সন্তান। ডা. ইমতিয়াজ ইমরুল রাসুর মা জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, দুর্ঘটনার ২ ঘন্টা আগে কথা হয়েছিলো ছেলের সাথে আমার। ছেলে রাসুর স্বপ্ন ছিলো, সে তার বড় দুই মামার মত নিজ গ্রামে একটি সেবা কক্ষ তৈরি করবে। এলাকার গরীব, অসহায় অসুস্থ মানুষদের সেবা করবে। ছেলে হারানোর বেদনায় ভেঙ্গে পড়েছেন রাসুর বাবা নজরুল ইসলামও।
অগ্নিকাণ্ডের দুর্ঘটনার সময় তিনি প্রাইভেট চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছিলেন। নিহত রাসুর নামাজে জানাজায় স্থানীয় শত শত মুসুল্লীদের সাথে বেড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আসিফ আমান সিদ্দিক অংশ নেন। রাসুর মৃত্যুতে শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাতে গিয়ে তিনি বলেন, চকবাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে অনেক মানুষই নিহত ও আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় যারা নিহত হলেন আমরা তাদের মাগফিরাত কামনা করি। আজকে যে ঘটনা ঘটলো এটা থেকে প্রত্যেককে তার নিজ নিজ জায়গা থেকে আসুন শিক্ষা গ্রহণ করি। এ ধরণের ঘটনা যেন আর না ঘটে তার জন্য সরকারকে সহযোগিতা করি।
এদিকে রাসুর জানাজা পরবর্তী পাবনার কেন্দ্রীয় চাপা বিবি ওয়াকফ মসজিদে জুম্মার নামাজে বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। তাতে চকবাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে নিহতরা সকলে যেন শহীদের মর্যাদা লাভ করেন। তার জন্য মহান আল্লাহর দরবারে দোয়া কামনা করেন মুসুল্লীরা। জেলার অন্যান্য মসজিদ ও উপাসনালয়ে বিশেষ মোনাজাত ও প্রার্থণা অনুষ্ঠিত হয়।
পিবিডি/আর-এইচ