Most important heading here
Less important heading here
Some additional information here
Emphasized textSome additional information here
Emphasized textস্নাতক পরীক্ষার ফরম পূরণে বাড়তি টাকা নেওয়ার প্রতিবাদ করায় রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের এক ছাত্র বেদম মারধরের শিকার হয়েছেন। ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা তাঁকে মারধর করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার এ ঘটনা ঘটে।
নির্যাতনের শিকার রহিম ফরায়েজি (২৭) নামের ওই ছাত্র জানান, স্নাতক চূড়ান্ত পরীক্ষার ফরম পূরণের জন্য ফি বাবদ তাঁরা ৪ হাজার ৬৭৫ টাকা ব্যাংকে জমা দিয়েছেন। যার রশিদ রয়েছে। এর পরে পরীক্ষার জন্য পূরণীয় ফরমগুলো সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে বিনা মূল্যে সরবরাহ করার কথা থাকলেও সেগুলো সংগ্রহ করতে হয় কলেজ সংসদে ছাত্রলীগের নেতাদের কাছ থেকে। প্রতি ফরমের জন্য ৫০০ টাকা করে নেওয়া হয়, যার কোনো রশিদও দেওয়া হয় না।
রহিম বলেন, তিনিসহ ভুক্তভোগী কয়েকজন শিক্ষার্থী বিষয়টি নিয়ে কলেজের অধ্যক্ষের সঙ্গে কথা বলেন। কিন্তু অধ্যক্ষ কোনো সুরাহা করতে পারবেন না বলে জানান। এরপর রহিমসহ কয়েকজন এ বিষয়ে ছাত্রলীগ নেতাদের সঙ্গে কথা বলতে বেলা ১১টার দিকে ছাত্রসংসদে যান। সেখানে ছাত্রলীগের কলেজ শাখার নেতাদের সঙ্গে রহিমের বাগ্বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে তাঁরা রহিমকে বেদম মারধর করেন।
রহিম বলেন, মারের চোটে এখন কানে শুনি না। একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছি। কানের দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসা প্রয়োজন বলে আমাকে জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে কলেজের অধ্যক্ষ শেখ আবদুল কুদ্দুস বলেন, ‘ফরম তো বিভাগগুলো থেকে দেওয়ার কথা। অন্য কারও তো দেওয়ার কথা নয়। মারধরের অভিযোগ শুনে তিনি বলেন, ‘কই আমার কাছে তো কেউ অভিযোগ করল না। আমি বিকেল পর্যন্ত তো কলেজেই ছিলাম।
কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি সোহেল রানা বলেন, এসব অভিযোগ সত্য নয়। রহিমের সঙ্গে কলেজের বাইরে কারও বাগ্বিতণ্ডা হয়েছিল। সেটার দায় তো আর ছাত্রলীগের নয়। বাড়তি টাকা নেওয়ার অভিযোগও সত্য নয়। এসব অভিযোগের তিল পরিমাণ সত্যতা থাকলেও তিনি পদ ছেড়ে দেবেন বলে দাবি করেন।
ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে কেঁদে ফেলেন রহিম। তিনি বলেন, ‘ভাই, আমি ভয় পাই না। তবে ওরা খুব মারছে। আমারে বলছে, এখানে আটকে শিবির বলে পুলিশে ধরায়ে দেবে। পরে কয়েকজন আমাকে ছেড়ে দিয়ে বলছে, এখানে আর না আসতে। কিন্তু আমার তো পরীক্ষা আছে।
এর আগে ৬ ফেব্রুয়ারি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুর্যোগবিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের এই ছাত্রকে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা আটকে রেখে নির্যাতন করেন। এতে তাঁর চোখ গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হয়। শিবিরের সঙ্গে সম্পৃক্ততার স্বীকারোক্তি দিতে তাঁকে চাপ দেওয়া হয়।
সূত্র: প্রথম আলো