Most important heading here
Less important heading here
Some additional information here
Emphasized textSome additional information here
Emphasized textফেসবুক ব্যবহারকারীদের তথ্য ফাঁসের অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটিকে পাঁচ লাখ পাউন্ড জরিমানা করতে যাচ্ছে যুক্তরাজ্য। ক্যামব্রিজ অ্যানালিটিকার কেলেঙ্কারির জের ধরে এই জরিমানা করতে চাইছে ব্রিটেনের তথ্য কমিশনারের অফিস। ব্রিটেনে এটাই হবে এ ধরণের সবচেয়ে বড় অংকের জরিমানা।
ক্যামব্রিজ অ্যানালিটিকার বিরুদ্ধে অভিযোগ, রাজনৈতিক দলের ব্যবহারের জন্য তারা অনৈতিকভাবে কোটি-কোটি ফেসবুক ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্য সরবরাহ করেছিল। এরপর সেসব ব্যক্তিদের প্রভাবিত করার জন্য এ তথ্য ব্যবহৃত হয়।
ফলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ব্রিটেনের বেরিয়ে আসার বিষয়ে গণভোটের ফলাফল প্রভাবিত হয়েছিল বলে অভিযোগ রয়েছে।
তথ্য অধিকার সংরক্ষণ বিষয়ক সংস্থাটি আরো জানিয়েছে, আর্থিক জরিমানার পাশাপাশি বিলুপ্ত হওয়া ক্যামব্রিজ অ্যানালিটিকার সহযোগী সংস্থা এসসিএল ইলেকশনের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করার কথাও ভাবছে।
জরিমানা নিয়ে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ কোন আপিল করবে কিনা সেজন্য তাদের হাতে ২৮ দিন সময় আছে। এ জরিমানার অংক কমানোর চেষ্টা করবে কিনা সে বিষয়ে এখনো কিছু বলেনি।
ফেসবুক ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য কিভাবে হুমকির মুখে পড়তে পারে সে সংক্রান্ত কোন ব্যাখ্যা ফেসবুক কর্তৃপক্ষ তাদের ব্যবহারকারীদের বলেনি।
এর পাশাপাশি সংস্থাটি ব্রিটেনের ১১টি রাজনৈতিক দলের কাছে চিঠি দিয়েছে যাতে তারা তাদের তথ্য যথাযথভাবে সংরক্ষণ করে এবং সেটি ঠিকমতো হচ্ছে কিনা তা নিরীক্ষা করে।
ব্রিটেনে ব্রেক্সিট প্রশ্নে গণভোটের সময় রাজনৈতিক প্রচারণায় জনগণের ব্যক্তিগত তথ্য ব্যবহার করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এ বিষটি নিয়ে এখনো তদন্ত চলছে।
এ তদন্ত শুরুর ১৬ মাস পরে ব্রিটেনের তথ্য কমিশনারের অফিস থেকে ফেসবুককে জরিমানার উদ্যোগ এসেছে।
যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক রাজনৈতিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ক্যামব্রিজ অ্যানালিটিকার কাছে ফেসবুক ব্যবহারকারীদের যেসব ব্যক্তিগত তথ্য ছিল সেগুলো যাতে তারা মুছে ফেলে সেটি ফেসবুক নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছে।
তথ্য কমিশনারের অফিস মনে করেন ফেসবুকের নিয়ম-নীতির লঙ্ঘন হয়েছে। তবে বন্ধ হয়ে যাবার আগে ক্যামব্রিজ অ্যানালিটিকা জানিয়েছিল যে ফেসবুকের কাছ থেকে তথ্য মুছে ফেলার অনুরোধ পাবার পর তারা সব তথ্য মুছে ফেলেছে।
কিন্তু তথ্য কমিশনার অফিস বলছে সেসব তথ্য যে অন্যদের দেয়া হয়েছে সে সংক্রান্ত প্রমাণ তাদের হাতে রয়েছে।
গত মে মাসে তীব্র বিতর্কের মুখে ক্যামব্রিজ অ্যানালিটিকা প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ করে দেবার ঘোষণা দেয়া হয়।
এর আগে মার্ক জাকারবার্গ গত এপ্রিল মাসে মার্কিন কংগ্রেসের উচ্চ-কক্ষে বিচার ও বাণিজ্য বিষয়ক যৌথ কমিটির ৪৪ জন সিনেটরের মুখোমুখি হন ।
অভিযোগ রয়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রচারণা দলের সঙ্গে যুক্ত যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক রাজনৈতিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ক্যামব্রিজ অ্যানালিটিকা প্রায় ৫ কোটি ফেসবুক ব্যবহারকারীর তথ্য সংগ্রহ করেছে। মোট ৮ কোটি ৭০ লাখ গ্রাহকের তথ্য চুরির খবর স্বীকার করে নেয় ফেসবুক। সূত্র -বিবিসি বাংলা