• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||

সুস্থ-সবল গরু চেনার উপায়

প্রকাশ:  ১৭ আগস্ট ২০১৮, ১৪:৫৪ | আপডেট : ১৭ আগস্ট ২০১৮, ১৫:১২
পূর্বপশ্চিম ডেস্ক

কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে পশুর হাট জমতে শুরু করেছে। আর এরই মধ্যে হাটগুলো ভরে উঠতে শুরু করেছে নানা আকারের গরু-ছাগলে। আর অনেকেই নিশ্চয় গরু কেনা শুরুও করে দিয়েছেন।

ঈদুল আজহা কেনা হলেও তা যাচাই-বাছাই করার পারদর্শিতা থাকে হাতে গোনা কিছু মানুষের। তবে এতো গরুর মধ্য থেকেও নিজের মনের মতো একটি ভালো গরু কেনা সহজ নয়। ফলে কেউ ভালো পশু কিনতে গিয়ে দালালের খপ্পরে পড়ে বাড়তি টাকা গোনেন, কেউ আবার অসাধু বিক্রেতার ফাঁদে পড়ে কৃত্রিম উপায়ে মোটাতাজা করা পশু ঘরে আনেন।

কৃত্রিম উপায়ে মোটাতাজা করা পশুগুলো অনেকসময় ঈদের আগেই অসুস্থ হয়ে কোরবানির অযোগ্য হয়ে যায়, কিছু পশু মারাও যায়। ফলে ক্রেতার মাথায় হাত পড়ে। কৃত্রিমভাবে নানা ওষুধ খাইয়ে মোটাতাজা গরুর ভিড়ে সত্যিকার স্বাস্থ্যবান ও সুস্থ গরু চেনা একটু কঠিন বটে। তবে কিছু বিষয় খেয়াল করলে ভালো গরু চিনে নেয়া সম্ভব।

তাহলে জেনে নিন সুস্থ গরু চেনার উপায়:

১. গরুর নাকের ওপরটা ভেজা ভেজা থাকে তাহলে বুঝতে হবে গরু সুস্থ। এছাড়া গরুর মুখের সামনে খাবার ধরলে যদি সঙ্গে সঙ্গে জিহ্বা দিয়ে টেনে নেয় তাহলেও বোঝা যায় গরুটি সুস্থ কারণ অসুস্থ পশু খাবার খেতে চায় না।

২. অনেকে মনে করে মোটা গরু মানেই সুস্থ গরু। আসলে তা না, মোটা গরুতে চর্বি অনেক বেশি থাকে যা খাওয়ার পর মানুষের স্বাস্থ্যের ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়। বিভিন্ন ধরনের ওষুধ খাইয়ে অনেক সময় গরু মোটাতাজা করা হয়। তাই এ সব গরু হতে সাবধান।

৩. কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অতিরিক্ত মুনাফা লাভের আশায় কোরবানির পশুকে মোটাতাজাকরণ ওষুধ খাইয়ে স্বাভাবিকের চাইতে অতিরিক্ত মোটাতাজা করে কোরবানির হাটে নিয়ে আসে। এসব গরু অন্যসব গরুর চাইতে ফোলা থাকে। তাই ভালো করে লক্ষ্য করুণ আপনার পছন্দের গরু চটপটে কি না? ভালো গরু দৌড়াতে চাইবে, কান দিয়ে মশা, মাছি তাড়াবে এবং সঙ্গে সঙ্গেই লেজ নাড়াবে। কিন্তু স্টেরয়েড খাওয়ালে গরু নড়াচড়ার বদলে ঝিম মেরে থাকবে। এছাড়া স্টেরয়েড ট্যাবলেট খাওয়ানো গরুর ঊরুতে প্রচুর মাংস থাকে। তাই এ ধরণের গরু কিনবেন না।

৪. গরুর কুঁজ মোটা ও টানটান থাকলে বুঝতে হবে গরুটি সুস্থ।

৫. শিং ভাঙা, লেজ কাটা, জিহ্বা, ক্ষুর, মুখ, গোড়ালি খত আছে কি না তা ভালো করে দেখে নিতে হবে।

৬. গরুর পাঁজরের হাড়ে যে তিন কোনা গর্ত থাকে যাকে ফ্লায়েন্ট জয়েন্ট বলে তাতে কোনা রয়েছে কিনা সেটি খেয়াল রাখতে হবে। যেসব গরুকে স্টেরয়েড জাতীয় খাবার খাওয়ানো হয় সেগুলোর পাঁজরের স্থান ফোলা থাকে এবং সেখানেও মাংস থাকে।

৭. সুস্থ গরু চিনতে হলে পাঁজরের হাড়েও খেয়াল করতে হবে। সুস্থ গরুর পাঁজরের হাড়ে উঁচু নিচু থাকে এবং চোখে নড়াচড়া করবে।

/এসএফ

কোরবানি ঈদ,গরু,ঈদুল আজহা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close