• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||

কোরবানি পশু জবাইয়ের আগে ও পরে করণীয়

প্রকাশ:  ১৭ আগস্ট ২০১৮, ১৫:৩৭
পূর্বপশ্চিম ডেস্ক

কোরবানি শব্দের মুল আরবি শব্দ ‘নাসুক’। যার অর্থ ‘আত্মত্যাগ’। যে সব প্রাপ্তবয়স্ক ও বিবেকসম্পন্ন ব্যক্তির মালিকানায় মৌলিক প্রয়োজনের অতিরিক্ত সাড়ে বায়ান্ন তোলা রৌপ্য বা তার সমপরিমাণ সম্পদ থাকে তার ওপর কোরবানি ওয়াজিব।

আগামী ২২ আগস্ট বাংলাদেশে ঈদুল আজহা পালন করবেন সারাদেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। এই ঈদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ পশু কোরবানি।যে যে যার সাধ্য অনুযায়ী পশু কোরবানি করে থাকেন।

আসুন যেনে নেই কোরবানির পশু জবাইয়ের আগে ও পরে কি কি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে: কোরবানির আগে:

১. পশু কেনার সময় লক্ষ্য রাখতে হবে, আগে থেকেই গরুর চামড়ায় কোনো গভীর ক্ষত চিহ্ন বা দাগ যেন না থাকে৷

২. ঈদের দিন সকাল থেকেই পশুকে খাবার (খড়, ভুসি, কাঁচা ঘাস প্রভৃতি) দেয়া থেকে বিরত থাকুন। তবে পানি বা তরল খাবার খাওয়াতে পারেন। এতে কোরবানির পর পশুর চামড়া ছাড়ানো অনেক সহজ হবে।

৩. পশু কোরবানির জন্য দক্ষ লোক নিয়োগ করুন। নইলে কোরবানির পশুর সমস্যা গতে পারে। জবাইকৃত গরু উঠে দৌড় দিতে পারে। তাছাড়া পশুর অতিরিক্ত কষ্ট হতে পারে।

৪. কোরবানির জন্য শোয়ানো অবস্থায় পশুটিকে যেন টানাহেঁচড়া না করা হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।

৫. কোরবানির পশু জবাই করার কাজে বড় ও চামড়া ছাড়ানোর কাজে ধারালো মাথা ছুরি ব্যবহার করতে হবে।

কোরবানির পরে:

১. প্রাণীর ধমনী যাতে পুরোপুরি কাটা যায়, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। প্রাণী জবাইয়ের পর পুরোপুরি ব্লিডিং হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। জবাইয়ের সঙ্গে সঙ্গে মাংস কাটা শুরু করা হলে মাংসের ভেতর রক্ত থেকে যাবে। এ ধরনের মাংস মোটেও স্বাস্থ্য সম্মত নয়, কারণ রক্তে অনেক ধরনের জীবাণু থাকতে পারে।

২. সাধারণত ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণে চামড়ার ক্ষতি ও গুণগত মান নষ্ট হয়ে থাকে। ব্যাকটেরিয়ার হাত থেকে পশুর চামড়াকে রক্ষা করতে বর্তমান বিশ্বে সাধারণত ড্রাই ট্রিটমেন্ট, সল্ট ট্রিটমেন্ট ও ফ্রিজিং করে চামড়া সংরক্ষণ করা হয়।

৩. কোনো এলাকার লোকজন বিচ্ছিন্ন স্থানে কোরবানি না দিয়ে বেশ কয়েকজন মিলে একস্থানে কোরবানি করা ভালো।

৪. কোরবানির জায়গাটি যেন খোলামেলা হয়। আর জায়গাটি রাস্তার কাছাকাছি হলে বর্জ্যের গাড়ি পৌঁছানো সহজ হবে। কোরবানির পর পশুর রক্ত ও তরল বর্জ্য খোলা স্থানে রাখা যাবে না। এগুলো গর্তের ভেতরে পুঁতে মাটিচাপা দিতে হবে। কারণ রক্ত আর নাড়িভুঁড়ি কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই দুর্গন্ধ ছড়ায়। আর যদি রক্ত মাটি থেকে সরানো সম্ভব না হয়, তা হলে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।

৯. যারা চামড়া কিনবেন, তারা কোনো বদ্ধ পরিবেশে চামড়া পরিষ্কার না করে এমন খোলামেলা স্থানে করতে পারেন, যেখানে ময়লা জমে দুর্গন্ধ হবে না। আর চামড়ার বর্জ্য অপসারণের জন্য জমিয়ে রাখতে হবে।

১০. সর্বশেষে কোরবানির পশুর বর্জ্য নিজের উদ্যোগে পরিষ্কার করাই ভালো।

/এসএফ

ঈদুল আজহা,কোরবানি
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close