কর্ণফুলীতে স্কুলছাত্রী অপহরণ, পুলিশ বলছে ‘প্রেম’
চট্টগ্রাম কর্ণফুলীতে দশম শ্রেণীর এক স্কুলছাত্রীকে জোরপুর্বক অন্যত্রে ওঠিয়ে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় মেয়ের বাবা জকির আহমদ বাদি হয়ে কর্ণফুলী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। তবে এখনো স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ।
সম্পর্কিত খবর
অভিযোগ ও ঘটনাসুত্রে জানা যায়, গত ৩রা সেপ্টেম্বর সোমবার বিকাল ৪টায় চরলক্ষ্যা ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয় হতে বাসায় আসার পথে দশম শ্রেণীর স্কুলছাত্রী সুমি আকতার’কে চরফরিদ এলাকার জানে আলম প্রকাশ বাইল্যার ছেলে নুরুন্নবী (২৩) অসৎ উদ্দেশ্যে জোরপুর্বক অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। এমনকি বহু জায়গায় খুঁজাখুঁজি করেও মেয়ের কোন খবর না পেয়ে স্থানীয় কর্ণফুলী থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। যার পিপিআর নং ১১১৩/১৮ইং ।
এদিকে স্কুল ছাত্রীকে অপহরণ করা হয় বলে অভিযোগ করেন মেয়ের বাবা। তবে পুলিশ বলছে এটি প্রেম ঘটিত ব্যাপার। সুমি আকতার স্বইচ্ছায় নুরুন্নবীর সাথে চলে যায়। স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোঃ আবু তালেব চৌধুরীও এ ধরনের একটি ইংগিত প্রদান করেন।
অপহৃত স্কুল ছাত্রীর বাবা জানান, তার মেয়ে সুমি আকতারকে অভিযুক্ত আসামী নুরুন্নবী চরলক্ষ্যা ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ে আসা যাওয়ার সময় প্রায় সময় পথে ঘাটে সুমিকে উত্ত্যক্ত করতো এবং বিষয়টি সুমি আক্তার তার পরিবারের সদস্যদের জানান।
পরে নুরুন্নবীকে উত্ত্যক্তের বিষয়ে নিষেধ করলেও তাতে ক্ষ্যান্ত হয়নি সে। পরে ৩রা সেপ্টেম্বর বিকালে স্কুল হতে আসার পথে জোরপ‚র্বকভাবে উঠিয়ে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এমনটি অভিযোগ মেয়ের পরিবারের।
অভিযোগ দায়েরের তিন দিন পরও পুলিশ কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় ওই ছাত্রীর বাবা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এ নিয়ে স্কুল ছাত্রীর বাবা কর্ণফুলী থানার পুলিশ কর্মকর্তা ফারুক এর বিরুদ্ধে অসহযোগিতার ও অভিযোগ তুলেছেন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্তদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি। তবে মেয়েকে কক্সবাজারে নিয়ে গেছে বলে তথ্য দেন মেয়ের মামা।
এবিষয়ে অভিযোগ তদন্ত কর্মকর্তা এসআই ফারুক বলেন, “বিষয়টি প্রেম ঘটিত ব্যাপার। তারপরও যেহেতু পরিবারের পক্ষ থেকে অপহরণের অভিযোগ আনা হয়েছে, সেহেতু স্কুল ছাত্রী উদ্ধারসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে”।