হুন্ডি রোধে ব্যাংকিং চ্যানেলে ৩ মাসে রেমিটেন্স বেড়েছে ১৪ শতাংশ
সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংক হুন্ডি রোধে বেশকিছু উদ্যোগ নেয়ায় বৈধ তথা ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিটেন্স আসা বাড়ছে। বিভিন্ন দেশে থাকা বাংলাদেশি প্রবাসীরা আগের চেয়ে বেশি টাকা দেশে পাঠাচ্ছেন। গত বছর রেমিটেন্স বেড়েছিল ১৭ শতাংশের মতো। চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরেও সেই ধারাবাহিকতা বজায় রয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সবশেষ প্রতিবেদন বলছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিক অর্থাৎ জুলাই-সেপ্টেম্বরে দেশে রেমিটেন্স এসেছে ৩৮৫ কোটি ডলারের মতো। যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে প্রায় ১৪ শতাংশ বেশি। গত বছরের এই প্রান্তিকে ৩৩৮ কোটি ডলার রেমিটেন্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা।
সম্পর্কিত খবর
আর সদ্য সমাপ্ত সেপ্টেম্বর মাসে ১১২ কোটি ৭৩ লাখ ডলার দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। এই অংক গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসের চেয়ে প্রায় ৩২ শতাংশ বেশি।
অর্থ বিশ্লেষকরা বলছেন, সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন ইতিবাচক উদ্যোগের কারণে রেমিটেন্স বেড়েছে। তবে সরকারকে এ ধারা অব্যাহত রাখতে হলে যারা কাজের বিদেশ যাচ্ছেন তাদের দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে।
২০১৬-১৭ অর্থবছরে দেশের অর্থনীতির অন্যতম প্রধান চালিকাশক্তি রেমিটেন্সের নিম্নগতি সরকারের নীতি-নির্ধারকদের কপালে ভাঁজ ফেলেছিল। রেমিটেন্স বাড়াতে মাশুল না নেওয়াসহ নানা ঘোষণাও দিয়েছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। কিন্তু এখন পর্যন্ত মাশুল কমানোর সেই ঘোষণার বাস্তবায়ন হয়নি।
তবে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বৃদ্ধি, স্থানীয় বাজারে ডলারের তেজিভাব এবং হুন্ডি ঠেকাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নানা পদক্ষেপের কারণে গত অর্থবছর রেমিটেন্স বাড়ে। খরা কাটিয়ে বাংলাদেশ ২০১৭-১৮ অর্থবছর শেষ করে ১৭ দশমিক ৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি নিয়ে। বর্তমানে এক কোটির বেশি বাংলাদেশি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থান করছেন। তাদের পাঠানো অর্থ বাংলাদেশে অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে আসছে। বাংলাদেশের জিডিপিতে যার অবদান ১২ শতাংশের মতো।
ওএফ