সাংবাদিকের মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে হুমকি, যুবক আটক
শরীয়তপুর সদর উপজেলার বিনোদপুরে সড়কের সরকারি গাছ কেটে বিক্রি করার অভিযোগে এনামুল হক সরদার নামে এক যুবককে আটক করা হয়েছে। বুধবার সকালে বিনোদপুর ইউনিয়নের কাজীকান্দি গ্রামের সড়কের দুই পাশের গাছ কাটার অভিযোগ ওঠে তার রিরুদ্ধে।
এর আগে দৈনিক জনকন্ঠ ও একুশে টেলিভিশনের প্রতিনিধি আবুল বাশারের মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ আছে ওই যুবকের বিরুদ্ধে। পরে সদর উপজেলা ভূমি কার্যালয়ের সামনে থেকে একটি লাইসেন্স করা পিস্তলসহ ওই যুবককে আটক করে পুলিশ। বুধবার সকালের দিকে সংবাদ সংগ্রহের কাজে গেলে এ ঘটনা ঘটে। এনিয়ে ওই যুবকের বিরুদ্ধে পালং মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছে সাংবাদিক আবুল বাশার।
সম্পর্কিত খবর
এছাড়া, সরকারি গাছ কেটে বিক্রি করার অভিযোগে আরেকটি মামলা দায়ের করেছেন বিনোদপুর ইউনিয়ন পরিষদের সচিব লিয়াকত হোসেন।
পালং মডেল থানা সূত্র জানায়, সদর উপজেলার বিনোদপুর ইউনিয়নের কাজীকান্দি গ্রামের সড়কের গাছ কেটে বিক্রি করছিল স্থানীয় বাসিন্দা এনামুল হক সরদার। ওই ঘটনার সংবাদ সংগ্রহের কাজে ওই গ্রামে যান সাংবাদিক আবুল বাসার, স্থানীয় হুংকার পত্রিকার যুগ্ম বার্তা সম্পাদক খোরশেদ আলম সহ কয়েকজন সাংবাদিক।
ওই সময় গাছ কাটার ছবি ও ভিডিও ধারণ করলে সাংবাদিকদের সাথে এনামুল হকের বাকবিতণ্ডা হয়। উত্তেজিত হয়ে এক পর্যায়ে এনামুল সাংবাদিক আবুল বাশারের মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে হত্যার হুমকি দেন। পরবর্তীতে স্থানীয়দের সহায়তায় ওই স্থান থেকে চলে আসেন সাংবাদকর্মীরা। এরপর এ ঘটনায় পালং মডেল থানায় অভিযোগ করেন সাংবাদিক আবুল বাশার। পরে পুলিশ বেলা ১২টার দিকে অভিযান চালিয়ে সদর উপজেলা ভূমি কার্যালয়ের সামন থেকে এনামুলকে আটক করে। এ সময় তার কাছ থেকে একটি লাইসেন্স করা পিস্তল উদ্ধার করে পুলিশ। সাংবাদিক আবুল বাসার বলেন, সড়কের পাশের সরকারি গাছ বিক্রি করছে এমন খবর পেয়ে কাজীকান্দি গ্রামে যাই। গাছ কাটার ছবি ও ভিডিও ধারন করি ও গাছ কাটার কারন জানতে চাই। তখন এনামুল সরদার উত্তেজিত হয়ে আমার মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে হত্যার হুমকী দেয়। চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এসে আমাদের উদ্ধার করেন।
আগ্নেয়াস্ত্র উচিয়ে সাংবাদিকদের হুমকি দেয়ার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন শরীয়তপুর প্রেসক্লাব ও শরীয়তপুর ইলেকট্রনিক্স মিডিয়া জার্নালিষ্ট এ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা।
বিনোদপুর ইউনিয়ন পরিষদের সচিব লিয়াকত হোসেন বলেন, কাজী কান্দি গ্রামের সড়কের দুই পাশের প্রায় ৭২টি গাছের ভুয়া অনুমোদন দিয়ে ২১টি গ্রাছ কেটে ফেলছে এনামুল। এই গাছগুলো আবার ২ লক্ষ ১০ হাজার টাকা বিক্রি করেছে লালচান নামের একজন ব্যাবসায়ীর কাছে। সরকারি সম্পদ নষ্ট করার অপরাধে তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। এই গাছের মূল্য আনুমানিক প্রায় ৭ লক্ষ ২০ হাজার টাকা।
এ ব্যাপারে পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.মনিরুজ্জামান বলেন, আগ্নেয়াস্ত্র উচিয়ে সাংবাদিকদের হুমকি দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার কাছ থেকে লাইসেন্স করা একটি পিস্তল উদ্ধার করা হয়েছে। সরকারি গাছ বিক্রির অভিযোগে ওই যুবকের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা হয়েছে।
ওএফ