শিশু দিয়ে ডাকিয়ে নারী শিল্পীকে গণধর্ষণ
সাভার উপজেলার আশুলিয়া থানা এলাকায় এক বাউল শিল্পীকে আটকে রেখে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আশুলিয়া থানায় একটি মামলা করে ভুক্তভূগী। এ ঘটনায় পুলিশ একজনকে গ্রেফতার করেছে।
বৃহস্পতিবার (১১ অক্টোবর) দুপুরে গ্রেপ্তারকৃত আসামি গাজীরচট এলাকার ফজল ভুইয়ার ছেলে বাদশা ভুইয়াকে (৪০) আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। তবে এ ঘটনার মূলহোতা একই এলাকার এমারত ভুইয়ার ছেলে সুজন ভুইয়াকে (৩৫) এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
সম্পর্কিত খবর
এর আগে বুধবার দুপুরে আশুলিয়ার গাজীরচট এলাকায় সুজন ভুইয়া ও বাদশা ভুইয়ার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) বেলায়েত হোসেন জানান, আশুলিয়ার পলাশবাড়ী এলাকায় থেকে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ৩০ বছর বয়সী ওই বাউল শিল্পী বাউল গান করতেন। বুধবার দুপুরে তিনি গাজীরচট এলাকায় পাওনা টাকার জন্য আবুল কালাম নামের অপর এক বাউল শিল্পীর দোকানে যান।
এসময় কালাম নারী শিল্পীকে দোকানে বসিয়ে রেখে বাইরে চলে গেলে সুজন ভুইয়া ৯ বছরের এক শিশু দিয়ে তাকে ডেকে সুজনের বাড়িতে নিয়ে যায়। পরে একটি কক্ষের ভেতরে ওই শিল্পীকে আটকে রেখে তার উপর চালায় পাশবিক নির্যাতন। এরপর বাদশা নামের আরেক ব্যক্তি ভয় দেখিয়ে ওই শিল্পীকে তার বাড়ির একটি কক্ষে নিয়ে গিয়ে আবারো ধর্ষণ করে।
এদিকে বাদশা ও সুজন বাউল শিল্পী কালামকে তাদের বাড়িতে ডেকে নিয়ে এসে মারধর করে এ ঘটনা কাউকে না জানানোর জন্য হুমকি দেয়। এছাড়াও এ বিষয়ে কাউকে কিছু জানালে তাকে ইয়াবা দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয়ার হুমকি দিয়ে সন্ধ্যার দিকে দুই বাউল শিল্পীকে ছেড়ে দেয় তারা।
এ ঘটনায় ধর্ষণের শিকার ওই নারী আশুলিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করলে বাদশা ভুইয়াকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসে। তবে পলাতক সুজন ভুইয়াকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।
আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) জাবেদ মাসুদ বলেন, ওই নারীকে পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হয়েছে।
/এসএফ