অধ্যক্ষের পা ধরেও কেঁদেছিল অরিত্রি
দেশজুড়ে এখন আলোচিত বিষয় ভিকারুননিসার ছাত্রী অরিত্রির আত্মহত্যা। নকলের অভিযোগে তাকে স্কুল থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্তের নেয় প্রিন্সিপাল নাজনীন ফেরদৌস। পরে এ ঘটনা জানতে পেরে অধ্যক্ষের পা ধরে কান্নাকাটি করেছিল অরিত্রি; যাতে তাকে টিসি না দেয়া হয়। কিন্তু কোনো কিছুতেই মন গলেনি অধ্যক্ষের।
পরিবার দাবি জানিয়েছে, যদি অরিত্রিকে অধ্যক্ষ ক্ষমা করে দিতেন, তবে সে আত্মহত্যা করত না।
সম্পর্কিত খবর
অরিত্রির পরিবার জানায়, নকলের অভিযোগ পেয়ে সোমবার অরিত্রির সঙ্গে তারা স্কুলে যান। পরে তাদের ভাইস প্রিন্সিপালের কাছে নিয়ে গেলে তারা মেয়ের নকল করার ব্যাপারে ভাইস প্রিন্সিপালের কাছে ক্ষমা চান। কিন্তু ভাইস প্রিন্সিপাল কিছু করার নেই বলে তাদের প্রিন্সিপালের রুমে যেতে বলেন। সেখানে গিয়েও তারা ক্ষমা চান। প্রিন্সিপালও তাতে সদয় হননি।
এরপর অরিত্রি প্রিন্সিপালের পায়ে ধরে ক্ষমা চেয়ে কান্নাকাটি করলেও তাদের বেরিয়ে যেতে বলেন এবং পরের দিন টিসি নিয়ে আসতে বলেন ওই অধ্যক্ষ। এ অপমান সইতে না পেরে বাসায় এসে অরিত্রি আত্মহত্যা করে। সোমবার বেলা সাড়ে ১২টায় রাজধানীর শান্তিনগরে সাততলা ভবনের সপ্তম তলায় নিজ ফ্ল্যাটের ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় অরিত্রিকে পাওয়া যায়। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেলে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।
প্রসঙ্গত, অরিত্রি ভিকারুননিসা নূন স্কুলের নবম শ্রেণির অধ্যয়নরত ছিল।
/রবিউল