• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

#মিটু- ইফ ইউ গিভ ইন, তারপরে চেঁচামেচি করে লাভ নেই: স্বস্তিকা

প্রকাশ:  ০৪ ডিসেম্বর ২০১৮, ১৭:২৫ | আপডেট : ০৪ ডিসেম্বর ২০১৮, ১৭:৩৪
বিনোদন ডেস্ক

স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়ের প্রথম মরাঠি ছবি ‘আরন’ মুক্তি পাবে আগামী ৭ ডিসেম্বর। তার গল্পই করেছেন তিনি ভারতীয় গণমাধ্যমের সঙ্গে। পাঠকদের জন্য স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়ের আলাপচারিতা তুলে ধরা হল।

সম্পর্কিত খবর

    টলিউড, বলিউড ছেড়ে হঠাৎ মারাঠি ছবিতে কেন?

    আমি সব সময়েই ভাল কাজ, ইন্টারেস্টিং কাজ করতে চাই। ভাষাটা আজকালকার দিনে কোনও সমস্যা নয়। নেটফ্লিক্সে তো সবই আমরা সাবটাইটেলে দেখি। আমার এই প্রথম মরাঠি ছবি ‘আরন’-এও ইংলিশ সাবটাইটেল আছে। পোস্টারেও মেনশন করেছি আমরা।

    ঠিকই। ভাষা এখন আর সমস্যা নয়। তবুও ‘আরন’-কেই বেছে নিলেন কেন?

    স্ক্রিপ্ট। স্ক্রিপ্টটা খুবই পছন্দ হয়েছিল আমার। মরাঠি ইন্ডাস্ট্রির অনেক বড় নাম আমার রোলটার জন্য প্রায় কনফার্ম হয়ে গিয়েছিল। তখন আমার কাছে খবরটা আসে। স্ক্রিপ্টটা পড়ে আমি ইমোশনালি মুভড হয়ে যাই। খুব চার্জড লেগেছিল। আমার মনে হয়েছিল যদি কোনও ভাবে রোলটার মধ্যে ফিট ইন করে, ডিরেক্টরকে কনভিন্স করে কাজটা করতে পারি তা হলে আমার যেটা সব সময় প্রায়োরিটি মনে হয়েছে কেরিয়ারে যে, ছবি দেখে বেরিয়ে যেন লোকের আমার পারফরম্যান্স, আমার কন্ট্রিবিউশনটা মনে থাকে, তেমন একটা রোল করতে পারি, সেটার প্রচুর জায়গা এই ক্যারেক্টারটায় আছে। আই ক্যান মেক আ মার্ক মনে হয়েছিল।

    #মিটু। এত কথা হচ্ছে। আপনি তো মুখই খুলছেন না…

    ওহ্ গড। আমাদের এখানে, মানে কলকাতায় তো কোনও কথাই হয়নি। কলকাতায় মিটু মুভমেন্টের কোনও আঁচই পড়েনি।

    দেখুন, একটা কথা আমি তো সব সময় বলি, ইফ ইউ গিভ ইন তার পরে চেঁচামেচি করে লাভ নেই। এই মুভমেন্টটার গভীরতা বা রেসপন্সিবিলিটা বা কেন এটা এত বড় আকার নিতে পেরেছে? কারণ যারা হ্যাঁ-তে হ্যাঁ বলে নিজেদের জীবনটা, নিজেদের কেরিয়ার, সম্মান, অস্তিত্বটাকে প্রাধান্য দিয়ে সেই কাজটাই করেনি তাতে তারা ডিপ্রেশনে চলে গিয়েছে। তাদের কেরিয়ার শেষ হয়ে গিয়েছে। তারা মানসিক ভাবে আঘাত পেয়েছে। কিন্তু তারা সেটাতে হ্যাঁ বলেনি। আর এখন বলেছে বলেই এটা একটা মুভমেন্টের আকার নিয়েছে। কিন্তু তার সঙ্গে এ রকম অনেক মহিলাও আছে যারা এটা থেকে অ্যাডভান্টেজও তুলেছে। যাদের কেরিয়ার সেটেলড, কেউ একটা হয়ে গিয়েছে তারা এখন বলছে আমার সঙ্গেও এটা হয়েছিল, এখন এই চিত্কারটার তো কোনও মানে নেই। আমার সঙ্গে কেউ একটা প্রথম দিন দুর্ব্যবহার করল তার পর আমি তার সঙ্গে কফি খেতে গেলাম, ডিনারেও গেলাম, পার্টিও করলাম, চারটে কাজও করলাম, তার পর সেই লোকটার দিকে আমার আঙুল তুলে লাভটা কী?

    কলকাতা-মুম্বই ব্যস্ততা চলছেই তা হলে?

    জোরকদমে। ওটা আরও বাড়ুক।

    আর রিলেশনশিপ স্টেটাস?

    একটা ফাঁকা ছেলে খুঁজে দিন। আই উইল লাভ টু ডেট। সব জায়গায় আনহ্যাপিলি ম্যারেড মেন-এ ভর্তি হয়ে গিয়েছে। যাকে খুঁজে দেবেন সে যেন আনহ্যাপিলি ম্যারেড না নয়। হা হা হা…।

    /হাসনাত

    • সর্বশেষ
    • সর্বাধিক পঠিত
    close