‘আন্তর্জাতিক পরিসরে তিনি কিংবদন্তী আইনজীবী, আমার কাছে মমতাময় পিতা’
সালটা ২০০৫ এর শেষ দিকে। দেশ কাঁপানো এই আইনজীবির কাছে বাবা পাঠালেন আমাকে। বাবা ফোনে কথা বলে নিয়েছেন আগেই সুতরাং জুনিয়র হিসাবে ভর্তি হতে বেগ পেতে হলো না।
শুনেছি মানুষটা নাকি ভীষন রাগী.... কিন্তু কই? বছরের পর বছর ওনার পায়ের কাছে বসে কাজ করতে গিয়ে তেমন বকা তো খাইনি কখনো। স্নেহ আর মমতার একটা চাদরে জড়িয়ে রেখেছিলেন আমাদেরকে.... ওনার সব জুনিয়রকে। নিজ সন্তানের মত আগলে রেখেছেন আমাদের..... আমরা যারা ওনার জুনিয়র হবার সৌভাগ্য পেয়েছি।
সম্পর্কিত খবর
১/১১ সময় দুই নেত্রীর মামলাসহ প্রায় সকল রাজনীতিকের মামলার চাপে চেম্বারে ঢুকেছি সকাল ৮টায় আর বের হয়েছি রাত ১.৩০ টা থেকে ২ টায়! পেছনে ফিরে তাকালে এখন অবিশ্বাস্য মনে হয়। পরিবার আর চেম্বার আলাদা ছিল না ওনার কাছে। তাই চাচিসহ পরিবার নিয়ে যখনই বেড়াতে গেছেন কোথাও (দেশে কিংবা দেশের বাইরে) সঙ্গী হয়েছি আমরা।
শরীর খুব ভাল নয় এখন... বয়স কাবু করেছে অনেকখানি। কোর্টেও আর যান না তেমন। কিন্তু সন্তানতুল্য আমাদের প্রতি ভালবাসার টান কমেনি এতটুকু। যখনই যাই খুশিতে উজ্জ্বল হয়ে ওঠে মুখ খানি। বিরতি দীর্ঘ হলেই ফোন পাই... আসবি না?
বাবাকে হারিয়েছি ২০১২ সালে। এই বাবা ছায়ার মত আছেন কষ্টে আনন্দে। জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পরিসরে তিনি পরিচিত কিংবদন্তী আইনজীবী হিসাবে কিন্তু আমার কাছে একজন মমতাময় পিতা, কঠোর শিক্ষাগুরু, বড় আশ্রয়। নিষ্করুন এই পৃথিবীতে এই আশ্রয়টির বড় প্রয়োজন আমার।
(লেখকের ফেসবুক স্ট্যাটাস)
/পিবিডি/আরাফাত