• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

গণমাধ্যমের ‘অতিরঞ্জিত’ খবরে বিব্রত শুভংকর পাল

প্রকাশ:  ১২ জানুয়ারি ২০১৯, ২১:৪১ | আপডেট : ১৩ জানুয়ারি ২০১৯, ০০:০৭
হাসনাত কাদীর
ছবি: সংগৃহীত।

৬৪ জেলার মাটি দিয়ে বাংলাদেশের মানচিত্র তৈরি করা শুভংকর পাল বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের মুখরোচক খবরে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েছেন। মানচিত্রে ব্যবহৃত মাটি তিনি একাই সংগ্রহ করেছেন বলে জানানো হয়েছে ওইসব খবরে, যা সম্পূর্ণ ভুল বলে জানিয়েছেন সময়ের আলোচিত এই যুবক।

শুভংকর পাল পূর্বপশ্চিমকে বলেন, কয়েকটি সংবাদমাধ্যম মানচিত্র নির্মাণের গল্পকে অতিরঞ্জিত ও মুখরোচক করে খবর প্রকাশ করেছে। সেসব খবরে বলা হয়েছে, আমি সাইকেল চালিয়ে সারাদেশ ঘুরে ঘুরে ৬৪ জেলার মাটি সংগ্রহ করে এই মানচিত্র তৈরি করেছি। অথচ মাটির মানচিত্র আমার একার শ্রমে নয়, অনেক বন্ধুর শ্রম এবং ভালবাসায় সিক্ত। আমি নিজে ১৩টি জেলার মাটি সংগ্রহ করেছি। এছাড়া ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক উম্মে সালমা তানজিয়া স্যার নিজে কয়েকটি জেলার মাটি সংগ্রহ করে দিয়েছেন। বাকি জেলাগুলোর মাটি দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বন্ধুরা দেশকে ভালোবেসে পাঠিয়েছেন।

তিনি বলেন, সংবাদমাধ্যমের এই দায়িত্বজ্ঞানহীন, বানোয়াট কাহিনী নির্ভর সংবাদের কারণে আমি লজ্জিত ও বিব্রত। আমি আশঙ্কা করছি, এ ধরণের অপসংবাদ মানুষের মনে একটা ভাল কাজ ও আমাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলতে পারে। সাধারণ মানুষ ভুল বুঝে আমাকে প্রতারকও ভাবতে পারেন। দেশের শীর্ষস্থানীয় পত্রিকায় অতিরঞ্জিত সংবাদ প্রকাশের পর মানচিত্র তৈরিতে অবদান রাখা বন্ধুরা দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আমাকে ফোন করছেন। এতে আমি খুবই বিব্রত।

সংবাদমাধ্যমকে মনগড়া খবর প্রচার থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে শুভংকর বলেন, ভালোবাসার মাটির মানচিত্র নিয়ে এরকম বানোয়াট গল্প শুনতে চাই না। আমাকে এত প্রতিভাবান শিল্পী হিসেবে প্রচারেরও দরকার নেই। দয়া করে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করুন।

উল্লেখ্য, শুভংকর পালের এই ২৮ ইঞ্চি দৈর্ঘ্য ও ১৮ ইঞ্চি প্রস্থের মানচিত্রে প্রতিটি জেলা বানানো হয়েছে সে জেলার মাটি দিয়ে। মানচিত্রটির ছবি অন্তর্জালে ছড়িয়ে পড়লে তা সারাদেশের মানুষকে অভিভূত করে। ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক উম্মে সালমা তানজিয়া কাজটির জন্য শুভংকরকে শুভেচ্ছা জানান। এছাড়া গত বছর জাতীয় শিক্ষক দিবসে সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ ও ইউনেস্কো প্রতিনিধি দল মাতৃভাষা ইন্সটিটিউটে মানচিত্রটি দেখে তাঁকে অভিবাদন জানান।

শুভংকরের মাটির মানচিত্র জাতীয় জাদুঘরে স্থান দেওয়ার ব্যাপারে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি ইতোমধ্যে ফরিদপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গিয়ে সেটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখেছে।

শুভংকর পাল ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার বুরাইচ ইউনিয়নের বারাংকুলা গ্রামের পল্লী চিকিৎসক নিহার রঞ্জন পাল ও অমিতা পালের ছেলে।

পিবিডি/হাসনাত

হাসনাত কাদীর,শুভংকর পাল,মানচিত্র,মাটি,ফরিদপুর,বিব্রত
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close