ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন স্বপ্ন নয় ,বাস্তবতা: তথ্যমন্ত্রী
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে সাংবাদিকদের উদ্বেগ কমাতে কাজ করার আশ্বাস দিয়ে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, অনলাইন গণমাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম আজকের বাস্তবতা। বাংলাদেশে শুধু নয়, সমগ্র পৃথিবীতে অনলাইন মিডিয়ার ব্যাপক বিস্তৃতি ঘটেছে। এই বিস্তৃতি বন্ধ করা সঠিক নয়, কিন্তু এটি যাতে সঠিকভাবে হয়, নিয়মনীতির মধ্যে থেকে হয় সে কাজটি করাই হচ্ছে সরকারের লক্ষ্য।
তিনি বলেন, ২০০৮ সালে আমরা দুইটি স্বপ্নের কথা বলেছিলাম। একটি হচ্ছে ডিজিটাল বাংলাদেশ, আরেকটি হচ্ছে দিনবদল। যখন ডিজিটাল বাংলাদেশের স্লোগান দেই আমরা তখন অনেকেই এটিকে নিছক নির্বাচনী স্লোগান বলে হাস্যরস করেছিল। ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন স্বপ্ন নয়, ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবতা।
সম্পর্কিত খবর
মঙ্গলবার (১৫ জানুয়ারি) বেলা ১২টায় চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা জানান।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, অনলাইনের জন্য নীতিমালা হচ্ছে, রেজিস্ট্রেশনের ব্যবস্থা হচ্ছে। অনলাইনের যখন রেজিস্ট্রেশনের ব্যবস্থা হবে নীতিমালার ভিত্তিতে তখন ভুঁইফোড় অনলাইনগুলো বন্ধ হয়ে যাবে, কমে যাবে। সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। আমার পূর্বসূরী সেই কাজটি অনেকদূর এগিয়ে নিয়ে গেছে।
তিনি বলেন, যত দ্রুত সম্ভব নবম ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ করবো। ২৮ তারিখ (২৮ জানুয়ারি) সময়সীমা আছে, চেষ্টা করবো সময়সীমার মধ্যে করা যায় কি না। কিন্তু সেটি করতে গেলে অনেকগুলো ধাপ অতিক্রম করতে হয়। যত দ্রুত সম্ভব সেটি আমরা করবো। বর্তমান যে ওয়েজবোর্ড সেখানে টেলিভিশন নাই। টেলিভিশন সাংবাদিকদেরও সেখানে আসা দরকার। সেটি নিয়ে আমরা পরবর্তীতে কাজ করবো। আর ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়ন করবেন ঘোষণা দিয়ে কেউ না করে থাকলে সেটিও আমরা তদারক করবো।
বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গত ১০ বছরে বাংলাদেশ বদলে গেছে উল্লেখ করে আওয়ামীলীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক বলেন, আওয়ামী লীগ পরপর তিনবার রাষ্ট্র ক্ষমতায়। ভারতীয় উপমহাদেশতো নয়-ই, পুরো এশিয়া মহাদেশে যেখানে গণতান্ত্রিকভাবে সরকার নির্বাচিত হয় সেখানে মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুর ছাড়া অন্য কোথাও একই দল পরপর তিনবার রাষ্ট্র ক্ষমতায় যায়নি।
হাছান মাহমুদ বলেন, ১৭ কোটি মানুষের দেশে ১৫ কোটি সিম ইউজার, ১৪ কোটি মোবাইল ফোন ইউজার। এখন রিকশাওয়ালা ভাইয়ের হাতে মোবাইল ফোন, একজন ভিক্ষুকের হাতে মোবাইল ফোন। মোবাইল ফোনে এখন শুধু কথা বলা যায় তা নয়, ছবি দেখা যায়, ভিডিও কল করা যায়। পরীক্ষার রেসাল্ট পাওয়া যায়, টেলিমেডিসিনে ডাক্তারের পরামর্শ পাওয়া যায়, গ্রামের কৃষক মোবাইলে ফসলের ছবি পাঠিয়ে কৃষি অফিসারের পরামর্শ নেন।
পিবিডি/জিএম