ফাঁসি কার্যকরের সময় একজন ইমাম চেয়েও পাননি এক মুসলিম
এক মুসলমান ব্যক্তির ফাঁসির দণ্ড কার্যকর করা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের আলবামায়। কিন্তু এ সময় তার পাশে একজন ইমাম রাখতে অনুরোধ করলেও নিরাপত্তার অজুহাতে তাতে সাড়া দেয়া হয়নি।
এর আগে মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট ৫-৪ ভোটে তার ফাঁসি কার্যকরের সিদ্ধান্তে সায় দেন।-খবর আল-জাজিরার।
সম্পর্কিত খবর
৪২ বছর বয়সী ডমিনিক হাকিম রে নামের ওই মুসলিম ব্যক্তির আইনজীবীদের যুক্তি ছিল, আলবামায় ফাঁসির দণ্ড কার্যকরের নীতি খ্রিষ্টান কয়েদির সঙ্গে সম্পর্কিত। কখনো কখনো কয়েদিদের নতজানু করিয়ে বসিয়ে রাখা হয়। অনুরোধ করা হলে সহ-বন্দিরা প্রার্থনা করেন।
কাউন্সিল অন আমেরিকান ইসলামিক রিলেশনসের আলবামা চাপ্টারের সরকারি কার্যক্রম বিষয় সমন্বয়ক আলি মাসুদ বলেন, এখানে অনুসরণ করার মতো ভিন্ন উপায়ও ছিল। এটাকে আমরা ধর্মীয় বৈষম্যমূলক আচরণ বলে উল্লেখ করব।
তিনি জানান, মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত হওয়া খ্রিষ্টান কয়েদিরা নিজেদের ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে একজন যাজক পেয়ে থাকেন। কিন্তু মুসলমান কয়েদিদের সেটা দেয়া হয় না।
কারা অধিদফতরের এক মুখপাত্র বলেন, স্থানীয় সময় রাত ১০:১২ মিনিটে প্রাণঘাতি ইনজেকশন দিয়ে তাকে হত্যা করা হয়। কাছের একটি কক্ষ থেকে ডমিনিক রেইর ইমাম ইউসেফ মেসোনেট তার মৃত্যুদণ্ডের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করেন।
আইনজীবীরা বলেন, নিরাপত্তার কারণে কেবল কারা কর্মকর্তারাই ফাঁসির কক্ষে ঢোকার অনুমতি পান।
১৫ বছর বয়সী টিফানি হারভেলিকে হত্যার দায়ে ১৯৯৯ সালে তাকে মৃত্যুদণ্ডের শাস্তি দেয়া হয়। ১৯৯৫ সালে আলবামার সেলমা থেকে থেকে টিফানি নিখোঁজ হন।
ডমিনিকের আইনজীবী স্পেনসার হান বলেন, তার প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ করায় আমি খুব ব্যথিত। তিনি একটি সংখ্যালঘু ধর্মীয় গোষ্ঠীর সদস্য ছিলেন। ডমিনিক খুবই ধর্মপ্রাণ ছিলেন। তিনি শেষ মুহূর্তের জন্য সম অধিকার চেয়েছিলেন।তার সন্তান, বাবা ও ভাই আছেন।
পিবিডি/জিএম