• মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||

‘গর্ভবতীদের নিয়োগ দিতে চান না চাকুরীদাতারা’

প্রকাশ:  ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ২৩:৩৯
পূর্বপশ্চিম ডেস্ক

একটি আবেগঘন ফেসবুক স্ট্যাটাস গত কয়েকদিন ধরে ঘুরপাক খাচ্ছে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ও গণমাধ্যমে। একজন নারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অভিযোগ করেছেন, সন্তানসম্ভবা হওয়ার বিষয়কে কর্মস্থলে তার সবচেয়ে বড় অযোগ্যতা হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে এবং তাকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বা ওএসডি করা হয়েছে বলে ঐ কর্মকর্তা যে অভিযোগ তুলেছেন।

আলোচনা শেষমেশ সংসদ পর্যন্ত গড়িয়েছে। সংসদে এই ঘটনা তদন্তের দাবি জানিয়েছেন দু'জন সাংসদ। কিন্তু বেসরকারি খাতে গর্ভবতী হওয়ার পর নারী কর্মীদের কি পরিস্থিতিতে পড়তে হয়? তার প্রতিকারে কি ধরণের রয়েছে?

সম্পর্কিত খবর

    অভিযোগ রয়েছে বেসরকারি খাতে কর্মীর অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার বিষয়টি প্রায়শই খুশি মনে নেন না চাকুরীদাতারা। যেমনটা বলছিলেন এমন সমস্যার মধ্যে দিয়ে যাওয়া একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সাবেক কর্মী মোরশেদা আক্তার।

    তিনি বলছেন, প্রেগন্যান্ট থাকার সময় সহকর্মীদের কাছ থেকে আমি খুব পজিটিভ পরিবেশ পেয়েছে কিন্তু ম্যাটারনিটি লিভ পার করে আসার পর আমি এমনকি আমার পুরনো ডেস্কটাও পাইনি। আমাকে অন্য সেকশনে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছিল। কিন্তু মোর্শেদা আক্তার নিজেই সেই প্রতিষ্ঠানে কর্মী নিয়োগের দায়িত্বে ছিলেন।

    বলছিলেন কাছে থেকে দেখেছেন, সন্তানসম্ভবা এমন তথ্য প্রকাশ পেলে সেসব কর্মীদের নিয়োগ দিতে চাইতেন না বড়কর্তারা।

    তিনি বলছেন, যদি কেউ বুঝতে পারে, "কেউ যদি জানতে পারে সে প্রেগন্যান্ট তাহলে তার রিক্রুটমেন্ট নেগেটিভভাবে দেখা হতো। ম্যানেজমেন্ট লেভেল যারা আছেন তারা কাজ চালিয়ে নিতে পারে। কিন্তু ওয়ার্কার লেভেলে কায়িক পরিশ্রমের বিষয় যেখানে থাকে সেখানে বলা হতো এই সময় ওকে নেয়া যাবে না।"

    মোর্শেদা আক্তার সম্প্রতি চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন। বাংলাদেশে ২০১১ সালে সরকারি চাকরি ক্ষেত্রে মাতৃত্ব-কালীন ছুটি ছয় মাস করা হয়েছে। কিন্তু সেই সুবিধা নিয়ে বেসরকারি খাতে নানা অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। খবর: বিবিসি বাংলা।

    /অ-ভি

    • সর্বশেষ
    • সর্বাধিক পঠিত
    close