• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

শামীমার সন্তান প্রসব, অনিশ্চিত নাগরিকত্ব

প্রকাশ:  ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১০:০৬ | আপডেট : ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১০:০৭
পূর্বপশ্চিম ডেস্ক

ব্রিটেন থেকে ইসলামিক স্টেটে যোগ দিতে সিরিয়ায় পালিয়ে যাওয়া বাংলাদেশি বংশ্দোভুত শামীমা বেগম একটি ছেলে শিশুর জন্ম দিয়েছেন বলে তার পরিবারের আইনজীবী জানিয়েছেন।

১৯ বছরের শামীমার এটি তৃতীয় সন্তান। তার আগের দু’টি সন্তানই অপুষ্টি এবং বিনা চিকিৎসায় মারা গেছে। সিরিয়ায় গিয়ে এই তরুণী নেদারল্যান্ডস থেকে আসা একজন আইএস যোদ্ধাকে বিয়ে করেছিলেন।

সম্পর্কিত খবর

    মাত্র ১৫ বছর বয়সে বাংলাদেশী অধ্যুষিত পূর্ব লন্ডনের বেথনাল গ্রীন এলাকা থেকে আরো দু’জন বান্ধবীসহ শামীমা বেগম আইএসে যোগ দিতে সিরিয়ায় পালিয়ে গিয়েছিলেন।

    গত সপ্তাহে লন্ডনের দৈনিক দি টাইমসের একজন সাংবাদিক সিরিয়ার একটি শরণার্থী শিবিরে শামীমা বেগমের খোঁজ পান। তার বয়স এখন ১৯, এবং তিনি অন্তঃসত্বা ছিলেন।

    ঐ সাংবাদিকের মাধ্যমে তিনি ব্রিটিশ সরকারের কাছে আবেদন করেন যে তার আগত শিশু সন্তানের কথা বিবেচনা করে তাকে যেন ব্রিটেনে ফেরত আসতে দেওয়া হয়। সেই থেকে, ব্রিটেনে ব্যাপক বিতর্ক শুরু হয়েছে যে, নিষিদ্ধ একটি জঙ্গি সংগঠনের যোগ দিতে যাওয়া এই তরুণীকে ফেরত আসতে দেওয়া উচিৎ কিনা।

    যদিও এখনও দ্বিতীয় অন্য কোনো সূত্র থেকে নিশ্চিত হওয়া যায়নি যে শামীমা বেগম সত্যিই অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন কিনা বা তিনি সন্তানের জন্ম দয়েছেন কিনা। রোববার মিজ বেগমের পরিবারের আইনজীবী মোহাম্মদ তাসনিম আখুঞ্জি জানান, তারা জানতে পেরেছেন শামীমা একটি শিশুর জন্ম দিয়েছেন। শিশুটি সুস্থ আছে।

    এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, এখনও শামীমার সাথে সরাসরি যোগাযোগ করা যায়নি।আশা করছি তাড়াতাড়ি তা করা সম্ভব হবে। কিছুক্ষণ পরে ঐ আইনজীবী জানান, শিশুটি ছেলে।

    শামীমার বাচ্চার নাগরিকত্বের কী হবে?

    শামীমা বেগমের জন্ম ব্রিটেনে, তিনি ব্রিটিশ নাগরিক। কিন্তু তারপরও তাকে দেশে ফিরতে দেওয়া হবে কিনা- তা নিয়ে সরকার এখনো সিদ্ধান্ত দেয়নি।

    সরকারের একজন মন্ত্রী জেরেমি রাইট বলেন, শামীমা বেগমের সন্তানের নাগরিকত্ব সোজা-সাপটা কোনো বিষয় নয়। তাকে (শামীমাকে) তার কর্মকাণ্ডের জবাবদিহি করতে হবে। সে যদি এদেশে ফিরে আসতে পারেও, তাকে বুঝতে হবে সে যা করেছে তার জন্য তাকে জবাব দিতে হবে।

    ব্রিটেন থেকে যে কয়েকশ মুসলিম ছেলে-মেয়ে আইএসে যোগ দিতে সিরিয়া ও ইরাকে গিয়েছিল, তাদেরকে ফিরে আসতে দেওয়া উচিৎ কি উচিৎ নয়- তা নিয়ে তুমুল বিতর্ক চলছে।

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ বলেন, আইএসে যোগ দিতে যাওয়া তরুণ-তরুণীরা যাতে না ফিরতে পারে তার চেষ্টা করে যাবেন তিনি।

    তবে শামীমা বেগমের পরিবার আবেদন করেছে, শিশুটি তো নিরপরাধ, শিশুটির নিরাপত্তার জন্য মানবিক কারণে তাদের মেয়েকে ব্রিটেনে ফিরতে দেওয়া হোক। সরকার এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি।

    গত সপ্তাহে তুমুল লড়াইয়ের মধ্যে শামীমা বেগম আইএসের নিয়ন্ত্রণাধীন সর্বশেষ এলাকাটি থেকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছিলেন। তার স্বামী আত্মসমর্পণ করেছে বলে তিনি জানান। খবর: বিবিসি বাংলা।

    /অ-ভি

    • সর্বশেষ
    • সর্বাধিক পঠিত
    close