• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

পাড়ায় পাড়ায় মাদক প্রতিরোধ কমিটি গড়ে তুলতে হবে

প্রকাশ:  ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৯:২৭
ইমরান হোসেন বাবু

মাদকাসক্তির কারণে সামাজিক অপরাধ বাড়ছে। বাংলাদেশে বর্তমানে তরুণ প্রজন্মের প্রায় ৭০ থেকে ৮০ লাখ মাদকাসক্ত রয়েছে বলে সরকারিভাবে বলা হচ্ছে। তবে বেসরকারি জরিপগুলো বলছে এর সংখ্যা প্রায় দেড় কোটি। তবে, এটি প্রতিরোধে সেভাবে সামাজিক সচেতনতা এখনও গড়ে উঠেনি।

সামাজিক অপরাধের উদাহরণ হিসেবে একমাত্র ঐশি নামের মেয়েটির নিজের বাবা-মাকে হত্যার পর সারাদেশের মানুষ একটু নড়েচড়ে বসেছিলো। কিন্ত এর বাইরেও প্রায় প্রতিনিয়ত এমন খুন, হানাহানি ঘটেই চলেছে। রাজধানীতে ছিনতাইকারীদের এই অপরাধে জড়িয়ে পড়ার প্রধান কারণ হিসেবে উঠে এসেছিলো মাদকাসক্তি। গণমাধ্যমে সেসব নিয়ে জরিপ প্রকাশ হয়েছিলো।

সম্পর্কিত খবর

    মাদকবিরোধী প্রশাসনিক প্রতিরোধের সময় চট্টগ্রামে একরামের হত্যার ঘটনায় বিচারবহির্ভূত হত্যায় নিরপরাধও খুন হয়ে যেতে পারে বলে দেখিয়ে গেছে। খুন, হত্যা এসব নিয়ে মাদক নির্মূল করা সম্ভব নয় বলেই মনে করি। সাম্প্রতিককালে ইয়াবা ব্যবসায়ীদের একটা বড় অংশের আত্মসমর্পণ করেছে আইনশৃংখলা বাহিনীর কাছে। তবে এটা দিয়ে কতটা মাদক নির্মূল হবে টা নিয়ে সন্দেহ থেকেই যায়।

    মাদকসেবিদের একটা বড় অংশ নিছকই কৌতুহলের বশে, আড্ডাবাজি, একাকীত্ব, বিষন্নতার কারণে প্রথম মাদক গ্রহন করে। তারপর সেটাকে অভ্যাসে পরিণত করে। আর সেটা যখন তার প্রতিদিনের অভ্যাসে পরিণত হয় বিপত্তিটা তখনই শুরু হয়। নির্দিষ্ট সময় পরপর তার মাদক গ্রহন করতে হয়। মাদক না নিতে পারলে তারা এক ধরনের অস্বস্তিতে ভোগে। বিভিন্ন অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি এবং বিশেষজ্ঞরাও বলেন, মাদক নির্মূলে শাস্তির চেয়ে বেশি জরুরি সামাজিক সচেতনতা।

    শুধুমাত্র স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয় মাদক নির্মূল করে দেবে? প্রশাসন শাস্তি দিলে মাদকসেবি কমে যাবে, এসব ধারণা একেবারেই ভুল। এজন্যে দরকার সমন্বিত উদ্যোগ ও তার বাস্তবায়ন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কূটনীতিক, প্রশাসনিক ব্যবস্থার পাশাপাশি পাঠ্যবইয়ে শিক্ষা মন্ত্রনালয়, মিডিয়ায় তথ্য মন্ত্রণালয়, যুবসমাজের মধ্যে যুব মন্ত্রণালয়ের ভূমিকা রাখতে হবে। প্রত্যেকটা ঘরে ঘরে সামাজিক আন্দোলন ছড়িয়ে দিতে হবে মাদক প্রতিরোধে। প্রয়োজনে মাদকের বিরুদ্ধে পাড়ায় পাড়ায় ক্লাবে ক্লাবে মাদক প্রতিরোধ কমিটি গড়ে তুলতে হবে।

    লেখক: নির্বাহী প্রধান, মনিটরিং সেল, লাল সবুজ উন্নয়ন সংঘ ও সাবেক ছাত্র নেতা।

    পিবিডি/এআইএস

    ইমরান হোসেন বাবু
    • সর্বশেষ
    • সর্বাধিক পঠিত
    close