ক্রিকইনফোর চোখে বিপিএলের সেরা একাদশ
ম্যাচের শেষ বলটি মাঠে গড়াতেই তামিম ইকবালকে কাঁধে নিয়ে কিছু দূর অতিক্রম করলেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের এক কতকর্তা। যেন মাঠে উপস্থিত সবাইকেই চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেন এই আমাদের শিরোপা জয়ের নায়ক। সত্যিই তো তাই, তার ৬১ বলে ১৪১ রানের ঝকঝকে ইনিংস।এই শক্ত ইনিংসের উপর ভর করেই ২০১৫ সালের পর আবারও বিপিএল শিরোপা ঘরে তুললো কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।
অথচ এ নিয়ে মিরপুরের শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে ফাইনালের মঞ্চে শেষ হাসি কে হাসবে তা নিয়েই ছিল নানা উৎকন্ঠা, নানা প্রশ্ন। উত্তরটার জন্য মাঠে লড়েছেন দুই ফাইনালিস্ট ঢাকা ডায়নামাইটস ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। ঢাকার চার নম্বর শিরোপা নাকি কুমিল্লার দুই নম্বর শিরোপা। শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে চ্যাম্পিয়নের তকমাটা শেষ পর্যন্ত কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সে গায়েই লেগে গেল। বিপিএল ক্রিকেটের ষষ্ঠ আসরে ফাইনালে ঢাকা ডায়নামাইটসকে ১৭ রানে হারিয়ে দ্বিতীয় শিরোপা ঘরে তোলে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।
সম্পর্কিত খবর
এখন সময় গত একমাসব্যাপী চলা এই ক্রিকেট যুদ্ধের দিকে ফিরে তাকানোর। জনপ্রিয় ক্রিকেট বিষয়ক সাইট ইএসপিএন ক্রিকইনফো বিপিএলের সেরা একাদশ প্রকাশ করেছে। যাতে বাংলাদেশি ক্রিকেটার আছেন ৭ জন।
দেশসেরা ওপেনার তামিম ইকবালের সঙ্গে ওপেনিংয়ে আছেন ক্যারিবিয়ান অল-রাউন্ডার সুনিল নারাইন। ১৪ ম্যাচে তামিম করেছেন এক সেঞ্চুরি ২ হাফ সেঞ্চুরিতে ৪৬৭ রান। এক ম্যাচ বেশি খেলে নারাইন করেছেন ২৭৯ রান এবং বল হাতে ঘূর্ণিজাদু দেখিয়ে শিকার করেছেন ১৮ উইকেট। তিন নম্বরে বিধ্বংসী এবিডি ভিলিয়ার্স। প্রথমবার বিপিএল খেলতে আসা এবি ৬ ম্যাচে এক সেঞ্চুরিতে করেছেন ২৪৭ রান।
৪ নম্বরে জায়গা হয়েছে এবারের বিপিএলের সবচেয়ে আলোচিত দেশি ক্রিকেটার ইয়াসির আলীর। চিটাগং ভাইকিংসের জার্সিতে এই তরুণ ১১ ম্যাচে করেছেন ৩০৭ রান। তার টি-টোয়েন্টি স্টাইল ব্যাটিং সকলের প্রশংসা কুড়িয়েছে। এবারের আসরে সর্বাধিক ৫৫৮ রানের মালিক রাইলি রুশো আছেন ৫ নম্বরে। ৬ নম্বরে ‘মি. ডিপেন্ডেবল’ মুশফিকুর রহিম। ১৩ ম্যাচে করেছেন তৃতীয় সর্বোচ্চ ৪২৬ রান। সাতে বিশ্বসেরা অল-রাউন্ডার সাকিব আল হাসান। ব্যাট হাতে ৩০১ রান এবং বল হাতে সর্বাধিক ২৩ উইকেট নিয়েছেন তিনি।
একাদশের ৮ নম্বরে ক্যারিবীয় হার্ডহিটার আন্দ্রে রাসেল জায়গা পেয়েছেন। ১৫ ম্যাচে ২৯৯ রান এবং ১৪ উইকেট শিকার করেছেন এই অল-রাউন্ডার। নয় নম্বরে মাশরাফি বিন মুর্তজা। অসাধারণ ক্যাপ্টেন্সির পাশাপাশি ১৪ ম্যাচে নিয়েছেন ২২ উইকেট। ১২ ম্যাচে ২২ উইকেট নিয়ে তাসকিন আহমেদ ১০ নম্বরে এবং ১৫ ম্যাচে ২২ উইকেট নিয়ে ১১ নম্বর স্থানটি দখল করেছেন আরেক পেসার রুবেল হোসেন।