• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

নতুন তারকার দেখা পেল ক্রিকেটবিশ্ব

প্রকাশ:  ১৪ মার্চ ২০১৯, ১১:৩৯
স্পোর্টস ডেস্ক

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে হাতেখড়ি হয়েছে বছর দশেক আগে৷ তবে নিজেকে মেলে ধরার পর্যাপ্ত সুযোগ পাননি গত এক দশকে৷ দেরিতে হলেও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিজেকে প্রমাণ করার দ্বিতীয় সুযোগ পেলেন ইসুরু উদানা এবং সেটাকে কাজে লাগিয়ে বুঝিয়ে দিলেন সর্বোচ্চ পর্যায়ে লড়াই চালানোর সব রকম রসদ মজুত রয়েছে তার মধ্যে৷

সম্পর্কিত খবর

    ২০০৯ সালে নটিংহ্যামে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টি-২০ ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন শ্রীলঙ্কার বাঁ-হাতি পেসার উদানা, যার ব্যাটের হাতটাও মন্দ নয়৷ গত বছর কলম্বোয় ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে খেলেছেন শেষ আন্তর্জাতিক টি-২০৷ এই দীর্ঘ সময়ের মধ্যে মাত্র ১৮টি টি-২০ ম্যাচে মাঠে নামার সুযোগ পেয়েছেন তিনি৷

    ২০১২ সালে হাম্বান্তোতায় ভারতের বিরুদ্ধে প্রথমবার ওয়ান ডে ক্যাপ হাতে পান ইসুরু৷ সেই সিরিজে আরও একটি ম্যাচ খেলছিলেন৷ ব্যাট করার সুযোগ না হলেও বল হাতে কোনও উইকেট তুলতে না পারার মাশুল দিয়ে ছিটকে যেতে হয় জাতীয় দল থেকে৷ অবশেষে সুযোগ আসে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের ওয়ান ডে সিরিজে৷ ডারবানে ব্যাটিংয়ে নজর কাড়ার মতো পর্যাপ্ত অবকাশ ছিল না, তবে দু’টি উইকেট নিয়েছিলেন বল হাতে নিয়ে৷ পোর্ট এলিজাবেথে দলকে না জিতিয়েও ম্যাচের নায়ক উদানা৷

    দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সিরিজের চতুর্থ একদিনের ম্যাচে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে শ্রীলঙ্কার যখন অসহায় অবস্থা, তখন ব্যাট হাতে দলকে ভরাডুবির হাত থেকে রক্ষা করেন উদানা৷ ৯ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ৭৮ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলেন, যা ওয়ান ডে ক্রিকেটের ইতিহাসে কোনও নম্বর ব্যাটসম্যানের করা চতুর্থ সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস৷ তাও মাত্র ৫৭ বলে৷ মোট ৭টি চার ও ৪টি ছক্কা মারেন ইসুরু৷

    মূলত উদানার ব্যাটে ভর করেই শ্রীলঙ্কা ৩৯.২ ওভারে ১৮৯ রান তুলতে সক্ষম হয়৷ একসময় ৯৭ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে বসা সিংহলিরা ১৩১ রানে ৯ উইকেট খুইয়েছিল৷ সেখান থেকে শেষ উইকেটের জুটিতে ৫৮ রান যোগ করেন একার দায়িত্বে৷ কেননা অপর প্রান্তে থাকা শেষ দু’জন ব্যাটসম্যান মালিঙ্গা ও রজিথা খাতা খুলতেই পারেননি, যাঁদের নিয়ে লড়াই চালিয়ে যান উদানা৷

    উদানার এমন অবিশ্বস্য ইনিংসের পরেও অবশ্য শ্রীলঙ্কা ম্যাচ হেরে বসে৷ পালটা ব্যাট করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকা ৩২.৫ ওভারে ৪ উইকেটের বিনিময়ে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় ১৯০ রান তুলে নেয়৷ কুইন্টন ডি’কক যতারীতি ধারাবাহিকতা বজায় রেখে ৫১ রান করে যান৷ ডু’প্লেসি করেন ৪৩ রান৷ যদিও ম্যাচের সেরা হয়েছেন শ্রীলঙ্কার নতুন আবিস্কৃত অলরাউন্ডার৷

    /এস কে

    • সর্বশেষ
    • সর্বাধিক পঠিত
    close