• মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||

হারুনের হলফনামায় নেই ‘সেই’ রেইনট্রির নাম

প্রকাশ:  ০৫ ডিসেম্বর ২০১৮, ১৫:২১
ঝালকাঠি প্রতিনিধি
ফাইল ছবি

ঝালকাঠি ১ (রাজাপুর-কাঁঠালিয়া) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সংসদ সদস্য বজলুল হক হারুনের সম্পদ গত ১০ বছরে প্রায় তিন গুণ বেড়েছে। আর তাঁর স্ত্রীর সম্পদ বেড়েছে পাঁচ গুণ। তবে নির্বাচনী হলফনামায় আলোচিত দি রেইনট্রি হোটেলের মালিকানার কথা বেমালুম চেপে গিয়েছেন তিনি।

সম্পর্কিত খবর

    জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে জমা দেওয়া প্রার্থীর হলফনামা পর্যালোচনা করে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

    বজলুল হক হারুন ২০০৮ সালের হলফনামায় সম্পদের আর্থিক মূল্যের পরিমাণ দেখিয়েছিলেন ১০ কোটি ৯৭ লাখ ১২ হাজার ২৮১ টাকা। এর মধ্যে রয়েছে নগদ অর্থ, ব্যাংকে জমা, সঞ্চয়পত্র, এফডিআর, মোটরগাড়ি, বাড়িভাড়া, স্বর্ণালংকার ও অন্যান্য স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ। আর তাঁর স্ত্রীর সম্পদের আর্থিক মূল্যের পরিমাণ দেখান দুই কোটি ৪৭ লাখ ৪১ হাজার ৬১০ টাকা। এর মধ্যে নগদ অর্থ, ব্যাংকে জমা, সঞ্চয়পত্র, স্বর্ণালংকার, মোটরগাড়ি, বন্ড ও এফডিআর রয়েছে।

    একাদশ সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় এই আ’লীগ নেতা তার সম্পদের আর্থিক মূল্যের পরিমাণ দেখিয়েছেন ৩৫ কোটি ৬৭ লাখ ১৭ হাজার ৩৯৭ টাকা। তিনি দেনার পরিমাণ দেখিয়েছেন ২৫ কোটি ৫৭ লাখ ২৩ হাজার ৮৫০ টাকা। আর তাঁর স্ত্রীর সম্পদের আর্থিক মূল্যের পরিমাণ দেখিয়েছেন ১২ কোটি ৫১ লাখ ৫০ হাজার ২৫৮ টাকা। এর মধ্যে রয়েছে নগদ অর্থ, ব্যাংকে জমা, সঞ্চয়পত্র, বন্ড, মোটরগাড়ি ও এফডিআর।

    বজলুল হক হারুন পেশা হিসেবে ব্যবসা দেখালেও এ খাত থেকে তাঁর কোনো আয় নেই বলে দেখিয়েছেন। তবে ২০০৮ সালের হলফনামায় ব্যবসা থেকে ১৩ লাখ ৯২ হাজার টাকা বার্ষিক আয় দেখিয়েছেন। তিনি তাঁর হলফনামায় প্রিমিয়ার ব্যাংকের পরিচালক ও আল হোমায়রা ট্রাভেলসের মালিক হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

    তিনি বার্ষিক আয়ের উৎস দেখিয়েছেন সংসদ ও ব্যাংকের পরিচালক হিসেবে সম্মানী ভাতা, বাড়ি ও দোকান ভাড়া, শেয়ার ও সঞ্চয়পত্র এবং ব্যাংক আমানত বাবদ বছরে ৫১ লাখ এক হাজার ৬০৭ টাকা। তিনি হলফনামায় এনআই অ্যাক্টের (চেক প্রত্যাখ্যান) তিনটি মামলার কথা উল্লেখ করেছেন। এর মধ্যে দুটি বাদী প্রত্যাহার করেছেন। অন্যটিও বাদী প্রত্যাহারের আবেদন করেছেন।

    প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালে নবম এবং ২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে বজলুল হক হারুন নির্বাচিত হন। দলের ধর্ম মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

    উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ২৮ মার্চ ঢাকার বনানীর রেইনট্রি হোটেলে জন্মদিনের অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রীকে ধর্ষণ ও এর ভিডিও ধারণ করা হয়। অভিযুক্তরা হলেন আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদের ছেলে সাফাত আহমেদ ও ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠান ইমেকার্সের মালিক নাঈম আশরাফ। ওই সময় বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে বলা হয়, হোটেলটির মালিক বি এইচ হারুন, চেয়ারম্যান তাঁর বড় ছেলে নাহিয়ান হারুন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মেজো ছেলে আদনান হারুন ও পরিচালক ছোট ছেলে মাহির হারুন।

    এদিকে, হলফনামার ৬ নম্বর ঘরে প্রার্থী ও তাঁর ওপর নির্ভরশীল ব্যক্তিদের সম্পদ ও দেনার বিবরণ উল্লেখ করা বাধ্যতামূলক। স্ত্রীর বিষয়ে উল্লেখ করলেও তিনি ছেলেদের কোনো তথ্য দেননি।

    হলফনামায় রেইন ট্রির নাম না থাকা প্রসঙ্গে বজলুল হক হারুন গণমাধ্যমকে বলেন, রেইনট্রি হোটেলের মালিক আমি নই। যা সত্য তাই হলফনামায় তুলে ধরেছি। হলফনামার বাইরে আমার কোনো সম্পদ নেই।

    /আরাফাত

    বজলুল হক হারুন,দি রেইনট্রি হোটেল
    • সর্বশেষ
    • সর্বাধিক পঠিত
    close