হবিগঞ্জে বিএনপির প্রার্থী গউছের উপর হামলা
হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ পৌর শহরে নির্বাচনী গণসংযোগকালে বিএনপি মনোনীত জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী জি কে গউছের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এসময় আত্মরক্ষার্থে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আশ্রয় নেন। প্রায় দুই ঘন্টা অবরুদ্ধ থাকার পর একজনের ম্যাজিষ্ট্রেটের নেতৃত্বে বিজিবি ও পুলিশ সদস্যারা গিয়ে তাকে উদ্ধার করেন।
স্থানীয় ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতাকর্মীদের হামলায় ধানের শীষের কর্মীদের কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। এতে অন্তত ৩০ বিএনপি নেতাকর্মী আহত হন। তাদেরকে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
সম্পর্কিত খবর
শনিবার (২২ ডিসেম্বর) রাত ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
বিএনপি কর্মীরা জানান, শনিবার রাত ৮টার দিকে শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে জংশনের পার্কিং এলাকায় দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে গণসংযোগ করছিলেন আলহাজ্ব জি কে গউছ। ইসলামী ব্যাংকের কাছে পৌঁছালে হঠাৎ একদল লোক লাঠিসোঁটা নিয়ে নৌকা-নৌকা স্লোগান দিয়ে গউছ ও তার কর্মীদের উপর হামলা চালায়। এ সময় আত্মরক্ষার্থে ধানের শীষের প্রার্থী হবিগঞ্জ পৌরসভার টানা ৩ বারের নির্বাচিত জি কে গউছ স্থানীয় একটি দোকানে নেতাকর্মীদের নিয়ে আশ্রয় নেন।
খবর পেয়ে শায়েস্তাগঞ্জ থানা পুলিশ, ডিবি পুলিশ, বিজিবি ঘটনাস্থলে অবস্থান নেয়। সাথে সাথে জি কে গউছ জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসার ও পুলিশ সুপারকে বিষয়টি অবহিত করেন। প্রায় সোয়া দুইঘন্টা অবরুদ্ধ থাকার পর সোয়া ১০টার দিকে একজন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে তাদের গাড়িতে করে জি কে গউছকে উদ্ধার করে নিয়ে যান।
জি কে গউছ বলেন- সুষ্ঠ নির্বাচন হবে, প্রধানমন্ত্রীর এমন প্রতিশ্রুতিতে বিশ্বাস করে বিএনপি নির্বাচনে গিয়েছে। কিন্তু হবিগঞ্জে ধানের শীষের প্রচারণাই করতে পারছি না। আওয়ামী লীগ চায় আমরা যেন নির্বাচনী মাঠ থেকে সরে যাই। এ জন্যই শনিবার রাতে শায়েস্তাগঞ্জে ধানের শীষের প্রচারণার সময় আওয়ামী লীগের লোকজন আামাদের উপর হামলা করেছে। আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। আমরা প্রত্যাশা করছি, হবিগঞ্জের ভোট যেন কারো রক্তে কলঙ্কিত না হয়। প্রশাসন এই বিষয়টি গুরুতের সাথে নিবেন এবং আমাদের প্রচারণার সুযোগ করে দিবেন।
শায়েস্তাগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিছুর রহমান বলেন, আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে উনাকে (গউছ) উদ্ধার করেছি। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
/পি.এস