‘কৃষিকে বাণিজ্যিকীকরণের মধ্য দিয়ে জীবনমানের উন্নয়ন ঘটানো সম্ভব’
কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, কৃষিকে আধুনিকায়ন ও বাণিজ্যিকীকরণের মধ্য দিয়ে উৎপাদিত চালসহ অন্যান্য পণ্য রফতানি করা হবে। এভাবে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের মধ্য দিয়ে আমাদের জীবনমানের আরও উন্নয়ন ঘটানো সম্ভব।
বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় শেরপুর পৌরসভার ১৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সম্পর্কিত খবর
আব্দুর রাজ্জাক বলেন , কৃষিকে লাভজনক বাণিজ্যিক পেশা হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে। এজন্য কীভাবে চালের উৎপাদন বাড়ানো যায়, কীভাবে কৃষকরা উৎপাদিত চাল দেশের বিভিন্ন অঞ্চলসহ বিদেশে সরবরাহ করে লাভবান হয়, তাদের ছেলে-মেয়েদের পড়াশোনাসহ সাংসারিক ব্যয় নির্বাহ করতে পারে, সেদিকে খেয়াল রাখা হচ্ছে।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, কৃষিকে আধুনিকায়ন ও বাণিজ্যিকীকরণের মধ্য দিয়ে উৎপাদিত চালসহ অন্যান্য পণ্য রফতানি করা হবে। এভাবে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের মধ্য দিয়ে আমাদের জীবনমানের আরও উন্নয়ন ঘটানো সম্ভব।
তিনি বলেন, শেরপুর অঞ্চল কৃষির জন্য খুবই উন্নত। এ জেলার উৎপাদিত চাল সবচেয়ে ভালো। এজন্য কৃষি ও খাদ্যের ক্ষেত্রে শেরপুর অঞ্চল বিশেষ ভূমিকা রাখছে।
সীমান্তবর্তী জেলা হিসেবে শেরপুরে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং মেডিকেল কলেজ স্থাপনের যৌক্তিকতা তুলে ধরে তিনি আরও বলেন, এ দু’টি প্রতিষ্ঠানের শূন্যতা পূরণ হলে এলাকার ছেলে-মেয়েরা একদিকে কম খরচে উচ্চ শিক্ষার সুযোগ গ্রহণ করতে পারবে, অন্যদিকে প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারত থেকেও শিক্ষার্থীরা পড়তে আসবে। সেটাও দু’দেশের সম্পর্ক উন্নয়নে সহায়ক হবে। যুবক-তরুণরাই দেশের শক্তি ও সমৃদ্ধি। এই শিক্ষিত যুব সমাজকে চাকরি দিতে হলে শিল্পায়নের উপর গুরুত্ব দিতে হবে।
স্থানীয় শহীদ দারোগ আলী পৌরপার্ক মাঠে আয়োজিত আলোচনা সভায় শেরপুর পৌরসভার মেয়র গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া লিটন সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন হুইপ আতিউর রহমান আতিক, নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব আবদুস সামাদ ফারুক, মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত সচিব) দিলদার আহমেদ প্রমুখ
পিবিডি/জিএম