সেফাত উল্লাহর ফাঁসির দাবিতে কোম্পানীগঞ্জে মিছিল
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে লাইভ এসে সেফাত উল্লাহ পবিত্র কোরআন শরীফকে অবমাননা করায় এর প্রতিবাদে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে বিক্ষোভ করেছে মুসল্লিরা।
শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) জুম'আ পরবর্তী কহিনূর হুদা ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ধর্মপ্রান মুসল্লিরা একত্রিত হয়ে হাজারীহাট বাজার থেকে বিক্ষোভ মিছিল করা হয়।
সম্পর্কিত খবর
বিক্ষোভ মিছিলে উপস্থিত ছিলেন- ডাঃ আ.ফ.ম আবদুল হক, কোম্পানীগঞ্জ ইমাম পরিষদ সমিতি সেক্রেটারি আলী আহম্মেদ জমিরি, বিশিষ্ট সমাজসেবক শরীয়ত উল্যাহ সহ স্থানীয় ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা।
এসময় দাবির সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে কহিনূর হুদা ফাউন্ডেশন চেয়ারম্যান নুরুল করিম জুয়েল বলেন, সেফাত উল্লাহ একজন মানুষ হিসেবে সে তার নিজস্ব মতামত প্রকাশ করতেই পারেন। ইসলাম ধর্ম ও পবিত্র কোরআন বিশ্বাসে আঘাত দেয়ার অধিকার তাকে কেউ দেয়নি।
একই সাথে নাস্তিকতায় বিশ্বাসীদের ‘ধর্মবিদ্ধেষী’ উল্ল্যেখ করে তিনি বলেন, আপনারা আপনাদের মতবাদ আপনাদের মত করে প্রচার করুন। ইসলাম ধর্মকে আঘাত করতে পারবেন না। এদেশের তৌহিদি জনতা সহ্য করবে না।
এসময় বঙ্গবন্ধুর খুনীদের মত আন্তর্জাতিক ট্রাইবুনাল গঠন করে দেশে ফিরিয়ে এনে জনসম্মুখে তার ফাসি দেয়ার দাবি জানান নুরুল করিম জুয়েল।
বসুরহাট আশ্রাফুল উলুম মাদরাসার শিক্ষক আহমুদুল হাসান তার বক্তব্যে বলেন, মুসলমানের সবকিছুর উর্ধ্বে তার ঈমান ও ইসলাম। সেফাত উল্লাহ কর্তৃক আল্লাহ, রাসূল (সাঃ), ইসলাম ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে কটুক্তি ও অপমান করার অপরাধে দেশে ফিরিয়ে এনে তার সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দেয়ার দাবি জানান সরকারের কাছে।
উল্লেখ্য, বুধবার (১৭ এপ্রিল) ফেসবুক লাইভে কোরআনের পাতা ছিঁড়ে ওয়াশ রুমের কমোডে ফেলেন ও কোরআনের উপর স্যান্ডেল দিয়ে মারেন সেফাত উল্লাহ। এরপরই ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে পড়লে বাংলাদেশে সমালোচনা ও নিন্দার ঝড় শুরু হয়।
/অ-ভি