নুসরাত হত্যা: সোনাগাজী উপজেলা আ.লীগ সভাপতি আটক
ফেনীর সোনাগাজী ইসলামীয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসার ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও মাদরাসা কমিটির সহ-সভাপতি রুহুল আমিনকে আটক করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) বিকালে সোনাগাজী থেকে তাকে আটক করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। পিবিআইয়ের এসএসপি মোঃ মনিরুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সম্পর্কিত খবর
এ ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া এজহারের দুই আসামি নুর উদ্দিন ও শাহাদাত হোসেন শামীম আদালতে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দিতে রুহুল আমিনের সর্ম্পক্ততার বিষয়টি উঠে আসে। তারা বলে ঘটনার দিন তারা যখন ঘটনা ঘটিয়ে চলে যাচ্ছিল তখন তারা রুহুল আমিনকে ফোন করে তখন তিনি তাদের বলে আমি জানি- তোমরা চলে যাও।
মূল অপরাধী মাদরাসার অধ্যক্ষ রুহুল আমিনের মুল খুটির জোর এ রুহুল আমিন। ২৭ মার্চের নুসরাতের যৌন হয়রানির কথা সিরাজের কার্যালয়ে এসে মেয়েকে যৌন হয়রানির বিষয় জানতে চাইলে সিরাজ উদ-দৌলা রুহুল আমিনকে দিয়ে শাসানোর হুমকি দেয়।
উল্লেখ্য, শনিবার (৬ এপ্রিল) সকালে আলিম পরীক্ষা দিতে সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসায় যায় নুসরাত জাহান রাফি। মাদরাসার এক ছাত্রী সহপাঠি নিশাতকে ছাদের উপর কেহ মারধর করেছে এমন সংবাদ দিলে সে ওই বিল্ডিংয়ের তিন তলায় যায়। সেখানে মুখোশপরা ৪/৫জন ছাত্রী তাকে অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার বিরুদ্ধে মামলা ও অভিযোগ তুলে নিতে চাপ দেয়। সে অস্বীকৃতি জানালে তারা গায়ে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় সোমবার (৮ এপ্রিল) রাতে অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলা ও পৌর কাউন্সিলর মুকছুদ আলমসহ ৮ জনের নাম উল্লেখ করে সোনাগাজী মডেল থানায় মামালা দায়ের করেন অগ্নিদগ্ধ রাফির বড় ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান। এ পর্যন্ত এজহারের ৮ জন গ্রেফতারসহ মোট ১৮ জনকে আটক করা হয়েছে। স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে ৪ জন। ১৫ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড দেয়া হয়।
এর আগে ২৭ এপ্রিল ওই ছাত্রীকে নিজ কক্ষে নিয়ে যৌন নীপিড়নের অভিযোগে মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাকে আটক করে পুলিশ। সে ঘটনার পর থেকে তিনি কারাগারে রয়েছেন। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর মা শিরিন আক্তার বাদী হয়ে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।
/পিবিডি/পি.এস