দুই নৃত্যশিল্পীকে গণধর্ষণের অভিযোগ
রাজশাহীর দুর্গাপুরে বৈশাখী অনুষ্ঠান শেষ করে বাড়ি ফেরার পথে দুই নারী নৃত্য শিল্পীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) রাতে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা ওই দুই নারী শিল্পীকে উদ্ধার করে দুর্গাপুর স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করে। তবে রহস্যজনক কারণে পরের দিন শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে গোপনে স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে চলে গেছে তারা। এ ঘটনায় থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করা হলেও ঘটনার সাথে জড়িত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেননি পুলিশ।
সম্পর্কিত খবর
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দুর্গাপুর পৌর সদরের রৈপাড়া আরএম নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বৈশাখী অনুষ্ঠান উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ওই অনুষ্ঠানে রাজশাহী শহর ও নাটোর সদর থেকে দুই নারী নৃত্য শিল্পী আসেন। অনুষ্ঠান শেষ করে রাত সাড়ে ১০টার দিকে মাইক্রোবাস যোগে বাড়ি ফিরছিল ওই দুই নারী নৃত্য শিল্পী।
পালি ও বাঁশপুকুরিয়া গ্রামের মাঝখানে স্থানীয় ১০/১২ জন যুবক মাইক্রোবাসের পথরোধ করে ওই দুই নারী নৃত্য শিল্পীকে মাইক্রোবাস থেকে নামিয়ে রাস্তার পাশে জঙ্গলের মধ্যে নিয়ে যায়। পরে ওই দুই নারী নৃত্য শিল্পীকে গণধর্ষণ করা হয়। স্থানীয় লোকজন ঘটনা জানতে পেরে এগিয়ে গেলে ওই যুবকরা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন দুই নারী নৃত্য শিল্পীকে উদ্ধার করে দুর্গাপুর স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করে।
স্বাস্থ্য কেন্দ্রের রোগী ভর্তির রেজিস্ট্রার দেখে জানা গেছে, শুক্রবার রাত ১১ টা ৪০ মিনিটে ওই দুই নারী শিল্পীকে ভর্তি দেখানো হয়েছে। ভর্তির সময় দুই নারী শিল্পীর অভিভাবক হিসেবে তামিম ও সামি নামের দুই যুবকের নাম লেখা রয়েছে। তবে তাদের মোবাইল নাম্বার দেয়ার সময় নাম্বারের একটি করে ডিজিট কম লেখা রয়েছে। এছাড়া ভর্তির সময় স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ধর্ষণের বিষয়টি উল্লেখ না করে শুধুমাত্র শারীরিক আঘাতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
তবে স্বাস্থ্য কেন্দ্রের জরুরি বিভাগে কর্মরত একজন চিকিৎসক নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, ওই দুই নারী নৃত্য শিল্পীর শরীরে নখের আঁচড় ও ফোলা জখম ছিল।
দুর্গাপুর থানার ওসি আব্দুল মোতালেব জানান, এ ঘটনায় থানায় একটি লিখিত অভিযোগ হয়েছে। আমি থানার বাইরে আছি তাই আপাতত বিস্তারিত কিছু বলতে পারছি না।
/অ-ভি