নুসরাত হত্যা: ইফতেখার, এমরান ও জোবায়েরকে আদালতে উপস্থাপন

ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যাকাণ্ডের এজহারভুক্ত আসামি জোবায়ের আহাম্মদ ও জড়িত থাকার অভিযোগে আটক ইফতেখার হোসেন রানা ও এমরান হোসেন মামুনকে রোববার (২১ এপ্রিল) আদালতে উপস্থাপন করছে পিবিআই।

আদালতে ইফতেখার ও এমরানের রিমান্ড চাওয়া হবে। এদিকে নুসরাত জাহান রাফি হত্যাকাণ্ডের এজহারভুক্ত আসামি জোবায়ের আহাম্মদ ৫ রিমান্ড শেষে জবানবন্দি দেয়ার জন্য আদালতে উপস্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছে পিবিআই।

অপরদিকে রাফি হত্যার ঘটনায় দুই সন্দেহভাজনকে শনিবার পৃথক অভিযান চালিয়ে রাঙ্গামাটি ও কুমিল্লা থেকে আটক করা হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও ফেনী পিবিআইয়ের ওসি মো. শাহ আলম জানান, ওইদিন বিকালে রাঙ্গামাটি টিএন্ডটি এলাকা অভিযান চালায় পিবিআই। এসময় একটি বাড়ি থেকে ইফতেখার হোসেন রানাকে আটক করা হয়। আটক ইফতেখার সোনাগাজীর চর গণেশ এলাকায় বাসিন্দা। একইদিন কুমিল্লার পদুয়ার বাজার এলাকা থেকে এমরান হোসেন মামুনকে আটক করা হয়। আদালতে আজকে তাদের রিমান্ড শুনানী অনুষ্ঠিত হবে।

এ ঘটনায় এ পর্যন্ত মামলার এজহারের ৮ জনসহ মোট ২০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে ৭ জন। ১১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড দেয়া হয়।

উল্লেখ্য, ৬ এপ্রিল শনিবার সকালে আলিম পরীক্ষা দিতে সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসায় যায় নুসরাত জাহান রাফি। মাদরাসার এক ছাত্রী সহপাঠি নিশাতকে ছাদের উপর কেউ মারধর করেছে এমন সংবাদ দিলে সে ওই বিল্ডিংয়ের তিন তলায় যায়। সেখানে মুখোশপরা ৪/৫জন ছাত্রী তাকে অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার বিরুদ্ধে মামলা ও অভিযোগ তুলে নিতে চাপ দেয়। সে অস্বীকৃতি জানালে তারা গায়ে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় সোমবার রাতে অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলা ও পৌর কাউন্সিলর মুকছুদ আলমসহ ৮ জনের নাম উল্লেখ করে সোনাগাজী মডেল থানায় মামালা দায়ের করেন অগ্নিদগ্ধ রাফির বড় ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান।

এর আগে ২৭ এপ্রিল ওই ছাত্রীকে নিজ কক্ষে নিয়ে যৌন নীপিড়নের অভিযোগে মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাকে আটক করে পুলিশ। সে ঘটনার পর থেকে তিনি কারাগারে রয়েছেন। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর মা শিরিন আক্তার বাদী হয়ে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।

/পিবিডি/পি.এস