‘সমুদ্রে জেলেদের অবৈধ জালে মারা যাচ্ছে পোনা মাছ’

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় বিশ্ব মৎস্য দিবস উপলক্ষে সমুদ্রের স্বাস্থ্য রক্ষা, মাছের প্রজনন বৃদ্ধি, সমুদ্র ও নদীর জীব বৈচিত্র্য সংরক্ষণ, সমুদ্র থেকে প্লাস্টিক বর্জনসহ বিভিন্ন প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) সকাল ১০ টায় উপজেলার আলীপুর বিএফডিসি মার্কেটের হল রুমে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় উপস্থিত বক্তারা সমুদ্রে মাছের প্রজনন বৃদ্ধির লক্ষে বিভিন্ন পরামর্শ এবং প্রতিকার নিয়ে আলোচনা করেন।
সম্পর্কিত খবর
এ সময় ওয়ার্ল্ড ফিস ইকোফিস প্রকল্পের সহযোগী গবেষক সাগরিকা স্মৃতির সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন, কুয়াকাটা নৌ পুলিশ ফাঁড়ির কর্মকর্তা এস আই তাপস, বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড দক্ষিণ জোন অধীনস্থ বিসিজি স্টেশন নিজামপুর এর কর্পোরাল হুমায়ূন কবির, মেরিন ফিসারিজ কর্মকর্তা মো.আশিকুর রহমান আশিক, কুয়াকাটা প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজী সাইদ সহ ব্লু-গার্ডের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় ওয়ার্ল্ড ফিস ইকোফিস প্রকল্পের সহযোগী গবেষক সাগরিকা স্মৃতি বলেন, প্রথমত সমুদ্রের স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে প্লাস্টিক পলিউশন কমাতে হবে, মাছ শিকারের ক্ষেত্রে আমাদের সবাইকে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। মাছের প্রজনন বৃদ্ধির লক্ষে ছোট এবং মা মাছ নিধন থেকে বিরত থাকতে হবে। পরিবেশের ভারস্যাম্য রক্ষার্থে আমাদের জীববৈচিত্র্য রক্ষা করতে হবে। আমাদের নদী, খাল, সাগর দূষণমুক্ত রাখতে হবে। উপকূলের বেশিরভাগ মানুষ মৎস্য পেশায় নিয়োজিত থাকায় তাদের নিয়মতান্ত্রিক মৎস্য শিকারে সচেতন করাই আমাদের মূল লক্ষ্য।
এ সময় উপস্থিত ব্লু-গার্ড সদস্যরা বলেন, সমুদ্রে জেলেদের অবৈধ জালে প্রতিনিয়ত হাজার হাজার মাছের পোনা মারা যাচ্ছে। কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছেনা অবৈধ জালের ব্যাবহার। জেলেদের সচেতন করতে গেলে তারা আমাদের সাথে খারাপ আচারন করে, তবুও আমরা প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছি। তবে এভাবে চলতে থাকলে মৎস্য উৎপাদন হুমকিতে পড়বে বলে মনে করেন তারা।
এ বিষয় উপজেলা মেরিন ফিসারিজ কর্মকর্তা মো. আশিকুর রহমান আশিক বলেন, সমুদ্রে মাছ কমে যাওয়ার সবচেয়ে বড় কারণগুলোর একটি হচ্ছে, চর-বিজয়ে জেলেরা প্রতিনিয়ত কোটি কোটি মাছের পোনা মারছে। প্রতি বছর চর-বিজয়ে ৩০-এর উপরে অভিযান পরিচালনা করে থাকি আমরা। তবুও অসাধু জেলেরা সেখানে অবৈধভাবে মাছ মেরে যাচ্ছে।
এসময় তিনি আরও বলেন, আসলে অভিযান পরিচালনার জন্য আমাদের সক্ষমতার অভাব রয়েছে। নিজস্ব সরকারি কোন জলযান না থাকায় যে কোনো সময় চাইলেও অভিযান পরিচালনা করতে পারি না। আর সে সুযোগটাই জেলেরা কাজে লাগাচ্ছেন।