পাইক্ষ্যং পাড়ার ৫৭ পরিবার খাদ্য সংকটে

বান্দরবানে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) আতঙ্কে আট মাস আগে রোয়াংছড়ি পাইংক্ষ্যং পাড়া ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া ৯৭ বম সম্প্রদায়ের পরিবারের মধ্যে ৫৭টি পরিবারের ২০০ সদস্য ফিরেছেন এলাকায়। তবে, তারা এখন খাদ্য সংকটে আছেন বলে জানিয়েছেন পাড়াবাসী। ফিরে আসা এসব পরিবারের সদস্যরা ধারদেনা এবং আত্মীয় স্বজনদের সহায়তায় কোনো রকম চলছেন বলে দাবি করেছেন পাড়াবাসী।
গত ৫ নভেম্বর কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সঙ্গে শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির সশরীরে আলোচনা ও বিভিন্ন বিষয়ে সমঝোতার পর পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ায় পালিয়ে যাওয়া বম পরিবারগুলোও গ্রামে ফিরতে শুরু করে। সঙ্কটময় পরিস্থিতিতে গ্রামের কেউই জুমচাষ করতে পারেননি। ফলে গ্রামে ফিরে খাদ্যের অভাব দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন পাড়াবাসী।
সম্পর্কিত খবর
পাইংক্ষ্যং পাড়ার কারবারি (পাড়া প্রধান) পিতর বম জানান, কেএনএফ-এর তৎপরতা বৃদ্ধি পেলে পাড়াবাসী যে যার মতো এলাকা ছেড়ে পালিয়ে বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নিয়েছিলেন। বান্দরবান সেনাবাহিনীরদের সহযোগিতায় গত শনিবার (১৮ নভেম্বর) ৫৭ পরিবার নিজ গ্রামে ফিরে এসেছে।
জিংপা বম নামের এক পাড়াবাসী জানান, ইতোমধ্যে যারা পাড়ায় ফিরে এসেছেন সবাই খাদ্য সংকটে আছেন। কেএনএফের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বন্দুক যুদ্ধের পর আতঙ্কে সবাই পাড়া ছেড়ে পালিয়ে বিভিন্ন এলাকায় আশ্রয় নেয়। এমন পরিস্থিতিতে পাড়ার কেউ জুমচাষ করতে পরেননি।
রোয়াংছড়ি সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মেহ্লা অং মারমা জানান, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় পাইংক্ষ্যং পাড়া থেকে পালিয়ে যাওয়া অনেক পরিবার এখন নিজ এলাকায় ফিরে এসেছেন। খাদ্য সংকটের বিষয়ে বান্দরবান জেলা পরিষদ, রোয়াংছড়ি উপজেলা পরিষদ ও ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে মৌলিক চাহিদাগুলো সহয়তা দেওয়া হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।
বম সোস্যাল কাউন্সিলের সভাপতি লাল জার লম বম জানান, পাড়াবাসীর খাদ্য সংকটের বিষয়ে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা হয়েছে। জেলা পরিষদ থেকে সহযোগীতা পাওয়া যাবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
বান্দরবান সদর জোন কমান্ডার লেফট্যানেন্ট কর্নেল মাহমুদুল হাসান বলেন, পাইংক্ষ্যং পাড়ায় এসে পাড়াবাসীদের চিকিৎসা সহায়তা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি পাড়াবাসীদের সব ধরনের সার্বিক সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।