• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||

মতিন মাস্টার হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটিত

প্রকাশ:  ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১১:১৫
ময়মনসিংহ প্রতিনিধি

ময়মনসিংহের ত্রিশালে মুক্তিযোদ্ধা ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি আব্দুল মতিন মাস্টার (৬৫) হত্যাকাণ্ডের দুই মাস পর রহস্যের জট উদঘাটিত হয়েছে বলে দাবি করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন-পিবিআই ময়মনসিংহ। এ হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয় সাতজন । আদালতে দুই আসামি জবানবন্দিতে এই তথ্য জানিয়েছেন।

পিবিআইয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু বকর সিদ্দিক জানান, আব্দুল মতিন মাস্টার হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটিত হয়েছে। খুব শিগগিরই আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হবে।

ত্রিশাল থানা পুলিশ ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশ মামলাটি তদন্ত করে কোনও কুলকিনারা না পাওয়ায় আদালতের নির্দেশে গত ১৩ আগস্ট মামলার তদন্তভার পায় পিবিআই ময়মনসিংহ।

পরে এক সপ্তাহের মধ্যে পিবিআই ত্রিশালের নারায়ণপুরের আবু বকর ছিদ্দিকের ছেলে মোফাজ্জল হোসেন রুবেল (৩০), চাঁন মিয়ার ছেলে সেলিম ডাকাত (৪০), ইমান আলীর ছেলে ইদ্রিস আলী (৪০), তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে সোহাগ মিয়া (২৬) ও খাঘাটি গ্রামের দুলাল মিয়াকে (৪৫) গ্রেফতার করে। তাদের দেওয়া তথ্যমতে বৃহস্পতিবার (৩০ আগস্ট) রাতে সেলিম ডাকাতের বাড়ি থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহ্নত চাইনিজ কুড়ালসহ অপর একটি দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।

এর আগে গ্রেফতার হওয়া ইদ্রিস ২৩ আগস্ট ও সোহাগ ২৮ আগস্ট আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে আব্দুল মতিন মাস্টার হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে তার বিবরণ জানায়। তারা জানায়, গ্রেফতার হওয়া পাঁচজনসহ মোট সাতজন এতে অংশ নেয়।

পিবিআই জানিয়েছে, গত ইউপি নির্বাচনে খাঘাটি গ্রামের মোবারক হোসেন আকন্দ নামে এক মেম্বার প্রার্থীর বিরোধিতা করেছিলেন আব্দুল মতিন মাস্টার। এছাড়া ত্রিশালে একটি বহুজাতিক কোম্পানির জমির কেনাবেচায় দালালচক্রের সঙ্গেও বিরোধ ছিল মতিন মাস্টারের। এসবের জের ধরেই এই হত্যাকাণ্ডে হয়েছে বলে জানিয়েছে গ্রেফতার হওয়া আসামিরা।

মামলার বাদী মাহমুদুল হাসান মামুন জানান, মোবারক হোসেন মেম্বার বিভিন্নভাবে তাদের পরিবারকে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। পরিবারের সদস্যরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।

উল্লেখ্য গত ৩ জুলাই বাড়ির পাশে নিজ ফিসারির ভেতর খুন হন মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মতিন মাস্টার। ত্রিশাল থানা পুলিশ ওই দিন সকালে খাঘাটি গ্রামের বাড়ির পাশের পুকুর থেকে মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মতিন মাস্টারের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে।পরে পরিবারের পক্ষে তার ছেলে মাহমুদুল হাসান মামুন বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের আসামি করে ত্রিশাল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

/পি.এস

ময়মনসিংহ,হত্যা

সারাদেশ

অনুসন্ধান করুন
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close