হাসপাতাল আছে সেবা নেই!
দিনাজপুরের খানসামা উপজেলা পাকেরহাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক্সরে, আল্ট্রাসনোগ্রাম মেশিন নষ্টসহ চিকিৎসক, নার্স, পরিচ্ছন্নতাকর্মীসহ জনবল না থাকায় স্বাস্থ্য সেবা থেকে রোগীরা প্রতিনিয়ত বঞ্চিত হচ্ছেন। তুলনামূলক রোগী বেশি হওয়ায় ওষুধ মিলছে না সেবা নিতে আসা রোগীদের।
এছাড়াও হাসপাতালে দন্ত চিকিৎসক, এনেসথেসিয়ার চিকিৎসক ও জরুরি রক্তের রোগীদের জন্য ব্লাড ব্যাংক নেই। এনেসথেসিয়ার চিকিৎসক না থাকায় সিজারসহ বিভিন্ন অপারেশন করা যাচ্ছে না। তাই ওটি বন্ধের সম্মুখীন হয়েছে। অপরদিকে, হাসপাতালে গাইনি চিকিৎসক ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসক এবং নার্স না থাকায় সেবাও ব্যহত হচ্ছে।
সম্পর্কিত খবর
মাত্র ২ জন চিকিৎসক দিয়ে প্রায় আড়াই লাখ মানুষের চিকিৎসা সেবা দিলেও আজ তিনজন চিকিৎসক যোগদান করেছেন ওই হাসপাতালে।
৩১ শয্যার হাসপাতালে চিকিৎসক প্রয়োজন ১৫ জন, সেখানে ৯ সেপ্টেম্বর থেকে ৫ জন চিকিৎসক হল। অথচ ৫০ শয্যার হাসপাতালে রোগী তারও অধিক ভর্তি থাকে বলে চিকিৎসকরা জানান।
এ ব্যাপারে আরএমও (ভারপ্রাপ্ত) ডা. মো. শামসুদ্দোহা মুকুল জানান, এখানে বহির্বিভাগে রোগী কোন দিন ৪শ' থেকে ৫শ' জন হয়। রোগী দেখতে হিমশিম খেতে হয়। রোগী বেশী হলে ঔষধের ঘাটতি হয়। আবার ৫০ শয্যার হাসপাতালে কখনও ৬০/৭০ জন রোগীও ভর্তি থাকে।
পাকেরহাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও (ভারপ্রাপ্ত) ডাঃ মোঃ শামসুদ্দোহা মুকুল চিকিৎসক সংকটের কথা স্বীকার করে বলেন, চিকিৎসা সেবা কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে। চিকিৎসক দেওয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা হয়েছে। এনেসথেসিয়ার চিকিৎসক না থাকায় সিজারসহ বিভিন্ন অপারেশন করা যাচ্ছে না। তাই ওটি বন্ধের সম্মুখীন হয়েছে। তাই নরমাল ডেলিভারি করা হচ্ছে এ হাসপাতালে। গতমাসে ৮০টা নরমাল ডেলিভারী করা হয়েছে। ৫০ শয্যার হাসপাতাল হলেও এখনোও প্রশাসনিক অনুমোদন হয়নি। ৩১ শয্যার হাসপাতালের সবকিছু দিয়ে ৫০ শয্যা চলছে।
উল্লেখ্য, খানসামা পাকেরহাট হাসপাতাল ক্যাম্পাসে ঢুকলেই চমৎকার ফুল ও বাগান দেখে অনেকের মন ভালো হয়ে যাবে। এত সংকটের পরেও পরিষ্কার-পরিচ্চন্নতায় শুধু দিনাজপুর নয় রংপুর বিভাগের অনেক হাসপাতালকে পেছনে ফেলে কমপ্লেক্সেটি গত বছর দিনাজপুর জেলার শ্রেষ্ঠ সেবাদান প্রতিষ্ঠান'র স্বীকৃতি লাভ করেন বলে জানান ডা. মো. শামসুদ্দোহা মুকুল।
জানা যায়, ৫০ শয্যার হাসপাতালে চিকিৎসকের ১৫ জনের মধ্যে আছেন ডা. মো. শামসুদ্দোহা মুকুল আরএমও (ভারপ্রাপ্ত) ও ডা. আমিনুর রহমান। রোববার নতুন যোগদান করেন টিএইচও ডা. আবু রেজা মোহাম্মদ মাহমুদুল হক, ডা. ফারুক হোসেন ও ডা. সিয়াম মোয়াজ্জেম।
/পি.এস