Most important heading here
Less important heading here
Some additional information here
Emphasized textSome additional information here
Emphasized textঢাকার ধামরাইয়ে স্কুলের মাঠ দখল করে গরুর খামার ও বসত ঘর তৈরির অভিযোগ উঠেছে ৩জনের বিরুদ্ধে, আর এ ঘটনার প্রতিবাদে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে এলাকাবাসী।
উপজেলার কেলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ দখল করে গরুর খামার করায় সংকুচিত হয়ে পড়েছে মাঠের একাংশ।
প্রভাশালীদের ছত্রছায়ায় এলাকার কয়েকজন মাঠের জমি দখলের চেস্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে এলাকাবাসী।
আর এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে ১৯ সেপ্টেম্বর বুধবার আলহাজ্জ হামেদ আলী, মোঃ জিয়ারত উদ্দিন ও আয়নালের নাম উল্লেখ করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে চিঠি লিখেছেন এলাকাবাসী।
কেলিয়া গ্রামের বাসিন্দা জহিরুল ইসলাম বলেন, হামেদ আলী, জিয়ারত উদ্দীন ও আয়নাল হক গং প্রভাবশালী হওয়ায় মৌখিক বিরোধীতার তোয়াক্কা না করেই খেলার মাঠ দখল করে গরুর খামার ও বসত ঘর তৈরি করেছে।
তিনি বলেন, এসবের প্রতিবাদ করলে স্কুলের দিকে চলাচলের একমাত্র রাস্তায় ট্রাক রেখে বেড়া দিয়ে বন্ধ করে দেন তিনি। এজন্যেই আমরা প্রতিবাদ জানিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে চিঠি লিখেছি।
স্কুলের কয়েকজন ছাত্র জানায়, খামারের গরুগুলো মাঠে বাঁধা থাকে, খেলার মাঠে বল খেলা যায় না, আর মাঠজুড়ে ময়লা আবর্জনা পড়ে থাকায় আমরা মাঠে যেতে পারিনা।
স্কুলের পঞ্চম শ্রেণীর এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক বাবুল হোসেন বলেন, মাঠে গরু পালন করায় স্কুলের স্বাভাবিক পরিবেশ নষ্ট হয়েছে। নিয়মিত বর্জ্য পরিস্কার না করায় স্কুল এলাকায় মশা মাছি বেড়েছে, শিক্ষার্থীরা মশাবাহিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে জিয়ারত উদ্দীন বলেন, আমি নিজের জায়গায় বাড়ী করেছি, স্কুলের মাঠের কিছু জমি আমার নিজস্ব, সেই জায়গাতেই গরু বাঁধা হয়। আমার নিজের বাড়ীতে জায়গা না হওয়ায় সেই জায়গাতেই খড় রাখার ঘর তৈরি করেছি।
আলহাজ্জ হামেদ আলী ও নূর মোহম্মদও একই রকম দাবি করে বলেন, এতদিন আমাদের জমিই মাঠ হিসেবে ব্যবহৃত হতো, এখন সেখানে আমরা নিজের জমিতেই ঘর ও খামার করেছি।
এবিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মোঃ আব্দুল মালেক জানান, সরকারি রেকর্ড মতে স্কুল মাঠ হিসেবে (আরএস খতিয়ান- ৪৪৫, দাগ নং- ৮৪০ এ মোট ৬৪ শতাংশ) জমি উল্লেখ আছে। অথচ, তারা এরপরও এই জমি নিজেদের দাবি করে স্কুল মাঠে নিজস্ব স্থাপনা গড়ে তুলে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করছে।
কুল্লা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কালীপদ জানান, মাঠ দখলের বিষয়টি এলাকাবাসী মারফত শুনেছি তবে বিভীন্ন জটিলতার কারণে বসা হয় নি। কিন্ত, বাড়ীওয়ালাদের ডেকে পাঠিয়েছিলাম, তাদের সঙ্গে ঘরোয়াভাবে বসে সমাধানের চেস্টা চালাচ্ছি।
এ বিষয়ে ধামরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল কালাম বলেন, স্কুলের খেলার মাঠ বা সরকারি জমি দখল করে স্থাপনা তৈরি করতে পারবেনা। আর পরিবেশ নষ্ট হয় এমন কোনকিছু সহ্য করা হবে না। সঠিকভাবে তদন্ত সাপেক্ষে এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ নাহিদ হাসান বলেন, আমরা এখনও বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নই। তবে, আমরা তদন্ত সাপেক্ষে এর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহণ করবো।
/এসএফ