কুষ্টিয়ায় গণধর্ষণ মামলায় ৭ জনের যাবজ্জীবন

কুষ্টিয়ার কুমারখালি থানায় প্রেমের ফাঁদে ফেলে গণধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ৭জনকে যাবজ্জীবন এবং ১জনকে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (৪ অক্টোবর) বিকেলে এক জনাকীর্ণ আদালতে কুষ্টিয়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক মুন্সী মোঃ মশিয়ার রহমান এ রায় দেন।

রায় ঘোষণার সময় আসামীরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। সাজা প্রাপ্ত আসামীরা হলেন- কুমারখালি উপজেলার উত্তর পার সাওতা গ্রামের মিন্টু শেখ, সাহেব আলী ওরফে সিহাব, জমির শেখ, মসলেম শেখ, আরিফ শেখ, মোক্তার হোসেন শেখ, সোহেল উদ্দিন শেখ ও যদুবয়রা গ্রামের আরিফ।

মামলার এজাহারে জানা যায়, ঝালকাঠি জেলার নলসিটি উপজেলার গরিপাশা গ্রামের আব্দুল হামিদ মাষ্টারের মেয়ে কুষ্টিয়া সরকারী মহিলা কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রী বিউটি খাতুন (১৮) তার ভাই এবং ভাবীর সাথে বর্তমান ঠিকানা কুষ্টিয়া শহরের কুঠিপাড়ায় রোকন উদ্দিনের বাড়ীতে ভাড়া থাকতো। কলেজে যাওয়া আসার পথে পরিচয় হয় শহরতলীর দবির মোল্লা গেটের ফল ব্যবসায়ী আরিফের সাথে। এক সময় উভয়ের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে।

ঘটনার দিন ২০১১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর বিউটি খাতুনকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দবিরমোল্লার গেটে ডেকে নেয় আরিফ। বিকেলে আরিফ তাকে সাথে নিয়ে উত্তর পার সাওতা গ্রামে বন্ধু মোস্তাকের বাড়ীতে যায়। সেখানে কথাপোকথনের এক পর্যায়ে নাস্তা আনার নাম করে আরিফ সরে পড়ে। মোস্তাক বিউটিকে কু-প্রস্তাব দেয়। প্রস্তাবে রাজী না হয়ে ভয়ে রাত ১০টার দিকে বিউটি একা বেরিয়ে পড়ে এবং অন্য একটি বাড়ীতে আশ্রয় চাই। আশ্রয় না দিয়ে বাড়ীর লোকজন তাকে বের করে দেয়। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে পূর্ব পরিকিল্পত ভাবে আরিফ ও তার সহযোগীরা প্রায় ৯ জন মিলে পাশের কলা বাগানে নিয়ে বিউটির ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্ব্বক তাকে গণধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। পরে বিউটি লাহিনী পাড়ায় ঢাকা মহাসড়কে উঠে বাস ধরে বাড়ী ফিরে আসে এবং তার ভাবীকে ধর্ষণের কথা খুলে বলে।

এব্যাপারে বিউটি খাতুনের ভাবী ঝুমুর খাতুন বাদী হয়ে কুমারখালি থানায় আসামীদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করে। থানার মামলা নং-৩, তারিখ-২-১০-১১ইং। যা পরে নারী ও শিশু নির্যাতন ৪৮০/১২ নং মামলায় নথিভূক্ত হয়ে বিচার কাজ শুরু হয়।