• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||

ওসির কৌশলে বাদ গেলো এজাহার থেকে মূল হত্যাকারীর নাম

প্রকাশ:  ০৫ অক্টোবর ২০১৮, ১৭:৩৬
দিনাজপুর প্রতিনিধি

দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে আশু চন্দ্র রায়ের হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ইসুবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান আবু হায়দার লিটনের নাম এজাহারে না থাকায় হতাশা প্রকাশ করেছে নিহতের পরিবার ।

শুক্রবার (৫ অক্টোবর) দুপুরে নিহতের পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলে এ কথা জানা যায় ।

নিহত আশুর ভাতিজা মিলন চন্দ্র রায় জানায় , গত ৪ঠা অক্টোবর বিকালে আমার চাচা আশু চন্দ্র রায়ের হত্যার মুল পরিকল্পনাকারীর চেয়ারম্যান আবু হায়দার লিটনের নামসহ ২৫ জনের নাম উল্লেখসহ চিরিরবন্দর থানায এজাহার নিয়ে মামলা রেকর্ড করার জন্য যাই । চেয়ারম্যনের নাম মামলা এজাহারে থাকায় চিরিরবন্দর থানার ওসি হারেসুল ইসলাম বলেন এ ভাবে মামলা রেকর্ড করা যাবে বলে জানিয়ে দেয়। চিরিরবন্দর থানার ওসি আরোও বলে আমার উপরে চাপ থাকায় এজাহার পরিবর্তন করতে হবে । এবং মামলার বাদি নিহতের ভাই বিশ্বনাথ চন্দ্র রায়পরিবর্তন করে নিহতে স্ত্রী নন্দ রানী রায় করতে হবে ।

মিলন চন্দ্র রায় আরোও বলেন , ওসি হারেসুল ইসলাম নিজে মাইক্রোবাস ভাড়া করে গত বৃহস্পতিবার দিনগত রাত সাড়ে ৯ টার দিকে আমার চাচী নন্দ রানী রায়কে বাড়ীতে নিয়ে গিয়ে বিভিন্ন ভয় ভীতি দেখিয়ে এজাহার পরিবর্তন করে। প্রকৃত হত্যা মামলা আসামিদের কৌশলে বাদ দিয়ে হত্যা মামলাটি রেকর্ড করিয়ে দেয়। তারই ভাড়া করা মাইক্রোবাসে পৌছে দিয়ে যায় বাড়ীতে রাত ২টার দিকে । এ বিষয়টি কাউকে না বলার জন্য ভয দেখায় ।

নিহতের স্ত্রী নন্দ রানী রায় জানায, আমি এখন এক ছেলে এক মেয়েকে নিয়ে কিভাবে সংসার চালাব, আমার সুখের সংসাবে আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে লিটন চেয়ারম্যান । আমার স্বামীকে হত্যার করার পর বিভিন্ন ভাবে আমাদের পরিবারকে হুমকি দিচ্ছে। আমার স্বামীর খুনি যারা তাদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে ।

চিরিরবন্দর থানার ওসি হারেসুল ইসলাম জানায় , চেয়ারম্যান আবু হায়হার লিটনের ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল হয়েছিল এলাকায় এটা সঠিক, তবে নিহতের স্ত্রী বাদি হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেছে । তবে আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা সঠিক না ।

মানবাধিকার সংগঠন বাংলাদেশ হিন্দু মায়োনিটি চেপ্টার দিনাজপুর জেলা শাখার সভাপতি কমল চন্দ্র রায় বলেন, আমার সংগঠনের সকল সদস্য আর নিহতের পরিবারের সদস্যরা একত্রিত হয়ে আশু চন্দ্র রায়ের হত্যার মুল পরিকল্পনাকারী চেয়ারম্যান আবু হায়দার লিটনসহ ২৫ জনের নাম উল্লেখ করে এজাহার লিপিবদ্ধ করে নিহতের বড় ভাই বিশ্বনাথ রায়সহ তার ভাতিজা মিলন চন্দ্র রায়কে মামলা রেকর্ড করার জন্য থানায় পাঠিয়েছিলাম । পরে জানাতে পারলাম চিরিরবন্দর থানার ওসি সুকৌশলে আমাদের এজাহার পরিবর্তন করে নিহতের স্ত্রীকে ভুলবাল বুঝিয়ে অন্য একটা এজাহার তৈরী করে মামলা রেকর্ড করিয়ে দেয় । সেখানে মুল হত্যাকারীসহ অনেকেই নেই । আমরা নিহতের পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সাথে আলোচনা করে আরও একটা হত্যা মামলা আদালতে দায়ের করবো।

/পি.এস

দিনাজপুর,হত্যা,ওসি

সারাদেশ

অনুসন্ধান করুন
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close