ইলিশের লোভে অনেকে জড়ো হচ্ছে বিষখালীর ঝোঁপে
বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার বিষখালী ও বলেশ্বর নদীতে অসাধু জেলেরা সরকারের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সুযোগ পেলেই মা ইলিশ শিকারের জন্য নদীতে নামছেন। নদীতে সব সময় অভিযান না থাকায় জেলেরা অবৈধ কারেন্টজাল দিয়ে ইলিশ শিকার করছেন। যদিও ইলিশ ধরা বন্ধে কঠোর পদক্ষেপের কথা বলছে মৎস্য বিভাগ।
এদিকে ইলিশ রক্ষায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবিরের নেত্বত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত বিষখালী ও বলেশ্বর নদীতে অভিযান চালিয়ে ৪ জেলেকে অর্থদণ্ড দিয়েছেন। সেই সঙ্গে তাদের ব্যবহৃত প্রায় ৬হাজার ৩০০ মিটার জাল জব্দ করে পুড়িয়ে দিয়েছেন। তারপরও যেন থামছে না মা ইলিশ শিকার। মা ইলিশ সংরক্ষণে প্রশাসন আরো সচেতন ও মাছ ধরা বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিলে হয়তো বন্ধ হবে মা ইলিশ নিধন। এমনটাই মনে করেন সচেতন মহল।
সম্পর্কিত খবর
প্রজনন মৌসুম হওয়ায় ২২ দিন নিষেধাজ্ঞা রয়েছে ইলিশ ধরায়। কিন্তু সরকারের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্বেও থেমে নেই ইলিশ শিকার। সুযোগ পেলেই রাতের আঁধারে চলছে ইলিশ শিকার। পাথরঘাটার কুপধন এলাকা সংলগ্ন বিষখালী নদীতে অনেকটা গোপনেই জেলেরা ব্যাস্ত থাকে ইলিশ শিকারে। আবার প্রকাশ্যে বাজারে বিক্রি করতে না পারায় নদীর পাড় থেকেই মানুষের কাছে বিক্রি করছে শিকারকৃত ইলিশ। নিধনকৃত মা ইলিশ বিক্রি হচ্ছে দুইশ থেকে আরাইশ টাকা কেজি ধরে। সস্তা দামে ইলিশের লোভে অনেকে জড়ো হচ্ছে বিষখালীর পাড়ের ঝোঁপে।
এ বিষয় পাথরঘাটা উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা এস এম আজহারুল ইসলাম জানান, ফাঁকি দিয়ে কিছু অসাধু জেলে এ কাজ করছে। বিষখালী ও বলেশ্বরে মা ইলিশ রক্ষায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করে ৪ জেলেকে আটক করা হয়। পরে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে জেলেদের অর্থদণ্ড দেয়া হয়। এছাড়া উদ্ধারকৃত বিপুল পরিমাণ কারেন্ট জাল পুড়িয়ে ফেলা হয় এবং ইলিশগুলো এতিমখানা ও মাদ্রাসায় বিতরণ করা হয়। তিনি আরো জানান, অভিযানের জন্য একটি সীবোর্ড থাকলে অভিযান পরিচালনা করতে আর সুবিধা হত।
/পি.এস