Most important heading here
Less important heading here
Some additional information here
Emphasized textSome additional information here
Emphasized textবগুড়ায় ২ শতাধিক শিক্ষার্থী শুনলো মুক্তিযুদ্ধের বীরত্বগাঁথা গল্প।
সোমবার (১২ নভেম্বর) বগুড়া পুলিশ লাইন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজ মিলনায়তনে বগুড়া জেলা প্রশাসন ও বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র’র যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ভিত্তিক কর্মসূচি “মুক্তিযুদ্ধের গল্প শোন” অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. আরশাদ সায়ীদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বগুড়ার পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভুঞা।
পুলিশ লাইন্স স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষক আল আমিনের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বগুড়া জেলা প্রশাসক ফয়েজ আহাম্মদ, সম্মানীত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র বগুড়ার সংগঠক প্রবীণ শিক্ষক শ্যামল ভট্টাচার্য্য, প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ শাহাদৎ আলম ঝুনু, গাজী রিয়েল এস্টেটের চেয়ারম্যান ডা. গাজী শফিকুল আলম চৌধুরী। অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র বগুড়া’র সমন্বয়কারী এ টি এম রাশেদুল ইসলাম।
১৯৭১ সালে পিতা হারানোর বেদনার কথা ব্যক্ত করে অত্র প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক এবং শহীদ সন্তান আব্দুর রহমান তুলে ধরেন, বাবা হারিয়ে কতোটা কষ্টে বড় হয়েছেন, কতোটা কষ্ট করে মা তাদের বড় করেছেন এবং সেইসঙ্গে শহীদ সন্তান হিসেবে স্বীকৃতি না পাবার কষ্টের কথাও।
এরপর বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র বগুড়া’র উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. আরশাদ সায়ীদ মুক্তিযুদ্ধে তার অপারেশনের তথ্য তুলে ধরেন গল্প আকারে। তার অপারেশনের মধ্যে ছিলো বগুড়ার সাবগ্রামে রেল-লাইন মাইন বিষ্ফোরণে উড়িয়ে দিয়ে পাকস্তানী মিলিটারীর ক্ষতি সাধন করা। মুক্তিযোদ্ধা তাঁর গল্পে শোনান ১৯৭১এর বীরত্ব গাঁথার সঙ্গে মিশে থাকা আবেগ এবং জীবন বাজি রেখে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার কথা। সেই সঙ্গে কতোটা কষ্ট করে দেশ স্বাধীন করেছেন সে কথাও তার গল্পে উঠে এসেছে। পাশাপাশি ব্যক্ত করেছেন সহযোদ্ধা বন্ধুদের হারানোর গভীর মনোবেদনার কথাও।
সবশেষে মুক্তিযোদ্ধা শিক্ষার্থীদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় নিজেদের গড়ে তুলে দেশকে এগিয়ে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলায় রূপান্তরে যথাযথ ভূমিকা পালনের আবেদন জানিয়েছেন।
পিনপতন নিরবতায় মুক্তিযুদ্ধের কথা শুনেছে অনুষ্ঠানে উপস্থিত শিক্ষার্থীরা।