বাঘায় এসি ল্যান্ডকে মারধরের ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন
রাজশাহীর বাঘায় অবৈধভাবে বালি উত্তোলনে বাঁধা দেওয়ায় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) পি.এম ইমরুল কায়েসসহ দুই কর্মচারিকে মারধরের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় ৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার রাতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো-উপজেলার হরিরামপুর গ্রামের আব্দুল গনির ছেলে আবুল বাসার (৩০),কাশেম আলীর ছেলে বেলাল (৪০), উপজেলার আলাইপুর গ্রামের শহিদুল মল্লিকের ছেলে মিনারুল ইসলাম (২২), আজাহার আলীর ছেলে শফিকুল ইসলাম কালু (৪৮), নইমুদ্দিন দুই ছেলে নবাব আলী (৩৭) ও কামরুজ্জামান (৩৫) ও কলিগ্রামের নেকা ভাংড়ির ছেলে সুলতান আলী (৩৫)। চেইন ম্যান শামসুল ইসলাম বাদি হয়ে কয়েকজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে এ মামলাটি দায়ের করেছেন।
সম্পর্কিত খবর
মামলার সুত্রে জানা যায়, গত শনিবার দুপুরে উপজেলার হরিরামপুর গ্রামে বালি উত্তোলন করছিল, এলাকার মোজাহারের ছেলে নওশাদ ও মহসীনের ছেলে আব্দুল বারিসহ তার লোকজন। এ খবরে দুই কর্মচারিসহ সেখানে যান সহকারি কমিশনার (ভূমি) পিএম ইমরুল কায়েস। বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই বালি উত্তোলনের বিষয়ে জানতে চাওয়ায় কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে তার উপর হামলা চালিয়ে মারধর করে সরকার দলীয় ওইসব লোকজন। তাকে হাসপাতালে ভর্তির পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক এসএম আব্দুল কাদের ও পুলিশ সুপার মোঃ শহিদুল্লাহ পিপিএম। রাতে অতিরিক্ত পুলিশ নিয়ে ওই এলাকায় গ্রেপ্তার অভিযান চালানো হয়।
এদিকে রোববার দুপুরে ঘটনার সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করে উপজেলা প্রশাসনের সকল দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারি। বক্তব্যকালে উপজেলা মৎস্য অফিসার আমিরুল ইসলাম বলেন, সরকারি কাজে বাঁধা দিয়ে এসিল্যান্ডসহ দুই কর্মচারিকে মারধর করা হয়েছে। ন্যাংকারজনক ঘটনায় দুর্বৃত্তদের শাস্তির দাবিতে সুশীল সমাজ, শিক্ষক ও মুক্তিযোদ্ধারাও কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন।
সরেজমিন এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, গ্রেপ্তার এড়াতে প্রায় বাড়ির লোকজন আত্নগোপনে রয়েছে।
অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মহসীন আলী জানান, গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
পিবিডি/আরিফ