• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

কবিরহাটে গণধর্ষণ: ভিকটিমের নিকটাত্মীয়দের জড়ানোর অভিযোগ

প্রকাশ:  ২২ জানুয়ারি ২০১৯, ১১:৫৩
কোম্পানীগঞ্জ প্রতিনিধি

নোয়াখালীর কবিরহাটে গণধর্ষণের শিকার তিন সন্তানের জননী সাংবাদিকদের অভিযোগ করে বলেছেন, আটককৃত জহির ছাড়া অপর তিনজনকে হয়রানি করার জন্য আটক করা হয়েছে। তিনি (ভিকটিম) বলেন, তারা যদি জড়িত থাকতো আমি অবশ্যই তাদেরকে চিনতে পারতাম। আমার দেবর মান্নাকে আমি ৬ বছর থেকে চিনি। সে আমার সন্তানের মতো। আমি শুধু জহিরকে ঘটনার সময় চিনতে পেরেছি। এ ঘটনায় জহির কেন আমার দেবর ও ভাগিনাসহ ৩ জনকে জড়িয়ে কথা বলছে তা বুঝতে পারছিনা।

তিনি আরও বলেন, ঘটনার সময় জহিরের সাথে মুখোশ ছাড়া দুইজন ছিল, তাদেরকে সামনে আনলে আমি চিনতে পারবো। আমি ওসি সাহেবকে সাতজন ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলেছি, কিন্ত তিনি চারজনকে আসামি করে মামলা নিয়েছেন। আমি চাই প্রকৃত অপরাধীদের শাস্তি দেওয়া হোক।

কবিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মির্জা মোহাম্মদ হাছান জানান, ভিকটিম এজাহার দেয়ার পরে যদি মুখে আরেক কথা বলে এটা তো আমার বিষয় না। এজাহারটা উনি দিয়েছেন, সই উনি করেছেন এখন যদি উনি একেকবার একেক কথা বলেন তাহলে তো আমার কিছু করার নাই। নিজে স্বাক্ষর করে এজাহার দিয়েছেন, তার এজাহারের অভিযোগের ভিত্তিতেই চারজনকে আসামি করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামি জাকির হোসেন জহিরের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী আরো তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তদন্ত এখনো শেষ হয় নাই, তদন্ত এখনো চলমান আছে।

অপরদিকে ভিকটিমের স্বামী আবুল হোসেন রোববার কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পান। তিনি সোমবার সন্ধ্যায় হাসপাতালে স্থানীয় সাংবাদিকদেরকে জানান, আমি বিএনপি সমর্থক, এটা সত্য। অভিযুক্ত জহিরের প্ররোচনায় আমাকে মামলায় জড়ানো হয়েছে। এখন আমার স্ত্রীর উপরও নির্যাতন করা হয়েছে। আমার বিশ্বাস, আমার ভাই ও ভাগিনা এ ঘটনার সাথে জড়িত নয়।

এ দিকে কবিরহাট থানা পুলিশ সোমবার দুপুরে প্রধান আসামির তথ্যের ভিত্তিতে গ্রেফতার নির্যাতিতার দেবর ও ভাগিনাসহ তিনজনকে আদালতে সোপর্দ করেছে। তাদের প্রত্যেকের সাতদিন করে রিমান্ডের আবেদন করা হয়।

এছাড়া মামলাটি তদন্তের জন্য ও অন্য আসামিদের গ্রেফতারের তাগিদ দিয়ে জেলা গোয়েন্দা শাখায় হস্তান্তর করা হয়েছে। জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.আবুল খায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

পিবিডি/পি.এস

কোম্পানীগঞ্জ,গণধর্ষণ

সারাদেশ

অনুসন্ধান করুন
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close