• বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

সিঁধ কেটে গণর্ধষণ, তিনজনের রিমান্ড মঞ্জুর

প্রকাশ:  ২২ জানুয়ারি ২০১৯, ১৮:৪৫
নোয়াখালী প্রতিনিধি

নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলার ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের নবগ্রামে ঘরের সিঁধ কেটে তিন সন্তানের জননী (২৯) কে গণধর্ষণের ঘটনায় গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে তিন আসামীর রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। এদিকে রিমান্ড প্রাপ্ত আসামীরা ঘটনার সাথে জড়িত নয় দাবি করে মামলা থেকে তাদের অব্যহতি চেয়ে আবেদন করেছেন ভিকটিম।

সোমবার বিকালে গ্রেফতারকৃত আবদুর রব মান্না, হারুন অর রশিদ ও মো. সেলিমকে জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ২নং আমলী আদালতে হাজির করা হলে বিচারক নবনিতা গুহ শুনানি শেষে তাদের প্রত্যেককে ৪দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

সম্পর্কিত খবর

    জেলা ডিবি পুলিশের ওসি আবুল খায়ের জানান, মান্না, সেলিম ও হারুনকে ৭দিন করে রিমান্ড চেয়ে আদালতে হাজির করা হলে আদালত তাদের ৪দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

    নির্যাতিতা সেই নারী জানান, আসামী জাকির হোসেন জহির মনগড়া জবানবন্দি দিয়ে তার নিরপরাধী আত্মীয়দের গ্রেপ্তার করিয়েছে। এ ঘটনার সাথে তারা কেউই জড়িত নয় ও তাদের বিরুদ্ধে তার কোন অভিযোগ নেই। ঘটনার সময় ওদের কাউকে তিনি দেখেনি বলেও জানান।

    সোমবার মামলার বাদীর পক্ষে আইনজীবী রবিউল হাসান পলাশ আদালতে একটি লিখিত আবেদন দিয়েছেন। আবেদনে তিনি উল্লেখ করেন আসামী জাকির হোসেন জহির উদ্দেশ্য মূলকভাবে বাদীনির পরিবারে অশান্তি সৃষ্টি করার জন্য ঘটনায় বাদীনির দেবর আবদুর রব মান্না, মামা হারুন অর রশিদ ও জেঠাতো ভাই মো. সেলিমকে জড়িয়েছে। আবেদনে এ মামলা থেকে উক্ত ব্যক্তিদের অব্যহতি চাওয়া হয়েছে।

    এদিকে ঘটনার পরের দিন দুপুরে গ্রেপ্তারকৃত জাকির হোসেন জহিরের দেওয়া প্রাথমিক তথ্যমতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে নির্যাতিতা ওই নারীর দেবরসহ নিকটতম ৩ আত্মীয়কে গ্রেফতার করে। পরে জহির গত রবিবার ১৬৪ ধারা আদালতে জবানবন্দি দেয়। জহির তার জবানবন্দিতে জানায় এ ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী ভিকটিমের দেবর আব্দুর রব হোসেন প্রকাশ মান্না। তারা দু’জন ছাড়াও ঘটনার সাথে মো. সেলিম, হারুন অর রশিদ ও জামাল উদ্দিন জড়িত ছিল।

    প্রসঙ্গত, শুক্রবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে স্থানী মুদি ব্যবসায়ী জাকির হোসেন জহিরের নেতৃত্বে কয়েকজন আবুল হোসেনের ঘরের সিঁধ কেটে ভিতরে প্রবেশ করে। এদের মধ্যে কয়েকজন মুখোশ পরা ছিল। এসময় তারা আবুল হোসেনের স্ত্রীর কাছে ৬০হাজার টাকা আছে বলে সেগুলো দিতে বলে। এনিয়ে ভিকটিমের সাথে তাদের তর্কবির্তক হয়। পরে তারা ঘরের বৈদ্যুতিক লাইট বন্ধ করে ভিকটিমের মা, ভিকটিমের এক ছেলে ও দুই মেয়েকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে পালাক্রমে ভিকটিমকে গণধর্ষণ করে। পরে রাত আনুমানিক ৩টার দিকে ধর্ষকরা ঘর থেকে বের হয়ে যায়। এসময় তারা ঘরে থাকা নগদ টাকা, ২ভরি স্বর্ণ, মোবাইল ও মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। শনিবার দুপুরে ভিকটিমকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনায় ভিকটিম বাদী হয়ে জাকির হোসেন জহিরসহ অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেছিলেন।

    পিবিডি/ওএফ

    সারাদেশ

    অনুসন্ধান করুন
    • সর্বশেষ
    • সর্বাধিক পঠিত
    close